কক্সবাংলা ডটকম(২৭ জুন) :: ছাগলকাণ্ডে আলোচিত এনবিআরের সদস্য পদ থেকে সদ্য প্রত্যাহার করা ড. মো. মতিউর রহমানের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সখ্যতা নিয়ে আলোচনার মধ্যে দু’জনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
একটি ছবিতে দু’জনকে হজের এহরাম বাঁধা অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। অপর ছবিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে গভর্নর কার্যালয়ে রউফ তালুকদারকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন মতিউর।
মতিউর রহমান ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তিন বছরের জন্য সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদে নিয়োগ পান। বর্তমান গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ওই সময় অর্থসচিব ছিলেন।
তার জোর সুপারিশে তিনি সোনালী ব্যাংকের পরিচালক হয়েছিলেন এমন আলোচনার মধ্যে এই ছবি সামনে এল। জানা গেছে, একটি ছবি ২০২৩ সালে হজের সময়ে সৌদি আরবে তোলা।
অপর ছবিটি ২০২২ সালের আগস্টে আব্দুর রউফ তালুকদার গভর্নর নিয়োগের পর তাকে শুভেচ্ছা জানাতে বাংলাদেশ ব্যাংকে যান মতিউর রহমান।
বুধবার ছবি দু’টি ভাইরাল হলেও গত কয়েকদিন ধরে দু’জনের সখ্যতা বিষয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে আলোচনা চলছে।
গত রোববার সমকালসহ কয়েকটি গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে গভর্নরের কাছে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হকের মাধ্যমে প্রশ্ন করলে ওই দিনই তিনি তা গভর্নরের কাছে পৌঁছে দেন বলে জানান।
গভর্নরের কাছে সেখানে জানতে চাওয়া হয়- তিনি অর্থ সচিব থাকা অবস্থায় মতিউর রহমানকে সোনালী ব্যাংকের পরিচালক বানাতে হস্তক্ষেপ এবং মতিউরের মাধ্যমে বেনামে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বিষয়ে যে অভিযোগ উঠেছে এ বিষয়ে তার মন্তব্য কী?
এ বিষয়ে বুধবার টেলিফোন করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ‘গভর্নর জানিয়েছেন এসব সঠিক না।’
মতিউরের দুর্নীতি নিয়ে ব্যাপক আলোচনার মধ্যে গত সোমবার সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত রোববার কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের সভাপতির পদ থেকে তাকে প্রত্যাহার করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়।
দুদকের অনুরোধে মঙ্গলবার মতিউর, তার দুই স্ত্রী ও পাঁচ সন্তানের ব্যাংক ও বিও অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার মতিউর, তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ ও ছেলে আহমদ তৌফিকুর রহমানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
অনিয়ম–দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ায় অনেক আগ থেকেই এনবিবারে আলোচিত মতিউর রহমান।
এর আগে বিভিন্ন সময়ে দুদকে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এলেও শেষ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তবে এবার ঈদুল আজহার আগে এনবিআরের সদস্য মতিউর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রীর পক্ষের ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত ১৫ লাখ টাকার ছাগল কিনতে গিয়ে আলোচনায় আসেন।
ড. মো. মতিউর রহমানের দুই স্ত্রী হলো লায়লা কানিজ ও শাম্মী আখতার শিবলী।
আর পাঁচ সন্তানের মধ্যে প্রথম স্ত্রীর পক্ষের সন্তান ফারজানা রহমান ইপ্সিতা, আহাম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণব, দ্বিতীয় স্ত্রীর পক্ষের সন্তান ইফতিমা রহমান মাধুবী, মুশফিকুর রহমান ইফাত ও ইরফানুর রহমান ইরফান।
ছাগলকাণ্ড নিয়ে আলোচনার মধ্যে মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। তারা দেশ ছেড়েছেন এমন আলোচনার মধ্যে কর্মস্থলেও যাননি তিনি।
‘বিশ্বাস করেন, আমার বাবারে প্রটেক্ট করার কোনো ইচ্ছাই আমার নেই। তার ওপর আমার জিদ। আল্লাহর কসম, বাবারে আমি ছারুম না।
সে আমারে ধোঁকা দিছে (দিয়েছে), আমার মারে (মাকে) ধোঁকা, আমার ভাইরে ধোঁকা দিছে। আমি তারে ছারুম? জীবনেও না।
তার জন্য আমার নাম নষ্ট হবে, মার নাম নষ্ট হবে, এইটা আমি হইতে দিমু না।’-এগুলো কোনো নাটক বা সিনেমার সংলাপ নয়।
সম্প্রতি ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মতিউরের কানাডা প্রবাসী মেয়ে ফারজানা রহমান ইপ্সিতা তার স্বজনের কাছে ভয়েজ মেসেজে এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাঠানো চাঞ্চল্যকর ওই ভয়েজ মেসেজের বেশকিছু ক্লিপ এসেছে ।
শুধু প্রথম পক্ষের এই মেয়ের ক্ষোভ নয়, মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে পাড়ি জমানো দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিভলীও চরম দুশ্চিন্তা ও হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন।
তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছেন মতিউর।
যে মেয়ের সঙ্গে দিনে অন্তত একবার কথা বলতেন, সেই মেডিকেল পড়ুয়া মেয়ে মাধবী বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে ভেঙে পড়েছেন।
আর প্রথম স্ত্রী রায়পুরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ ও তার সন্তানরা আজকের এ পরিস্থিতির জন্য দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী-সন্তানদের দায়ী করছেন।
একই সঙ্গে স্বামীকে ডিভোর্স দিতে দ্বিতীয় স্ত্রীকে চাপ দিচ্ছেন মতিউরের বোন।
বিশেষ করে মঙ্গলবার মতিউরের বিভিন্ন ব্যাংক ও পুঁজিবাজারের বিও অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার পর সব ওলটপালট হয়ে গেছে। ভাইয়েরাও চলে গেছেন আত্মগোপনে।
বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষীরাও দূরে সরে আক্ষেপ ও মজার ছলে বলছেন-এক ছাগলে তছনছ হয়ে গেছে মতিউরের সাজানো বাগান। একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ইতোমধ্যে বিশ্বখ্যাত ম্যাকলারেন ব্র্যান্ডের বিলাসবহুল গাড়ির ছবিসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছেন এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের প্রথম পক্ষের মেয়ে ফারজানা রহমান ইপ্সিতা।
যে বাবার কল্যাণে কানাডায় তার বিলাসী জীবন, সেই বাবাকেই এখন ছেড়ে কথা বলছেন না।
স্বজন-শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে চালাচালি হওয়া তার একাধিক ভয়েজ মেসেজের ক্লিপ এসেছে । এসব মেসেজের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো:
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছাগলকাণ্ড ভাইরাল হওয়ার প্রসঙ্গে ইপ্সিতা তার ভয়েজ মেসেজে বলেন, ‘মানুষের দোষ তো নাইরে ভাই। দেশের মানুষ তো আসলেই কষ্ট করে।
এই লোকটা আমার মারে এত বড় চিট করল ভাই। আমি এক মিনিট পরপর আমার মার (মায়ের) সঙ্গে কথা বলতাছি (বলছি)। আমার মা হাউমাউ করে কান্দে (কাঁদে)। আমার ভাই কান্দে।
আমার ভাই আমারে বলে, বাপ আমাদের কখনো ভালোবাসে নাইরে আপু। ভালোবাসলে সে এইভাবে চিট করত না। এখন কী করব জানিনারে ভাই। আমার আর ভাল্লাগে (ভালো লাগে) না।
মানুষের রাগ তো আমি বুঝতে পারছি। বিকজ আপনারা অনেক ভুক্তভোগী। এই…সরকার। আল্লাহ মাফ করুক, আসলেই ভুক্তভোগী।
কিন্তু আমার ফ্যামেলি, আমার, আমার মা-ভাইয়ের কোনো দোষ এখানে ছিল না ভাই। তার আছে অনেক। আমি জানি টাকাপয়সাও ইলিগ্যাল না।
তার ভালো ফ্যামেলি। বিয়াও করছিল ভালো ফ্যামেলির মাইয়া (মেয়ে)। তাইলে ভালো ফ্যামেলির মাইয়ারে বিয়া (বিয়ে) কইরা (করে) তুই রাখতে পারলি না।
তোর এত খারাপ লাগছে, আমার মারে ছাইড়া তুই চইলা যাইতি। তুই আমাদের চিট করলি কেন। তুই তোর চাকরি বাঁচাইতে পারবি, টাকা বাঁচাইতে পারবি।
কিন্তু তুই যে আমাদের ধোঁকা দিছোস, এইটা আমরা কী করুম। আমরা কই যামু (যাব), কারে মুখ দেখামু (দেখাব)।’
ভয়েজ মেসেজের আরেকটি ক্লিপে তিনি বলেন, ‘আমার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টটা খাইয়া দিছে হ্যাকারে। ইভেন আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রবলেম করতাছে। মানুষ আমার পেছনে লাগছে কেন বুঝলাম না।
ইভেন আমার পেজে…এগুলো কে করাচ্ছে? আমি কার ক্ষতি করলাম। আমার মার অ্যাকাউন্টে প্রবলেম করতাছে।
আমার মা তো একজন উপজেলা চেয়ারম্যান। এখানে না, কেউ একজন মাস্টার গেম আছে, মানে কেউ একজন আমাদের সঙ্গে গেম খেলতাছে।
আমি হান্ড্রেড পার্সেন্ট শিওর। আপনি পলিটিক্সে ছিলেন। আপনি বোঝেন না। মনে হইতাছে আমাদের সঙ্গে গেম খেইলা ওই ফ্যামেলি সামনে আসতে চাইতাছে।
বেটার তো আসলেই টাকাপয়সা আছে। তার পুরা চৌদ্দ গোষ্ঠী ভালো বিজনেজ কইরা যাইতেছে। তার ভাই ভালো বিজনেজ করে।
এক্সপোর্ট-ইম্পোর্টের বিজনেস। তার ছোট ভাইয়ের তিন-চারটা গার্মেন্ট। সব নিজের। তার তো কিছুর অভাব নাই।
আমার কেন জানি মনে হয়, সম্পত্তির জন্য ওই সেকেন্ড ফ্যামেলি সামনে আসতে চাইছে। বাপে মনে হয় বলছে না, এখন সে আমাদের অ্যাকিউস কইরা কইরা এই কাহিনিটা করছে।
নাইলে কেন করবে। এখন কয় ছাগল সে কিনে নাই। ছাগল বউয়ের জন্য কিনছে, বউ পছন্দ করছিল। অথচ শুরুতে কইছিল বাবা পছন্দ করছে। শুরু কী করছে পোলায়।’
মতিউরের প্রমোশন, সম্পদ, ব্যবসা-বাণিজ্য ও পারিবারিক ড্রামার অনেক তথ্য ফাঁস হয়েছে ইপ্সিতার ভয়েজ মেসেজে।
জানা যায়, মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজও আত্মগোপনে আছেন। ঈদের পর থেকে তিনি উপজেলা পরিষদের অফিসে যাওয়া থেকে বিরত রয়েছেন।
নেই বসুন্ধরার বাসায়। কোথায় আছেন, তা তার ঘনিষ্ঠজনরাও বলতে পারছেন না।
প্রথম পক্ষের ছেলে আহমদ তৌফিকুর রহমানও পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছেন না। বন্ধুবান্ধব কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না।
এমনকি লায়লা কানিজ, কাইয়ুমসহ পরিবারের অন্যরা ঈদের দুইদিন পর পর্যন্ত যেসব মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতেন, সেগুলো এখন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, কৌশল হিসাবে তারা নতুন মোবাইল নম্বর ব্যবহার করছেন।
পারিবারিক ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, মতিউরের সাজানো রাজ্য এমনভাবে তছনছ হয়েছে যে, যাকে নিয়ে এই ছাগলকাণ্ড, সেই ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত দুই দফা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তার মা শাম্মী আখতার আছেন প্রচণ্ড চাপে।
একদিকে ইফাত মানসিক যন্ত্রণার কথা বলে স্ত্রীকে মালয়েশিয়া উড়িয়ে নিতে তাকে চাপ দিচ্ছেন, অন্যদিকে মতিউরের বোন তাকে ফোন করে ডিভোর্স লেটার পাঠাতে হুমকি দিচ্ছেন। ইফাতের আরেক বোন মাধবী ঢাকার একটি এলাকায় এখন ঘরবন্দি।
মেডিকেল কলেজের ছাত্রী হয়েও সামাজিক লোকলজ্জার ভয়ে তিনি ক্লাসে যাচ্ছেন না।
এছাড়া মতিউরের ভাইয়েরাও আত্মগোপনে আছেন। তার ছোটো ভাই এম কাইয়ুম হাওলাদার টঙ্গীর এসকে ট্রিম অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
তিনি বেশ কয়েকদিন ধরে কারখানায় যাচ্ছেন না। থাকছেন না বাড়িতেও। আরেক ভাই নূরুল হুদাও প্রকাশ্যে চলাফেরা করছেন না।
যারা বিভিন্ন সময় মতিউর রহমানের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন, সেই শুভাকাঙ্ক্ষীরাও নিরাপদ দূরত্বে চলে গেছেন।
এর মধ্যে অনেক গণমাধ্যমকর্মীও আছেন, যারা তার কাছ থেকে ব্যাপক সুবিধা নিয়েছেন, তাদের কেউ কেউ এখন উলটো মতিউর পরিবারের গোপন তথ্য ফাঁস করে দিচ্ছেন।
জানা যায়, মতিউর রহমানের ব্যক্তিজীবন রহস্যঘেরা। বাইরে তিনি নিজেকে ধর্মভীরু বলে প্রচার চালালেও অন্দরমহলে তার চলাচল ছিল বেপরোয়া।
মতিউর নিজের ফেসবুক ওয়ালে প্রতিদিন হাদিস ও আল কুরআনের বাণী আপ করতেন। অথচ তিনি অসৎপথে বিপুল ধনসম্পদের পাহাড় গড়েছেন।
ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বসুন্ধরার বাসা থেকে বের হওয়ার পর কুড়িল বিশ্বরোড পৌঁছেই তিনি গাড়ি পরিবর্তন করতেন।
কাকরাইলের এনবিআর অফিসে যেতে তিনি তিনবার পালটাতেন গাড়ি। এমনকি এক গাড়ির চালক আরেক গাড়ির চালকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারতেন না।
কবে কোন গাড়ি তিনি ব্যবহার করবেন, সেটাও চালকদের সবাই জানতেন না। নিজস্ব পরিকল্পনামাফিক চালকদের ফোন করে নির্ধারিত জায়গায় থাকতে বলতেন।
কেন তিনি এটা করতেন, তা কেউ বলতে পারেনি। প্রতিদিন তিনি তার নিজের মনোরঞ্জনে লাখ লাখ টাকা ব্যয় করতেন বলেও জানা গেছে।
Posted ১:৫৮ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta