বিশেষ প্রতিবেদক(২১ নভেম্বর) :: এগিয়ে আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কে হবেন এবারের নির্বাচনে কক্সবাজার-৩ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী? এই নিয়ে চলছে জোর জল্পনা কল্পনা। এরইমধ্যে শেষবেলায় নাটকীয়ভাবে সবার চোখ ঘুরে গেছে আনিসুল হক চৌধুরী সোহাগের দিকে। কক্সবাজারের পর্যটন খাতকে আমূল বদলে দেওয়া মারমেইড ইকো টুরিজম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তিনি।
সফল এই উদ্যেক্তা সবসবময় নিরবে নিভৃতেই নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্য। এবারের নির্বাচনে, কক্সবাজার-৩ আসনের মনোনয়ন লড়াইয়ে শেষ মুহূর্তের হিসেব-নিকেশে অন্যদের চেয়ে পরিষ্কার ব্যবধানে এগিয়ে তিনি। কিন্তু কী সেইসব গুণ যার সুবাদে আনিসুল হক চৌধুরী এগিয়ে রয়েছেন অন্যদের চেয়ে?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সমগ্র কক্সবাজারের উন্নয়ন তথা পর্যটন খাত নিয়ে সুনির্দিষ্ট ও বাস্তব সম্মত পরিকল্পনার জোরেই মূলত: অন্যদের চেয়ে এগিয়ে গেছেন আনিসুল হক চৌধুরী সোহাগ।
তার জনমুখী পরিকল্পনাগুলোর মধ্যে অন্যতম- ২০২১ সালের মধ্যে কক্সবাজারে পাঁচ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান; কক্সবাজারকে তিনি বানাতে চান দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন নগরী; দশ বছরের মধ্যে কক্সবাজারে ১০ বিলিয়ন ডলারের পর্যটন শিল্প গড়ে তোলার মহা পরিকল্পনা তার। তিনি উদ্যেগ নিতে চান- কক্সবাজারে প্রতি ১০ কি.মি. অন্তর একটি সুলভ-সহজলভ্য হাসপাতাল তৈরির। তার পরিকল্পনা রয়েছে এই কক্সবাজারের বুকেই বিশ^মানের ‘বঙ্গবন্ধু পর্যটন বিশ^বিদ্যালয়’ স্থাপনের।
কেবল, মুখের কথা নয়, এই নিয়ে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা ও রূপরেখাও তৈরি করে ফেলেছেন তিনি। আনিসুল হক চৌধুরী কক্সবাজারের প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌছে দিতে চান পর্যটনের সুফল। তাঁর পরিকল্পনায় আছে- পর্যটন নগরী কক্সবাজারেই বঙ্গবন্ধুর বিশে^র বৃহত্তম ভাষ্কর্য তৈরির। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর এই ভাস্কর্য দেখতে উৎসুক হবে সারা দুনিয়ার মানুষ।
আনিসুল হক চৌধুরী সোহাগের বড় পাওয়া, স্বয়ং বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের প্রশংসা ও অনুপ্রেরণা। তার কাজ ও উদ্যেগের প্রশংসা করেছেন- সজীব ওয়াজেদ জয়, রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, টিউলিপ সিদ্দিকের মতো বড় মাপের ব্যক্তিত্ব।
এগিয়ে থাকা বা মনোনয়ন পাওয়াকেই সবকিছু মনে করেন না, আনিসুল হক চৌধুরী সোহাগ। তিনি সবসময় কাজ করে যেতে চান বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মানুষের ভালোবাসা নিয়েই।
Posted ৮:১৪ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২১ নভেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta