হুমায়ূন রশিদ,টেকনাফ(১৯ মে) :: কক্সবাজারের টেকনাফে ইয়াবা বিরোধী অভিযান চালাতে গিয়েই সংঘবদ্ধ ইয়াবা কারবারীদের হামলায় ৪ডিবি পুলিশ ও চালকসহ ৫জন আহত এবং যানবাহন ভাংচুরের খবর পেয়ে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আহত ডিবি সদস্যদের উদ্ধার করে। এসময় একজনকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় নামীয় ৯জন ও অজ্ঞাতনামা দেড়শ জনকে পলাতক আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
১৮মে সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলা ডিবি পুলিশের একটি দল নাজিরপাড়ার তালিকাভূক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী এনামুল হক মেম্বারের বাড়িতে ইয়াবা উদ্ধার অভিযানে গেলে মাইকে ঘোষণা দিয়েই সংঘবদ্ধ নারী-পুরুষেরা মিলে ডিবি পুলিশের উপর হামলা চালালে এএসআই সুমন মিয়া,আসাদুজ্জামান, ফিরোজ মিয়া,কনস্টেবল আল আমিন,সুমাইয়া সুলতানা ও গাড়ী চালক আবুল ফজল বাপ্পি আহত হয়।
এসময় ডিবি পুলিশের ব্যবহৃত নোহা মাইক্রোবাস (চট্টমেট্রো চ-১১-১৬৮৬)ভাংচুর করা হয়।
এই ঘটনার খবর পেয়ে টেকনাফ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মডেল থানা পুলিশের বিশেষ একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আহত ডিবি পুলিশ ও ভাংচুর করা গাড়ি উদ্ধার করেন। এসময় হামলাকারী টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়ার আব্দুল হাকিমের পুত্র শামসুল আলম (২৫) কে আটক করে। ি
ডবি পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় জেলা ডিবি পুলিশের এএসআই সুমন মিয়া বাদী হয়ে এজাহার নামীয় নাজিরপাড়ার আব্দুল হাকিমের পুত্র শামসুল আলম,মৃত মোজাহের মিয়ার পুত্র এনামুল হক মেম্বার,সাহাব উদ্দিন প্রকাশ সাবু,চান মিয়া,এজাহার মিয়ার পুত্র নুরুল হক ভূট্টো,হোসেন আহমদের পুত্র মোঃ ইউনুচ,মোঃ ইউনুচের পুত্র নুরুল আমিন, মৃত নজু মিয়ার পুত্র গুরা মিয়া ও আব্দুল গফুর এবং অজ্ঞাতনামা ১০০/১৫০জন আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোঃ মাইন উদ্দিন জানান,জনতার হামলার খবর পেয়ে থানার বিশেষ পুলিশের দল গিয়ে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এই বিষয়ে এনাম মেম্বার জানান,সারাদিন বিচার-সালিশ নিয়ে ব্যস্থ থাকার পর সন্ধ্যারদিকে কিছু তরকারী নিয়ে বাড়ি ফিরি। মা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় নিজেই ভাত নিয়ে খাওয়ার সময় গেইট খোলা থাকার সুবাদে অস্ত্র নিয়ে সাদা পোশাকে ৪জন লোক বাড়িতে ঢুকে বলেন দ্রুত ভাত খেয়ে নেন,আপনার সাথে কথা আছে। ভাত খাওয়ার পর আমি বলি আপনারা কে পরিচয় দেন বললে জানান,আমাদের পরিচয় দরকার নেই আমাদের সাথে আসেন। আমি কোথায় যাব বললে এসপির কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। আমি এসপিকে কল দেওয়ার জন্য বললে না দিয়ে বলেন তুমি যাবে না বেইজ্জতি হবে। তখন বলি আমি দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলাম তখন প্রতিপক্ষের লোকজন আমার দু‘ভাইকে হত্যা করে। এরপর আমার প্রাণের ভয় রয়েছে বলে কথা কাটাকাটিতে লিপ্ত হলে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে টানা হেছড়া করেন।
তখন পাশ্ববর্তী এলাকায় অবস্থিত নারীরা চিৎকার করলে মসজিদের মাইকে মেম্বারকে অপহরণের খবর দেয়। তখন ক্ষুদ্ধ লোকজন উপস্থিত হামলা চালানোর চেষ্টা করলে তাদের দমনের জন্য আমার হ্যান্ডকাপ খুলে দিতে বলি। কিন্তু চাবি না থাকায় খুলতে বিলম্ব হওয়ায় এই ঘটনার সুত্রপাত।
Posted ৯:১৪ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৯ মে ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta