হাবিবুর রহমান সোহেল,নাইক্ষ্যংছড়ি(৯ মে) :: রামু উপজেলার বৃহত্তর গর্জনিয়া বাজারে গজে উঠা অসংখ্য দোকানে লাইস্নেস বিহীন যত্র তত্র গ্যাস বিক্রি হচ্ছে। এই সব দোকানীদের বিষ্পুরক অধিদপ্ত ও ফায়ার সার্ভিসের লাইস্নস থাকাতো দুরের কথা, ওই সব লাইস্নেসের ব্যাপারে তাদের কোন ধারনা নাই বলে জানান অধিকাংশ দোকান মালিক।
সরজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, গর্জনিয়া বাজারের অলি গলিতে প্রায় ২০ টির অধিক গ্যাসের দোকান আছে। অথচ তাদের কারো কাছে প্রয়োজনীয় লাইস্নস ও কাগজ পত্র এবং অগ্নি নির্বাপক যত্র নাই। যার কারনে সরকার যেমন একটি রাজস্বের অংশ হারাচ্ছে।
তেমনি ভাবে গর্জনিয়া বাজারের হাজারও ব্যবসায়ী এবং লাখ লাখ ক্রেতা সাধারন প্রতি নিয়ত ঝুকিতে রয়েছে বলে জানান, এলেকার সচেতন মহল। যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘনার আশংকা প্রকাশ করেন বাজার ব্যবসায়ীরা।
এই সব গ্যাস দোকানের মধ্যে গর্জনিয়া বাজারের পশ্চিম পাশে জামাত নেতা আবু তাহের কোম্পানী প্রতিষ্টিত মেসার্স নুরিন গ্যাস বিতান, বাজারের সিএনজি স্টেশনে খোর্শেদের গ্যাস বিতান, বাজারের দক্ষিন গলিতে ইউনিয়ন জামাত অফিসের সামনে আবু তাহের কোম্পানীর আরেকটি গ্যাস বিতান, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বেলাল সিকদারের সিকদার ট্রেড্রাস অন্যতম। এছাড়া আরো অসংখ্য নামে বেনামে গ্যাস ফেয়ার রয়েছে।
এই দিকে বাজারের বাইরে গর্জনিয়া কচ্ছপিয়ায় আরো বহু গ্যাস বিতান রয়েছে।
যে সব দোকানের কোন লাইস্নেস নাই। স্থানীয় নুরুল আমিন জানান, গর্জনিয়া বাজারে লাইস্নেস বিহীন গ্যাস দোকান গুলোতে নির্বাহী অভিযান পরিচালিত হওয়া দরকার। এই বিষয়ে কচ্ছপিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নোমানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।
পরে এই বিষয়ে কথা বলতে রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রমযানে বাজার নিয়ন্ত্রন নিয়ে কাল বৈঠক হবে। এই বিষয়ে তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।