কক্সবাংলা ডটকম(১০ সেপ্টেম্বর) :: বিধি-নিষেধে কাবু জামায়াতে ইসলামী। হারিয়েছে দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লাও। এরপরও দলটিতে চলছে নির্বাচনের তোড়জোড়।
জানা গেছে, দীর্ঘ সময় রাজনীতির মাঠে না থাকায় অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে জামায়াতে ইসলামী। আর নির্বাচন ঘিরে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থেই জোটের মূল দল বিএনপির প্রতীক নিয়ে তাদের মধ্যে চিন্তা-ভাবনা চলছে।
জামায়াতের নেতারা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার বিষয়ে আগ্রহের কথা তারা বিএনপিকে জানিয়েছে।
বিএনপির নীতি-নির্ধারণী ফোরামের একাধিক নেতাও বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে বিএনপির ভেতরকার শক্তিশালী একটি বড় অংশ জামায়াতকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
জামায়াতের প্রস্তাব সমর্থনকারী পক্ষের দাবি, সারাদেশে তাদের (জামায়াতের) ১৫ শতাংশ ভোট ব্যাংক রয়েছে। বাস্তবে দলটির ভোট আছে পাঁচ থেকে সাত শতাংশ। এই ভোটকে গুরুত্বের সঙ্গেই নিতে চায় বিএনপি।
তারা জানান, জামায়াতের প্রার্থীরা আলাদা আলাদা প্রতীকে যেসব আসনে নির্বাচন করবে, সেখানে প্রার্থী থাকলে বিএনপিই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। লাভবান হবে আওয়ামী লীগ।
এজন্য জামায়াতের জন্য ছেড়ে দেওয়া আসনে ধানের শীষ প্রতীকে দলটিকে নির্বাচনে রাখাকেই লাভজনক মনে করে বিএনপি। বিশেষ করে জামায়াত অধ্যুষিত সাতক্ষীরা, জয়পুরহাটসহ বেশ কিছু জেলার আসন নিজেদের বলয়ে রাখতে প্রতীক দিতে চাইছে বিএনপির হাই-কমান্ড।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বলেন, ‘জামায়াতের প্রতীক তো বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। তাদের সামনে আর কোনো বিকল্প নেই। এজন্য আমি এই প্রক্রিয়াকে সমর্থন করি।’
তিনি বলেন, ‘জোট থাকলে এটা করা ছাড়া আর বিকল্প কি আছে জামায়াতের সামনে? নেই। তবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে তারা নির্বাচন করলে ফল কী হবে, তা সময়ই বলে দিবে। এখন এ প্রক্রিয়া ছাড়া সমাধানের কোনো পথ খোলা নেই।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক নেতা লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘জামায়াত আমাদের জোটের সঙ্গেই আছে। সুতরাং দরকার পড়লে তারা ধানের শীষ প্রতীক ব্যবহার করতেই পারে।’
তবে তিনি এও বলেন, ‘ভোটের হিসাবে এটা এখন প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে তা বিএনপির জন্য সুফল বয়ে আনবে কিনা তা ভেবে দেখতে হবে।’
তবে এই প্রক্রিয়ার বিষয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কমিটির কোনো নেতা সরাসরি মন্তব্য করতে রাজি হননি।
জামায়াতের সাতক্ষীরা জেলার মুখপাত্র আযিযুর রহমান বলেন, ‘প্রতীক কী হবে তা বলা না হলেও আগামী নির্বাচনে জামায়াত অংশ নিচ্ছে, কেন্দ্র থেকে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘জামায়াতের সামনে এখন দুটি পথ খোলা। এক. স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়ে আলাদা প্রতীক নেওয়া ও ২. অন্য দলের প্রতীক ব্যবহার করা।’
তৃণমূল থেকে এ বিষয়ে কেন্দ্রে মতামত পাঠানো হবে বলেও জানান আযিযুর রহমান।
Posted ১২:২৩ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta