হুমায়ুন রশীদ,টেকনাফ(৭ সেপ্টেম্বর) :: মিয়ানমারের রাখাইনে সহিংসতায় রোহিঙ্গাদের হতাহতের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।বুধবার ২২ রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধারের পর আজ আবারও টেকনাফের সমুদ্র উপকূলে রোহিঙ্গাবাহী দুটি নৌকা ডুবে যাওয়ার ঘটনায় শাহপরীর দ্বীপ নাফ নদীর মোহনা থেকে ১০ রোহিঙ্গা নারী ও শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নে শাহপরীর দ্বীপের আশে-পাশে এলাকায় নাফ নদী থেকে দুই শিশুসহ এক নারীর লাশ, টেকনাফের সাবরাং এলাকার নদীর পাড় থেকে দুই নারীর লাশ ও নোয়াখালী পাড়ার নদীর তীর থেকে এক পুরুষের ভাসমান মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
এর আগে বুধবার একদিনেই ১২ জন রোহিঙ্গা শিশু-নারী-পুরুষের মৃতদেহ উদ্ধার হয়।এর মধ্যে বুধবার সকালে টেকনাফের শারপরীর দ্বীপের উদ্ধার হয় ভেসে আসা ৭ রোহিঙ্গার লাশ এবং বিকালে উদ্ধার হয় রাখাইনে গুলিবিদ্ধ আরও ৫ রোহিঙ্গার লাশ।
এ নিয়ে দুইদিনে ২২ জন রোহিঙ্গা শিশু-নারী-পুরুষের মৃতদেহ উদ্ধার হলো।আর গত ২৯ আগস্ট রাত থেকে এ পর্যন্ত নৌকাডুবির ঘটনায় প্রায় ৮৫ জন রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার হলো।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মাইন উদ্দিন খান জানান, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার পথে টেকনাফের সমুদ্র উপকূলে নৌকা ডুবিতে তাদের মৃত্যু হয়।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের উত্তরপশ্চাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইনে গত ২৫ আগস্ট পুলিশের বেশ কিছু চৌকিতে হামলার পর সেখানে সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এসব হামলার জন্য রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের দায়ী করে সেখানে চালানো সেনাবাহিনীর অভিযানে অন্তত ৪০০ মানুষ নিহত হয়েছে।
রাখাইনে ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া ও বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যুর জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গা জঙ্গিদের দায়ী করলেও সেখানকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা মানবাধিকার সংস্থাগুলো এবং বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বলছে, অগ্নিসংযোগ ও হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটি থেকে রোহিঙ্গাদের বিতারিত করার চেষ্টা করছে।
Posted ১২:৪০ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta