এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া(২৬ অক্টোবর) :: আওয়ামীলীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাত পরবর্তী নির্দেশনার পর অবশেষে চকরিয়ায় পৌঁছে শুক্রবার জুমার নামাজের পর আনুষ্ঠানিকভাবে চকরিয়া-পেকুয়া (কক্সবাজার-১) আসনে নৌকার সমর্থনে নির্বাচনী দলের সকলস্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে প্রচারনায় নামলেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম।
জুমার নামাজ শেষে চকরিয়া পৌরশহর চিরিঙ্গার সোসাইটি জামে মসজিদের সামনে থেকে চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলম নির্বাচনী প্রচারনা শুরু করেছেন।
একাদশ নির্বাচনের প্রচারনা চালানোর সময় সাধারণ মানুষের মাঝে শেখ হাসিনার বার্তা পৌঁছে দিয়ে নৌকায় ভোট চান জাফর আলম। এর আগেও তিনি দুই উপজেলা চকরিয়া ও পেকুয়ায় ব্যাপক গণসংযোগ করেন। প্রচারণাকালে জাফর আলম জনগণের মাঝে সরকারের উন্নয়ন কর্মকা-ের বিবরণ তুলে ধরে নৌকায় ভোট চান। প্রচারনা শুরুর আগে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ জাফর আলম ঢাকা থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে নেমে প্রয়াত জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোজাম্মেল হকের কবর জিয়ারত করেন।
প্রসঙ্গত: দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাফর আলমকে কক্সবাজার-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। কিন্তু আসনটি মহাজোটভুক্ত শরিক দল জাতীয় পার্টিকে (এরশাদ) ছেড়ে দেওয়া হয়। এর পর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির মৌলভী মোহাম্মদ ইলিয়াছ।
চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘এক সময়ের বিএনপির দুর্গ চকরিয়া ও পেকুয়ায় বর্তমানে নৌকার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। গত ১০ বছর ধরে চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলমের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা এই অসাধ্য সাধন করেছেন। সম্প্রতি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নির্বাচনী প্রচার যাত্রাদলটি কক্সবাজার যাওয়ার সময় চকরিয়া পৌরবাস টার্মিনাল মাঠের লাখো মানুষের জনসভা দেখে অভিভূত হন।
এ সময় কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত জনতাকে আশ্বস্ত করেন কক্সবাজার-১ আসনে এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী দেওয়ার এবং যার জনপ্রিয়তা বেশি তাঁকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে। এতে চকরিয়া ও পেকুয়ার তৃণমূল নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও আশায় বুক বেঁধেছে স্বাধীনতার পর এই আসনটি শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে।’
পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস আগামী নির্বাচনে এই আসন আর জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া হবে না। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চকরিয়া-পেকুয়ার গণমানুষের নেতা জাফর আলমকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে। কেন্দ্রের এমন নির্দেশনা থাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে নৌকার প্রচারণায় জাফর আলমের নেতৃত্বে আমরা মাঠে নেমেছি। ইতিমধ্যে পেকুয়া সদর ইউনিয়নসহ আশপাশের কয়েকটি ইউনিয়নে গণসংযোগ করার সময় সাধারণ মানুষ উপড়ে পড়ে নৌকার পক্ষে।’
দলীয় সূত্র জানায়, জাফর আলম দলের হাল ধরার পর থেকে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষের কাতারে থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছেন। গত ১০ বছর ধরে তিনিই মাঠ দখলে রেখেছেন আওয়ামী লীগের রাজনীতির। তাই কেন্দ্রের নির্দেশনায় অনেক আগে থেকেই চকরিয়ার ১৮ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এবং পেকুয়া উপজেলার সাত ইউনিয়নে গণসংযোগ করেন জাফর আলম।’
এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাফর আলম বলেন, ‘দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আমার নাম কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু জাতীয় পার্টিকে এই আসন ছেড়ে দেওয়ায় মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় দলের প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে। ওইসময় আমাকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল, একাদশ সংসদ নির্বাচনে দল থেকে আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে।
চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলম বলেন, ‘এলাকার উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণ করাই আমার রাজনীতি। তাই চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার জনগণ আমার প্রাণ। আগামী নির্বাচনে তাদের ভালোবাসায় আমি এগিয়ে যেতে চাই এবং এই আসন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে চাই।’
প্রচারনাকালে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের অসংখ্য নেতাকর্মী।
Posted ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta