নজরুল ইসলাম,কুতুবদিয়া(২৭ মে) :: বিদ্যুৎ আসার আধ ঘন্টার মাথায় হুট করে বাতি অফ। কিরে বাতি মনে হয় ফিউজ হইছে। পরীক্ষা- নিরাক্ষার পর বুঝা গেল বাতি ফিউজ হয়নি, বিদ্যুৎ চলে গেছে। এরপর বিদ্যুৎ আসতে একঘন্টাও লাগতে পারে আবার নাও আসতে পারে। মাঝে- মধ্যে আঁধ ঘন্টার মাথায় চলেও আসতে পারে। প্রতিদিনই নিয়ম করে এইভাবে লোডশেডিং হচ্ছে কুতুবদিয়ায়। এটিকে অনেকেই জেনারেটর বিকল হওয়ার পূর্বাবাস বলে মনে করছেন।
সাধারণ গ্রাহকরা বলছে,কুতুবদিয়ায় বিদ্যুৎ নিয়ে তামাশা শুরু করেছে কুতুবদিয়া বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত যে কয়েক ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করে তার মধ্যে দুই/ তিনবার করে লোডশেডিং করছে। পবিত্র রমজান মাসে তারাবি নামাজ পড়াকালীন লোডশেডিং করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারন মুসল্লিরা।
স্থানীয় উপজেলা জামে মসজিদের মুসল্লি হাফেজ শহিদ উল্লাহ জানান, রমজান মাস শুরু হওয়ার পর থেকে নিয়মিত দুই/ তিনবার লোডশেডিং করছে। বিশেষ করে তারাবির নামাজের সময় বিদ্যুৎ চলে গেলে মুসল্লিদের নামাজ আদায় করতে খুবই কষ্ট হয়।
এদিকে কুতুবদিয়া বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ( আবাসিক প্রকৌশলী) ইঞ্জিনিয়ার আবুল হাসনাত জানান,রমজান মাস শুরু হওয়ার পর থেকেই গ্রাহকদের মাঝে বিদ্যুতের চাহিদার পাশাপাশি ব্যবহার বেড়েছে দ্বিগুণ।
তাছাড়া আমাদের ৭৯৫ গ্রাহকের মধ্যে অধিকাংশ গ্রাহক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এসব দোকানের মালিকরা অধিক রাত পর্যন্ত ব্যবসা করার জন্য আইপিএস,ব্যাটারি চার্জ দিয়ে থাকে। ফলে সীমিত ক্ষমতার জেনারেটর মেশিনটি এত লোড নিতে পারে না। যে কারনে অতিরিক্ত লোড নিতে না পেরে মেশিনটি বন্ধ হয়ে যায়। আর এটাকে মানুষ লোডশেডিং ধরে অহেতুক আমাদের নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করে।
এখানে ৫০০ কিলোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন দুটি পাওয়ারটেক জেনারেটর মেশিন থাকলেও তার মধ্যে একটি বিকল হয়ে পড়ে আছে অনেক দিন ধরে।
তিনি জানান, অতিরিক্ত লোডের কারনে পূর্ববর্তী জেনারেটরটি নষ্ট হয়েছে। সেই একই কারনে বর্তমান চালু মেশিনটিও বিকল হতে পারে বলে মনে করেন তিনি। বিদ্যুৎ ব্যবহারে সংযত হতে সকল বযবসায়ীকে অনুরোধ জানান এ কর্মকর্তা। বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে বিকল মেশিন মেরামতসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানান তিনি।
এদিকে আবাসিক প্রকৌশলীর দেয়া এই খুঁড়াযুক্তি মানতে রাজি নয় গ্রাহকেরা। তারা এই প্রতিনিধিকে জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা থেকে রাত ১০ পযর্ন্ত মাত্র কয়েক ঘন্টার জন্য শ’ দু- এক গ্রাহকের মাঝে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে কুতুবদিয়া বিউবো। আর এতেই দুই/ তিনবার লোডশেডিং! যা কখনো মেনে নেয়া যায় না। শুধু রমজান মাস নয় রমজানের আগেও একই অবস্থা করেছে কুতুবদিয়া বিউবো।
কিন্তু মাস শেষ না হতেই এক লম্বা ভূতুড়ে বিল দিয়ে চলে যায় কর্তৃপক্ষ । সেই বিল পরিশোধে একটু বিলম্ব হলে কাঁধে মই নিয়ে হাজির হয় লাইন ম্যান।সচেতন মহলের দাবী,চোরাবাজারে বিক্রি করা সরবরাহের তেল পুষিয়ে নিতে এমন কৌশল অবলম্বন করছে কর্তৃপক্ষ।
Posted ৫:০২ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৭ মে ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta