বিশেষ প্রতিবেদক(২৬ ডিসেম্বর) :: কক্সবাজারের বৃহত্তর উপজেলা চকরিয়ার একটি ভিডিও মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) থেকে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়েছে। নির্বাচনী সহিংসতার ওই ভিডিওটিতে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন যুবক হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। এদের মধ্যে এক যুবক একটি দেশে তৈরি কাটাবন্দুক (এলজি) দিয়ে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করতে করতে এগিয়ে যাচ্ছিল। অন্য যুবকরা হাতে লম্বা দা ও ধামা দা নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। সাধারণ লোকজন দৌঁড়ে সরে যাচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিওটি মূলতঃ চকরিয়া উপজেলাধীন চকরিয়া পৌর এলাকার চিরিঙ্গা সোসাইটির। মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে ওই যুবকরা এই মহড়া দেয়। এরা কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে মহাজোট প্রার্থীর হয়ে এই মহড়া দিয়েছে।
স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন, কাটাবন্দুক দিয়ে গুলিবর্ষণ করতে থাকা যুবকটি হলো রেজাউল করিম । এছাড়াও ওই মহড়ায় ধারালো অস্ত্র হাতে ছিল মিজান, বেলাল, রুহুল আমিন, জমির মেম্বার, আমিন, নুরুল হক, উড়িস্যা নামের বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসি যুবক।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, রেজাউল করিম নামের যুবকটি যখন গুলি করতে করতে সামনের দিকে যাচ্ছিল তখন আরেকজন ‘ইন ভালা ন’অঁর আঁরা, ইন ভালা ন’অঁর। (এটা ভালো হচ্ছে না, এটা ভালো হচ্ছে না)।
আরেকজন বলছিল, ‘ইক্কা কিয়াল্লা আই’ওর দে, ডিডিও কিল্লা গড়ত দে’। (এদিকে কেনো আসছো। ভিডিও কেনো করছো।)
ওই সময় একজন দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে গালাগাল দিতেও শোনা যায়।
এদিকে বিএনপি অভিযোগ তুলেছে, চকরিয়া-পেকুয়ার নির্বাচনী এলাকায় এভাবেই প্রতিদিন অস্ত্র হাতে মহড়া দিচ্ছে ক্যাডাররা। এটি তারই একটি অংশ মাত্র।
চকরিয়া পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র নুরুল ইসলাম হায়দার বলেন, ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর জন্য এসব করা হচ্ছে। বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে যারা কাজ করছেন তাদের এভাবে হামলা ও হুমকি দিয়ে বাধা দেয়া হচ্ছে।
তবে এই ধরণের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন কক্সবাজার-০১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট হাসিনা আহমদ। তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃংখলা বাহিনীকে এ ধরণের ঘটনার দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে বিএনপির একাধিক সূত্র দাবি করেছে, পুলিশের সহযোগিতায় এধরণের কর্মকান্ড চলছে চকরিয়া-পেকুয়ায়। এধরণের মহড়া দেয়ার সময় পুলিশ গাড়ি নিয়ে কিছু দূরে অপেক্ষা করে। কিন্তু ব্যবস্থা নেয় না। বরং তাদের সাথে পুলিশ অনৈতিক সুবিধা নিয়ে চলে যায়।