বিশেষ প্রতিবেদক,ঢাকা(১৩ নভেম্বর) :: একাদশ জাতীয় নিবার্চনকে সামনে রেখে সারা দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণজোয়ার বয়ে যাচ্ছে।কি হবে আগামী নির্বাচনে,কারা হবেন আগামীর বাংলাদেশের রুপকার। এসব নিয়ে মানুষের মনের জল্পনা কল্পনার কমতি নেই।
মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী দল হিসেবে বর্তমান ক্ষমতাশীন দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মাঠ পর্যায় থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায় পর্যন্ত আগামী নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছে।অন্যদিকে ঐক্যফ্রন্টও ছাড় দিতে নারাজ।সারা দেশে মনোনয়ন নিয়ে ব্যস্ত হাজারও মনোনয়ন প্রত্যাশী।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দানের সময় ১২ ই নভেম্বর শেষ হয়েছে।যাতে বিপুল সংখ্যক নেতা মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন।ঠিক তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের পর্যটন রাজধানী খ্যাত কক্সবাজার -৩ ( সদর-রামু) আসনে প্রায় দুই ডজন নেতা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ও জমা দিয়েছেন। সবারই প্রত্যাশা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দিবেন।
কক্সবাজার-৩ আসনে যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাদেঁর মধ্য থেকে কয়েক জনকে নিয়ে মঙ্গলবার দুপুর ২ টায় ঢাকার ধানমন্ডির এক অভিজাত রেঁস্তোরায় অনুষ্ঠিত হয় এক আলোচনা সভা।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ- কমিটির সদস্য, রামু সমিতি ঢাকার সাধারণ সম্পাদক বাবু সুজন শর্মার আমন্ত্রণে আয়োজিত মধ্যান্ন ভোজ ও আলোচনা সভায় কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানে সূচনা বক্তব্য রাখেন। সূচনা বক্তব্যে তিনি সম্ভাব্য সব প্রার্থীর জন্য শুভ কামনা করে দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, এবারের নির্বাচন অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে কঠিন নির্বাচন।তিনি আশা করেন, যারা জনগণের কাছে জনপ্রিয়, যারা সংগঠনকে সময় দিয়েছে,মানুষের কাছে গিয়েছেন তাদের মধ্য থেকে আগামীর নেতৃত্বকে জননেত্রী মনোনয়ন দেবেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত মনোনয়ন প্রত্যাশী কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী বলেন-আমি আশা করি ওসমান পরিবারের সন্তান হিসেবে নেত্রী আমাকেই মনোনয়ন দিবেন।নৌকায় যাকেই মনোনয়ন দিক আমি তার পক্ষে কাজ করব।তিনি আরও বলেন- কক্সবাজার-৩ আসনে বিএনপির যে কোন শক্ত ভীত নেই আমরা রামু-কক্সবাজারের আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা তা প্রমাণ করব।
কক্সবাজার পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী মো. নজিবুল ইসলাম বলেন- জননেত্রী যদি আমাকে মনোনয়ন দেন তবে আমি কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মানুষের মন জয় করে সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে উজ্জীবিত করে জননেত্রীকে কক্সবাজার-৩ আসন উপহার দেব। আমি এলাকার উন্নয়নের জন্য, এলাকার মানুষের কল্যাণের জন্য সারাজীবন উৎসর্গ করে যাব।প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দেন আমরা তা মেনে নেব।
রামু উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং রামু উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জনাব সোহেল সরওয়ার কাজল বলেন- এবারের চ্যালেঞ্জের নির্বাচনে যাকেই মনোনয়ন দেওয়া হোক আমরা সবাই মিলে তাকেই নির্বাচিত করে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে বাংলার মাটিতে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করতে চাই।আমি যদি মনোনীত হই তবে জেলা আওয়ামীলীগের সাথে সমন্বয় করে কাজ করব।
এলাকার নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা করে এলাকার উন্নয়ন করব।তিনি আরও বলেন- আমি যদি দায়িত্ব পাই তবে এলাকার জনগনের নিরাপত্তা বিধান করব।অপরাজেয় বাংলা সংঠনের সভাপতি মিলু সবার উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন ।স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আবারও ক্ষমতায় আনার অনুরোধ করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন রামু উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শামশুল আলম মন্ডল,কক্সবাজার পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জল কর ও বৌদ্ধ ধমীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের ভাইস-চেয়ারম্যান সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়া।এছাড়া রামু উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ,কক্সবাজার সদর আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ছাত্রসহ শখানেক নেতাকর্মীর উপস্থিতি অনুষ্ঠাটি মিলন মেলায় রুপ নেয়।
সবশেষে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং অনুষ্ঠানের আয়োজক বাবু সুজন শর্মাকে সুন্দর আয়োজনের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞাতা জানিয়ে মধ্যান্ন ভোজে অংশ নেন।
Posted ১২:৫৪ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta