এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া(৫ জুলাই) :: চকরিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার সকালে সড়ক ও জনপথ বিভাগের আয়োজনে মাতারবাড়ি প্রস্তাবিত বন্দর সংযোগ সড়ক প্রকল্পের অংশীজনের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরউদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত থেকে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম।
অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চকরিয়া থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফাসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, সড়ক বিভাগের কর্মকর্তা। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা, সাধারণ সম্পাদক ও সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন বাবুল, চিরিঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন, বদরখালী ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল বশর, সাবেক চেয়ারম্যান ও বদরখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরে হোছাইন আরিফ, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন টিটু। এছাড়াও সভায় প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, এনজিও কর্মকর্তা, মাতারবাড়ি প্রস্তাবিত বন্দর সংযোগ সড়ক প্রকল্পের অংশীদার জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রধান অতিথি চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ জাফর আলম বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারকে আধুনিকমানের জনপদ হিসেবে ঢেলে সাজাতে পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছেন। এইজন্য সরকার বর্তমানে উন্নয়নখাতে হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। উন্নয়ন কর্মসুচির আওতায় বর্তমানে জেলার দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে উন্নয়নের মহাযঞ্জ চলছে। এই মহাযঞ্জের সাথে চকরিয়া-পেকুয়াকেও সম্পৃক্ত করেছে সরকার।
তিনি বলেছেন, বর্তমানে মহেশখালীর মাতারবাড়িতে চলছে কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পিত উন্নয়ন। আগামী দুইবছরের মধ্যে এই কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুত দেশের জাতীয় গ্রিটের সাথে যুক্ত হবে। তাতে দৃশ্যমান অগ্রগতি হবে দেশের অর্থনৈতিক খাতে। সরকারের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের বদৌলতে অর্থনৈতিক অগ্রগতির সাথে চকরিয়া-পেকুয়াবাসিও এগিয়ে যাবে। বিশেষ করে প্রস্তাবিত মাতারবাড়ি বন্দর সংযোগ সড়ক প্রকল্পের অধীনে মাতারবাড়ি থেকে বদরখালী হয়ে চকরিয়া উপজেলা সদরের সাথে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা নেয়া সড়কটি বাস্তবায়ন হলে বদলে যাবে চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার পাঁচ লাখ মানুষের ভাগ্য।
উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলম বলেছেন, প্রস্তাবিত মাতারবাড়ি বন্দর সংযোগ সড়ক প্রকল্পের অধীনে যাতে নতুন সড়কটি নির্মাণ করা যায় সেইজন্য চকরিয়া উপজেলার বদরখালী থেকে শুরু করে সব অঞ্চলের জনগনকে সহযোগিতা করতে হবে। সরকার চাইলে জমি দিতে হবে। তবে এইজন্য সরকার প্রতিটি জমি মালিককে অধিগ্রহনকৃত জমির বিপরীতে আর্থিকভাবে সহযোগিতা দেবে।
সভায় উপস্থিত অংশীজনদের (প্রস্তাবিত সড়ক নির্মাণে যাদের জমি অধিগ্রহনের আওতায় পড়বে) উদ্দেশ্যে বলেছেন, চকরিয়া উপজেলার মাঝখান দিয়ে প্রস্তাবিত সড়কটি নির্মাণ করা গেলে আগামী কয়েকবছরের মধ্যে চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলায় অর্থনৈতিকভাবে সম্ভাবনার নতুন দিগন্তের সুচনা করবে। জনগনের ভাগ্য পরিবর্তন ঘটবে। তাতে বদলে যাবে চকরিয়া উপজেলার বর্তমান প্রেক্ষাপট।
Posted ৯:৪৯ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০৬ জুলাই ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta