কক্সবাংলা ডটকম(১৩ ডিসেম্বর) :: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে মহাসাগর ও সমুদ্র বিষয়ক আইনের ওপর আলোচনায় ‘ডেল্টা প্ল্যান ২১০০’ এর কথা তুলে ধরল বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ‘মহাসাগর ও সমুদ্র বিষয়ক আইন’-এর উপর ৭৩তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ প্লেনারির এজেন্ডাভূক্ত এক আলোচনায় অংশ নেন জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ও উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম।
এ বিষয়ে তারেক মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন সুনীল অর্থনীতি (ব্লু ইকোনমি) একটি নতুন ‘উন্নয়ন ক্ষেত্র’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আর এই সুনীল অর্থনীতির বিকাশের জন্য সামুদ্রিক জাহাজ, সমুদ্র বন্দর, জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজের পুনঃব্যবহার, সামুদ্রিক মৎস্য, সামুদ্রিক লবণ, উপকূলীয় পর্যটন, মহাসাগরীয় শক্তি, ভূমি পূনরূদ্ধার, সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও নজরদারি এবং মানব সম্পদ উন্নয়ন ও প্রশাসনকে অগ্রাধিকার বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ।’
‘মহাসাগর ও সমুদ্র বিষয়ক আইন’ সংক্রান্ত এ আলোচনায় বাংলাদেশের জাতীয় পদক্ষেপের এসকল তথ্য উল্লেখ করার পাশাপাশি এসডিজি’র অভীষ্ট ১৪ এর বাস্তবায়ন এবং এক্ষেত্রে মৎস্য ভতুর্কি সংক্রান্ত ডব্লিউটিও এর নেগোসিয়েশান সম্পূর্ণ করার উপর বিশেষ জোর দেন উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি।
তাছাড়া জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারণে সমুদ্রতলের উচ্চতা বৃদ্ধি, মহীসোপানের সীমা নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিশনে মুলতবি থাকা বিভিন্ন আবেদন নিষ্পন্ন করার কাজে গতি আনার বিষয়টিও তিনি বক্তব্যে তুলে ধরেন।
সমুদ্র ব্যবহার করে ব্যাপকভাবে অভিবাসী ও শরণার্থীদের গমনাগমণের বিষয়ে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স তাঁর উদ্বেগের কথা জানান। এসকল অনিয়মতান্ত্রিক মানব চলাচল মোকাবিলা করতে সংশ্লিষ্ট দেশসমূহকে এগিয়ে আসা, পুশ ও পুল ফ্যাক্টর বিবেচনা এবং সমুদ্রে নজরদারি বাড়ানোর উপর জোর দেন। এ প্রসঙ্গে বাস্ত্যুচ্যুত রোহিঙ্গাদের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
সমুদ্র বিষয়ে উন্নয়নশীল দেশসমূহের সক্ষমতা বিনির্মাণ ও সমুদ্র বিষয়ক প্রযুক্তির হস্তান্তর বিষয়টিকে তিনি বিশেষ গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেন। জাতিসংঘের সমুদ্র বিষয়ক আইন সংক্রান্ত কনভেনশনের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পূনর্ব্যক্ত করেন বাংলাদেশ মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স।
Posted ১১:২২ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta