সোমবার ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

সোমবার ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

ঘুমধুম রেজুগর্জনবনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চার শিক্ষকের মানবতার জীবনযাপন

শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৭
266 ভিউ
ঘুমধুম রেজুগর্জনবনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চার শিক্ষকের মানবতার জীবনযাপন

আব্দুল হামিদ,নাইক্ষ্যংছড়ি(১৩ অক্টোবর) :: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত ঘুমধুম ইউনিয়নে রেজু গর্জনবনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। নামেই মাত্র সরকারী। কিন্তু সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

দীর্ঘ ২৫ বছর যাবত বেতন ভাতা ছাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলের পাহাড়ী-বাঙ্গালী ছেলেমেয়েদের পাঠদান দিয়ে আসছে শিক্ষকেরা। বিদ্যালয়টি বর্তমানে জাতীয়করণের আওতায় আসলেও কোন শিক্ষক-শিক্ষিকা এ পর্যন্ত বেতন ভাতার মুখ দেখেনি।

নীতি-নৈতিকতায় এ দরিদ্র শিক্ষকেরা ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান চালিয়ে গেলেও পরিবারিক অভাব গোছাতে দুর্বিসহ জীবনযাপন করছেন তারা। মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন শিক্ষকেরা। এ কথাগুলো জানালেন স্থানীয় সাংবাদিকদের নিকট।

সরজমিনে সীমান্ত লাগোয়া পাহাড়ী জনপদ ৫৫ নং রেজুগর্জনবনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক, ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের সাথে আলাপকালে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক ছৈয়দ হামজা কান্না বিজড়িত অবস্থায় বলেন, ১৯৯২ সালে দুর্গম পাহাড়ী জনপদ উপজাতীয় অধ্যুষিত এলাকার কথা চিন্তা করে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয় এলাকার সকলকে নিয়ে। সেই থেকে আজ পর্যন্ত চলছে বিনা বেতনে। চারজন শিক্ষক আশার আলো নিয়ে দিন গুণছে।

প্রধান শিক্ষক ছৈয়দ হামজা আরো বলেন, বিদ্যালয়টি এ পর্যন্ত টিকিয়ে রাখতে তার সহায় সম্পদ পর্যন্ত বিক্রি করে দিতে হয়েছে। তিনি আক্ষেপের সুরে আরো বলেন, বিদ্যালয়টি গেল বার জাতীয়করণে আওতায় আসার পর থেকে একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাছাড়া ঐ ষড়যন্ত্রকারী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সব সময় ভুল বুঝিয়ে কানভারী করছেন বলেও তিনি জানান। সবকিছু মিলিয়ে কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণও তিনি তুলে ধরেন। এছাড়া বিদ্যালয়টির ছাত্র-ছাত্রীরা এখনো পর্যন্ত উপবৃত্তিও পাচ্ছে না বলে তিনি জানান।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রবীন মানুষ উপেন্দ্র লাল তঞ্চঙ্গ্যা কারবারী বলেন, বিদ্যালয়ে চারজন শিক্ষক ও শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। বিগত দিনে সমাপনী পরীক্ষায় শতভাগ পাশ সহ নিয়মিত পাঠদান দিয়ে আসলেও বেতন ভাতা না পাওয়ায় কর্তব্য কাজে নিরোৎসাহ হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও উপজেলা পরিষদের সদস্য শ্রীমতী ছিংমে তঞ্চঙ্গ্যা বিদ্যালয়টির সার্বিক উন্নয়ন ও বেতনভাতার ব্যাপারে মাসিক আইন শৃঙ্খলার সভায় তিনি উপস্থাপন করেছেন বলে জানান।

স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবুল কান্তি চাকমা বলেন, বান্দরবান জেলা পরিষদ থেকে ২০১৬-১৭ অর্থ বৎসরে বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হলেও বসার জন্য আসবাবপত্র সংকট, বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা, টয়লেট বাথরুম সহ এখনো নানা সমস্যায় জর্জরিত।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার বান্দরবান পার্বত্য জেলায় শিক্ষার মান উন্নয়নে অধিকতর বরাদ্দ রাখলেও এ বিদ্যালয়টি বারবার উন্নয়ন বঞ্চিত হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের ও প্রশ্ন।

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু আহমেদ বলেন, আমার এখানে কোন সমস্যা নাই। এ ব্যাপারে আমিও চিন্তিত। বিদ্যালয়টির ফাইল বর্তমানে জেলা পরিষদে আটকে আছে। যার ফলে এই দুরাবস্থা।

266 ভিউ

Posted ৪:৩০ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৭

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com