মুকুল কান্তি দাশ,চকরিয়া(১২ মে) :: কক্সবাজারের চকরিয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৪৭টি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আনুমানিক ১৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা জানিয়েছেন।শনিবার ১২ মে ভোররাত দুইটার দিকে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী বাজারে অগ্নিকান্ডে এ ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছার আগেই ৪৭টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। দেরিতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসায় স্থানীয় জনতা উত্তোজিত হয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ধাওয়া দেয় এবং পানিবাহী গাড়ির ভাংচুর করে। এতে ফায়ার সার্ভিসের ৭ কর্মী আহত হয়। আহতের বিষয়ে জানতে চকরিয়া ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার জিএম মহিউদ্দিনের মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
ক্ষতিগ্রস্ত ফল ব্যবসায়ী আবু তাহের জানান, রাত ১১টার দিকে দোকন বন্ধ করে বাড়িতে চলে যাই। সকালে এসে দেখি আমার দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম। এভাবে ৪৭ দোকান মালিকদের আহাজারীতে ওই এলাকার আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।
বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুল বশর বলেন, মশার কয়েলের আগুন মশারিতে লেগে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তিনি ব্যবসায়ীদের ১৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেন।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, ঘটনাস্থলে পৌছে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের সহায়তার আশ্বাস দিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে ক্ষতির তালিকা নিরুপণ করে উপজেলা প্রশাসনের কাছে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছি। পরে ওই তালিকা জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হবে।
ফায়ার সার্ভিসের লোকজনের উপর হামলা ও গাড়ি ভাংচুরের ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউএনও বলেন, বদরখালী বাজার চকরিয়া শহর থেকে একটু দুরে হওয়ায় হয়ত ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌছতে দেরী হয়েছে। তবে তাদের উপর হামলার ঘটনাটি ঠিক হয়নি।
তিনি আরো বলেন, বদরখালী ইউনিয়ন সংলগ্ন উপকূলীয় ৫ ইউনিয়ন ও মহেশখালী উপজেলার দুই ইউনিয়নের লোকজন যাতে দ্রুত সময়ে দমকল বাহিনীর সহযোগীতা পায় তার জন্য বদরখালীতে ফায়ার ব্রিগেড স্থাপনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে একটি প্রস্তাব পাঠানো হবে।
Posted ৩:১২ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১২ মে ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta