বিশেষ প্রতিবেদক :: কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে চলাচল করা স্পেশাল ট্রেন গত ২৪ জুন বন্ধ হওয়ার কথা থাকলেও যাত্রীদের ব্যাপক চাহিদার কারণে এ স্পেশাল ট্রেন আরও এক মাস বাড়িয়ে আগামী ২৪ জুলাই পর্যন্ত চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
চলাচলের সময় বৃদ্ধির পর গত ১২ জুন থেকে ২২ জুন পর্যন্ত ট্রেনটিতে ১৬ হাজার যাত্রী ভ্রমণ করেছে। এতে ২৯ লাখ ৩৫ হাজার ৮৮০ টাকা রাজস্ব আয় করেছে রেলওয়ে।
রেলের অপারেশন শাখা সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনের যাত্রী পরিসংখ্যান মতে, ১১ দিনে (১২ জুন থেকে ২২ জুন) সাতকানিয়া থেকে ৭৪৩ জন এ ট্রেনে ভ্রমণ করেছেন।
এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে ৫ হাজার ৯১৯ জন যাত্রী, ষোলশহর থেকে ৪০২ জন, জানালীহাট থেকে ৭০৫ জন, পটিয়া থেকে ৫৫৫ জন, দোহাজারী থেকে ৪২৮ জন, চকরিয়া থেকে ৬৪৮ জন, ডুলাহাজারা থেকে ৪৭০ জন, রামু থেকে ৭৫ জন ও কক্সবাজার থেকে ৬০৫২ জন ভ্রমণ করেন।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বাণিজ্যিক বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ১১ দিনে ১৬ হাজার যাত্রী পরিবহন করেছে ট্রেনটি।
গত ১২ জুন থেকে চালু হওয়া চট্টগ্রাম-কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনটি গত ২২ জুন পর্যন্ত ১১ দিনে মোট ২৯ লাখ ৩৫ হাজার ৮৮০ টাকা রাজস্ব আয় করে।
রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী জানিয়েছেন, শুরু থেকেই ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে যাত্রীদের।
চাহিদার তুলনায় আসন কম হওয়ায় অনেকেই টিকিটি পাচ্ছেন না।
এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে জনবল ও ইঞ্জিন সংকট থাকা সত্ত্বেও স্পেশাল ট্রেন চলাচলের সময় বাড়ানো হয়েছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা উপকৃত হবেন।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের স্পেশাল ট্রেনটি চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন সকাল সাতটায় ছেড়ে যায়।
কক্সবাজারে পৌঁছায় সকাল ১০টা ২০ মিনিটে। আবার কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছাড়ে সন্ধ্যা সাতটায়। চট্টগ্রামে পৌঁছায় ১০টায়।
যাত্রাপথে ট্রেনটি ষোলশহর, জানালীহাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা ও রামু স্টেশনে থামে।
বিশেষ এই ট্রেনে শোভন শ্রেণির আসনের জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া ৪৫ টাকা, প্রথম শ্রেণি আসনের জন্য ১৮৫ টাকা।
তবে কক্সবাজার পর্যন্ত এই ভাড়া যথাক্রমে ১৮৫ ও ৩৪০ টাকা।
গত বছরের ১১ নভেম্বর চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নির্মিত নতুন রেললাইনের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর গত বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে ঢাকা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
এরপর চলতি বছর ১০ জানুয়ারি পর্যটক এক্সপ্রেস নামের আরেকটি ট্রেন চালু করে রেল।
শুধু ঢাকা-কক্সবাজার রুটের দুটি ট্রেনের প্রতিটিতে ১১৫টি করে আসন বরাদ্দ রাখা হয় চট্টগ্রাম স্টেশনের জন্য।
Posted ৪:০৩ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta