হাবিবুর রহমান সোহেল,নাইক্ষ্যংছড়ি(১ জুন) :: হিজড়াদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, যা পিছিয়ে পড়া নির্যাতিত ও অসহায় এই জনগোষ্ঠীর জন্য যথাযোগ্য প্রাপ্তিই বলতে হয়।
এর ফলে একদিকে যেমন তাদের মানবাধিকার নিশ্চিত হয়েছে, অন্যদিকে ধর্ম-বর্ণ, নারী-পুরুষভেদে সব ধরনের নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
আবার অনেক হিজড়া পরিবারচ্যুত বলে জনগণের সহানুভূতিও তাদের প্রতি প্রবল। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, রাস্তা, শপিংমল, সুপারমল, রেস্তোরাঁ, রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, পার্কসহ এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে তারা চাঁদাবাজি করে না। কেউ আবার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলেই চলে অশ্রাব্য গালাগালসহ দুর্ব্যবহার।
এতে অনেকেই বিব্রত হন। হিজড়াদের এই বেপরোয়া চাঁদাবাজি যেন দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। তাদের সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজির কাছে জনগণ জিম্মি হয়ে পড়েছে।
এদের দেখার যেন কেউ নেই! ঈদকে সামনে রেখে সারা দেশের সাথে পাল্লা দিয়ে ওই সব হিজড়ার দল রামুর গর্জনিয়া কচ্ছপিয়াতেও বেপরোয়া চাদাঁবাজিতে নেমেছে ওই হিজড়ার দল।
তাদের প্রতিদিনের এমন চাদাঁবাজিতে অসহায় হয়ে পড়েছে গর্জনিয়া বাজারের ব্যবসায়ীরা। যার কারনে ওই সব হিজড়ার দল বাজারে আসার খবর পেলে, অনেকে দোকান পাট বন্ধ করে অন্যত্রে চলে যায়।
বাজারের প্রতিষ্টত ব্যবসায়ী আবুল মনসুর জানান, ওই হিজড়ার দলকে তাদের চাহিদা মত চাদাঁ দিতে কেউ অপারগতা প্রকাশ করলে, তাকে ওই হিজড়ারা নানা রকম মানহানি করে। এমন কি তাদের চাহিদা পুরন না হওয়া পযর্ন্ত তারা দোকানে বসে থাকে।
মসজিদ মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী ও সাবেক সফল মেম্বার আবুল কাসেম জানান, ওই হিজড়ার দল বাজারে ডুকলে, বাজারে আসা ক্রেতা বিক্রেতা সকলের মাঝে আতংক বিরাজ করে।
ঔষুধ ব্যবসায়ী মাওলানা আলি আকবর জানান, ওই সব হিজড়াদের পুর্নবাসন করা গেলে, তাদের এমন চাদাঁবাজীর মতো খারাপ কাজ বন্ধ হবে। এলেকার সচেতন মহল ওই সব হিজড়া নামধারী চাদাঁবাজদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।
এদিকে বিকেলে গর্জনিয়া বাজারে হিজড়াদের এমন চাদাঁবাজির খবরে অনুসন্ধানে নামলে বেরিয়ে আসে নানা অজানা তথ্য। জোসনা হিজড়া নামে, এক হিজড়া জানান, তার বাড়ি ককসবাজার সদর উপজেলার ঈদগাওতে। আর সে থাকে ককসবাজার শহরের কলাতলী আদর্শ গ্রামে।
জোসনা আরো জানান, তাদের একটি শক্তিশালী হিজড়ার দল আছে। আর ওই দল নিয়ন্ত্রনে আছে এক শ্রেনীর মুখুশদারী রাজনৈতিক ব্যক্তি। যিনি ওই হিজড়াদের দিয়ে প্রতিনিয়ত চাদাঁবাজি করান বলে জানান, ওই জোসনা হিজরা।
এক প্রশ্নের জবাবে শাবনুর হিজরা নামে আরেক হিজড়া জানান, তাদের পুরো চাদাঁর টাকা আড়ালে থাকা ওই হিজড়া গডফাদার কে দিতে হয়। আর ওই গডফাদার তাদের কে দিন শেষে সামন্য মুজুরি দেন বলে জানান। জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে হিজড়াদের চাঁদাবাজি বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন এলেকার জনসাধারন।
এই ব্যাপারে কথা বলতে, গর্জনিয়া পুলিশ ফাড়ির আইসি পরিদর্শক মোহাম্মদ আলমগীরের যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, হিজড়াদের চাদাঁবাজির অভিযোগ পেলে ব্যবস্তা নেওয়া হবে। তবে এই ব্যপারে এলেকার সবাই কে সচেতন হওয়ার কথা বলেন, কচ্ছপিয়ার সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান ও বর্তমান ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদিন মেম্বার।
Posted ৫:৪১ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০১ জুন ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta