মুকুল কান্তি দাশ,চকরিয়া(২৯ জুলাই) :: দীর্ঘদিন ধরে একশ্রেনীর বালু ব্যবসায়ী চকরিয়ার মাতামুহুরী নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিলো। প্রশাসনের অভিযানের ফলে মাঝে মাঝে বন্ধ থাকে বালু উত্তোলন। কিন্তু বেশ কিছুদিন অভিযান বন্ধ থাকার সুযোগে আবারো শুরু করে বালু উত্তোলন।
এমন সংবাদ পেয়ে রবিবার সকাল ১০টার দিকে চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) খোন্দকার মো.ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাতের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত মাতামুহুরী নদীর ব্রীজ পয়েন্টে অভিযানে যায়।
এসময় তিনটি মেশিন ও ১ হাজার ফুট পাইপ জব্দ করে প্রশাসন। তবে কাউকে আটক করেত পারেনি। এসময় ভ্রাম্যমান আদালতে সাথে ছিলেন চকরিয়া থানার একদল পুলিশ, ভুমি অফিসের সহকারী তপন কান্তি পাল।
চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) খোন্দকার মো.ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাতের বলেন, মাতামুহুরীর নদীর ব্রীজ পয়েন্টে মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালায়। এসময় ওইসব স্থান থেকে তিনটি মেশিন ও ১ হাজার ফুট পাইপ জব্দ করা হয়।
তিনি আরো বলেন, মাতামুহুরী নদী থেকে অবৈধভাবে আর কাউকে বালু উত্তোলন করতে দেয়া হবেনা। যারা এসব কাজে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, দীর্ঘদিন ধরে এক শ্রেণীর বালু খেকোর দল নদীতে মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে মাতামুহুরী নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে বালু উত্তোলন করে আসছে। বালু উত্তোলনের ফলে নদীর বেশ কয়েকটি স্থানে চোরাবালির সৃষ্টি হয়েছে এবং ওইসব স্থানে পানির গভীরতাও বেশি। সম্প্রতি মাতামুহুরী নদীর ব্রীজ পয়েন্ট এলাকায় নদীতে নামলে চোরাবালিতে আটকে পাঁচজন মেধাবী ছাত্র প্রাণ হারায়।
তারা আরো জানান, প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে দিনের বেলায় মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে এক জায়গায় স্তুপ করে রাখে বালু। পরে রাত হলেই ওইসব বালু গাড়ি ভর্তি করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি উদ্যোশে নিয়ে যায়। যেসব স্থান থেকে মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হয় সেসব স্থানে পানির গভীরতা বেশি। পাশাপাশি চোরাবালিও রয়েছে। যার কারণে চোরাবালিতে আটকে প্রাণ হানির মতো ঘটনা ঘটেছে।
Posted ৪:৪২ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৯ জুলাই ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta