এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া(৬ জুলাই) :: চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরুতে লাগাতার ভারী বৃষ্টিপাত ও মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের তান্ডবে বর্তমানে নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে তলিয়ে যাচ্ছে চকরিয়া পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের নতুন নতুন বসতি। ভেঙ্গে যাচ্ছে বেশির ভাগ ওয়ার্ডের গ্রামীণ রাস্তাঘাট।
এ অবস্থার কারনে চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছেন পৌরসভার সর্বস্তরের জনসাধারণ। তবে নদী ভাঙ্গন আতঙ্কে তীরবর্তী জনপদে পৌরবাসির মাঝে চরম উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
বর্ষা মৌসুমের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের তান্ডবে ইতোমধ্যে মাতামুহুরী নদীতে তলিয়ে যাওয়া চকরিয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের নামার চিরিঙ্গা, কোচপাড়া, মজিদিয়া মাদরাসা পয়েন্ট পরিদর্শন করেছেন মেয়র আলমগীর চৌধুরী। সাথে ছিলেন পৌরসভার সচিব মাস-উদ মোর্শেদ, কাউন্সিলর মুজিবুল হক মুজিব, পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী মৃনাল ধর।
শুক্রবার পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের রাস্তা-ঘাটের ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন মেয়র। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর জামাল উদ্দিন, শেফায়েত ওয়ারেসি ও এলাকার গর্ণমান্য ব্যক্তিবর্গ।
জানতে চাইলে চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, চলতি মৌসুমের বর্ষার শুরুতে পৌরসভার বিভিন্ন জনপদে বিশেষ করে মাতামুহুরী নদীর তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক নদী ভাঙ্গনের শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের কোচপাড়া পয়েন্টের বিশাল এলাকা নদীতে তলিয়ে গেছে।
অন্তত ১০-১২টি বসতঘর এবারের বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এখনো কোচপাড়া, নামার চিরিঙ্গা, মজিদিয়া মাদরাসা ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঘুনিয়া দিগরপানখালী পয়েন্টে নদীতে তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম অবস্থায় রয়েছে শতাধিক বসতঘর, দোকানপাট ও মসজিদ মাদরাসাসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
তিনি বলেন, ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল বারী পাড়া, ছাবেতপাড়া, চরপাড়া, কাজীরপাড়া, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তরছঘাটা, জলদাশপাড়া ও বাটাখালী সেতুর দুই পাশের চারটি গ্রামের অন্তত দুই শতাধিক বসতঘর।
এছাড়াও ভারী বৃষ্টিপাতের কারনে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে বর্তমানে বেশির ভাগ গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট ভেঙ্গে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত পৌরসভার সকল ওয়ার্ডের রাস্তা-ঘাট, বেড়িবাঁধ, নদীর তীর এলাকা দ্রুত মেরামতের জন্য পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
Posted ১১:৩৬ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০৬ জুলাই ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta