মঙ্গলবার ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

মঙ্গলবার ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

কক্সবাজার সীমান্তে মাদক পাচার বন্ধে নৌ-ইউনিট সহ বিশেষ জোন হচ্ছে

রবিবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮
305 ভিউ
কক্সবাজার সীমান্তে মাদক পাচার বন্ধে নৌ-ইউনিট সহ বিশেষ জোন হচ্ছে

কক্সবাংলা রিপোর্ট(১ সেপ্টেম্বর) :: দেশে মাদকপ্রেবেশের প্রধান রুট হিসেবে পরিচিত কক্সবাজার এর উপকূলীয় অঞ্চলকে কেন্দ্র করে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহন করেছে। সীমান্তে প্রতিদিনই চলছে মাদকবিরোধী অভিযান। এরপরও মাদক পাচার পুরোপুরি বন্ধ করা যাচ্ছে না।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একেবারে বন্ধ করা না গেলেও সবার আন্তরিকতা থাকলে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সরকার মাদক পাচার ও ব্যবহার বন্ধে নানা উদ্যোগ নিয়েছে।

আর মাদকের প্রধান রুট হিসেবে পরিচিত কক্সবাজারকে কেন্দ্র করে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েল মাধ্যমে। ঢেলে সাজানো হচ্ছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে।

এরই অংশ হিসেবে কক্সবাজারে নৌ-ইউনিটসহ মাদক অধিদফতরের একটি বিশেষ জোন স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মাদক অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও কোস্টগার্ড যেমন মাদকের বিরুদ্ধে স্থল ও জল সীমান্তে মাদকসহ সীমান্ত অপরাধ দমনে অভিযান চালাচ্ছে, ঠিক তেমনি সরকারের অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুলিশ, র‌্যাব ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর মাদকের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে।

বিশেষ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের আইন এবং এ সংস্থাটিকে আরও শক্তিশালী কাজ অব্যাহত রেখেছে সরকার।

এরই অংশ হিসেবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে খসড়া চূড়ান্ত করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, মাদক তথা ইয়াবার প্রধান রুট হিসেবে কক্সবাজার জেলাকে বিচেনা করা হয়ে থাকে। তাই এ অর্থবছরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিসহ মাদক তথা ইয়াবা পাচার সম্পূর্ণ বন্ধ করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে টেকনাফে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের একটি অস্থায়ী সার্কেল স্থাপন করা হয়েছে।

টেকনাফে স্থাপিত অস্থায়ী সার্কেলের সঙ্গে সমন্বয় করে কক্সবাজার জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে।

এছাড়াও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ এলাকায় অভিযান পরিচালনার জন্য অধিদফতরের চট্টগ্রাম মেট্রো ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়কে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

অধিদফতরের অপারেশন্স বিভাগের পরিচালকের নেতৃত্বে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স কক্সবাজার ও টেকনাফে বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে।

একইসঙ্গে নৌ-ইউনিটসহ ৯৪ জনবল নিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের একটি বিশেষ জোন কক্সবাজার জেলায় স্থাপনের প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর এখন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে সীমান্তে অভিযান চালাতে বর্ডার লিয়াঁজো অফিস স্থাপনেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদকের পাচার প্রতিরোধে মুখ্য সচিবের সভাপতিত্বে স্ট্রাটেজিক কমিটি, সুরক্ষা বিভাগের সচিবকে আহ্বায়ক করে এনফোর্সমেন্ট কমিটি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবকে আহ্বায়ক করে মাদকবিরোধী সচেতনতা সৃষ্টি ও সামাজিক আন্দোলন সংক্রান্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মাদক ব্যবসায় পৃষ্ঠপোষকতাদানকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকেও আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ তদন্তে অধিদফতরের কর্মকর্তাদের ক্ষমতা দেওয়া হবে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘মাদকের সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি— এটা যেমন সত্য, ঠিক তেমনি সরকারও মাদক পাচার প্রতিরোধে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। এতে মাদকের সরবরাহ আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে। সম্পূর্ণ বন্ধ করাটা কঠিন। আমাদের অপারেশনগুলো চলছে। আমরা মানুষকে সচেতন করার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম চালাচ্ছি। আমরা আশা করছি যে মানুষ এটা প্রতিরোধ করবে। একইসঙ্গে আমাদের এনফোর্সিং এজেন্সি নিয়মিত কাজ করে যাবে।’

মাদক তথা ইয়াবা পাচার প্রতিরোধে নানা উদ্যোগের পাশাপাশি কক্সবাজার জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের বিশেষ জোন গঠনের উদ্যোগের কথা বলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের মাদক অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আতিকুল হক।

তিনি বলেন, ‘নৌ-ইউনিটসহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের একটি বিশেষ জোন কক্সবাজার জেলায় স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে। সেই প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর এখন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদ পাওয়ার পর অধিদফতরের বিশেষ জোন গঠনের কাজ শুরু করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।’

তিনি বলেন, ‘একইসঙ্গে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটি গঠন, আলোচনাসভা ও সেমিনার অনুষ্ঠানের পাশাপাশি পোস্টার, লিফলেট, স্টিকার, স্যুভেনির প্রকাশ ও বিতরণের কাজও অব্যাহত আছে।’

305 ভিউ

Posted ২:২৪ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com