বিশেষ প্রতিবেদক,কুতুবদিয়া(২৬ ফেব্রুয়ারী) :: সদ্য শেষ হওয়া এসএসসি পরীক্ষার হলে কড়া নজরদারী করায় কুতুবদিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মাসুদুল হাসানের উপর হামলা চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত।
তার প্রতিবাদে ২৬ ফেব্রুয়ারী স্কুল চালাকালীন সময়ে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইইএনও কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক/শিক্ষার্থীরা।
এসময় বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা জিগারুন নাহার, সহকারি শিক্ষক সজল দাশ,সহকারি শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন সহ অন্যান্য শিক্ষক,ছাত্রীরা মানববন্ধনে অংশ নেয়।
জানা যায়, ২৪ ফেব্রুয়ারী (শনিবার) রাত ১০ টার দিকে বড়ঘোপ মগডেইল এলাকায় দুবৃর্ত্তের হামলার শিকার হন কুতুবদিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালরে বিএসসি শিক্ষক মাসুদুল হাসান। এসময় তিনি অটো রিক্সাযোগে নিজ বাড়ি মুরালিয়া গ্রামে যাচ্ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ১০ টার দিকে মগডেইল ভাঙ্গা পুকুর এলাকায় কয়েকজন যুবকের হট্টগুল দেখে এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এসময় দুর্বৃত্তরা ওই শিক্ষককে মারধর করছিল বলে জানান তারা। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হলে পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। তবে দুর্বৃত্তদের কেউই ওই এলাকর নয় বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
এ ঘটনায় দুর্বৃত্তদের গ্রেফতার পূর্বক শাস্তি দাবি জানিয়েছেন অভিভাবক ও এলাকার সচেতন মহল।
এ বিষয়ে কুতুবদিয়া সরাকরি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সজল দাশ জানান, সদ্য সমাপ্ত এসএসসি পরীক্ষায় হলের দায়িত্ব পালন কালে অসুদোপায় অবলম্বনের চেষ্টা করায় কুতুবদিয়া হাইস্কুলের কয়েকজন পরীক্ষার্থীর খাতা কেড়ে নিয়ে সর্তক করেছিলেন মাসুদুল হাসান। এরই রেশ ধরে দুর্বৃত্তরা হামলা করতে পারেন বলে মনে করেন তিনি। দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করেছেন তিনি।
এদিকে অভিভাকরা জানিয়েছেন, পরীক্ষার হলে তীক্ষ্ম নজরদারী বিষয়টি উপজেলার কয়েকটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে অন্তঃদ্বন্দ্বের সৃষ্টি করেছে। ফলে এক স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে অন্য স্কুলের শিক্ষককে কটুবাক্য ব্যবহার করতে শুনেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তারা। শিক্ষকে-শিক্ষকে কটুক্তি ব্যবহার করে অন্তঃদ্বন্দ্ব সৃষ্টি হউক এটা আমরা কখনো আশা করিনা,বললে এক অভিভাবক।
কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ, দিদারুল ফেরদাউস জানান, পরীক্ষার হল কড়া-কড়ী ও রেশা-রেশীর বিষয়টি জানতে পেরে শেষ পরীক্ষার দিন বেশ সর্তক অবস্থানে ছিল পুলিশ।
তবে একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেছেন, শিক্ষকদেরর নিজস্ব কেচিং এ শিক্ষার্থী টানাতে একজন অন্যজনের বিরুদ্ধে কাদা ছুড়াছুড়ি করছেন। শিক্ষকদের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের রোশানলে পড়ে পরীক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছেন তারা।
Posted ১২:১২ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta