এম.এ আজিজ রাসেল(৪ মে) :: বৃষ্টিতে ভেজা, সমুদ্র স্নান আর নাচ-গানের নানা আনন্দ আয়োজনের মধ্য দিয়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ঝাউবীথির বালিয়াড়িতে শুরু হয়েছে রাখাইনদের সম্প্রদায়ের বর্ণিল বর্ষা উৎসব।
৪ মে শৈবাল পয়েন্টে শুরু হওয়া ৩মাস পর্যন্ত চলবে এই উৎসব। প্রতি শুক্রবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা অবদি তরুণ-তরুণী, আবাল বৃদ্ধাবনিতার মহামিলন মেলা বসে এখানে।
জানা গেছে, প্রতি বছর বৌদ্ধদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান তিন মাসব্যাপী আষাঢ়ী পূর্ণিমার আগে (আষাড়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা পর্যন্ত) সৈকতে এ উৎসব পালন করে থাকে রাখাইন সম্প্রদায়। এটি কোন ধর্মী উৎসব নয়। শুধুমাত্র সামাজিকভাবে পরিবার পরিজন ও বন্ধু-বান্ধব মিলে মিশে খানিক বর্ণিল সময় কাটানোর জন্য এই আয়োজন।
কক্সবাজার কেজি স্কুলের সহকারির শিক্ষিকা মাউন টিন জানান, প্রায় শতাব্দীকাল ধরে রাখাইন সম্প্রদায় এ উৎসব পালন করে আসছে। এক সময় হিমছড়ির অরণ্যে এ উৎসব উদযাপন করা হতো। সেখানে রাখাইন সমাজের পরিবার, বন্ধু মহল ও আত্মীয়-স্বজন গ্রুপ ভিত্তিক নানা রকমের খাবার নিয়ে চলে আসে এখানে।
গত কয়েক বছর থেকে সমুদ্র আর পৃকৃতিকে আরও নিবিড়ভাবে কাছে পেতে সৈকতের ঝাউবাগানে পালন করা হচ্ছে মন রাঙ্গানো বর্ষা উৎসব।
রাখাইন সিটি বয়েজের জ জ, মং ম, জ জ ইয়ুদি, ক্যওয়ান, আবুরী, আক্য, উসেন, আজি এবং রাখাইন ফ্রি-স্টাইল রিলেশন এর উথিন য়ে, বাওয়ান, মংহ্লা ওয়ান, মংসি আই, মংথেন নাই, ক্যওয়ান, চ লাইন, মংবাসেন, জহিন, জনি, থেন থেন নাই, হ্যাংগিং গার্ডের এর ওয়ান শে, ববি, নাই নাই, কিংজ, মং হ্লা সিন, মংয়েটিন, জওয়ান, কমংটেন, উচ্য থেন জানান, বর্ষা উৎসবে ৩মাস ব্যাপী চলে অন্যরকম আনন্দ। এখানে আনন্দ, হাসি ও আর গানে মেতে ওঠে সবাই।
কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ক্যাথিন অং রাখাইন জানান বর্তমানে এ উৎসব শুধুমাত্র কক্সবাজারের রাখাইনদের মাঝে সীমাবদ্ধ নেই। জেলার গন্ডি পেরিয়ে বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি থেকেও লোকজন এ উৎসবে যোগ দেন।
Posted ১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৫ মে ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta