মঙ্গলবার ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

মঙ্গলবার ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

টেকনাফে এনজিওতে স্থানীয়দের ১০ দফা দাবীতে মানববন্ধন : অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি

সোমবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
146 ভিউ
টেকনাফে এনজিওতে স্থানীয়দের ১০ দফা দাবীতে মানববন্ধন : অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি

হুমায়ূন রশিদ,টেকনাফ(১৮ ফেব্রুয়ারী) :: টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এনজিওতে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার দাবীতে মানববন্ধন কর্মসুচী পালিত হয়েছে।

১৮ই ফেব্রুয়ারী সোমবার বিকাল ৩টায় টেকনাফবাসীর অধিকার আদায় ও বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে উপজেলা কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে ১০ দফা দাবী সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স্থানীয় চাকুরী প্রত্যাশীদের আয়োজনে উক্ত মানববন্ধন কর্মসুচীতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রবিউল হাসান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তাহেরা আক্তার মিলি, সাংবাদিক নুরুল করিম রাসেল, টেকনাফ সরকারী কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আবু তাহের, টেকনাফ সরকারী কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম, অধিকার আদায় ও বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষে বক্তব্য রাখেন আহবায়ক মাহবুবুর রহমান, ফরিদুল আলম নাফিস, আব্দুল বাসেদ, ওয়াজ করিম, শওকত হোসেন, মো. রুবেল, এনায়েত উল্লাহ, আব্দুল গফুর, মো. আয়াজ ও ওমর ফারুক।

ইউএনও রবিউল হাসান বলেন, স্থানীয়দের অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক দাবী। এই দাবী বাস্তবায়নে তিনি সচেষ্ট থাকবেন এবং স্থানীয় কেউ চাকুরীচ্যুত কিংবা হয়রানির শিকার হলে তিনি যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন করবেন বলে জানান।

বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষে বক্তারা বলেন, মিয়ানমার নাগরিক রোহিঙ্গারা বাস্তুচ্যুত হলে চরম সংকটকালীন মুহুর্তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক আশ্রিত হলে উখিয়া-টেকনাফবাসী তাদের সহযোগীতায় সর্বপ্রথম এগিয়ে আসে।

রোহিঙ্গাদের অসহায়ত্ব দেখে মানবতাবাদীরা মুক্তহস্তে দান দক্ষিণায় এগিয়ে আসেন। রোহিঙ্গাদের অবস্থানের কারণে উখিয়া-টেকনাফের মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিও সংস্থাগুলোর চাকরিতে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার দেয়ার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল কর্তৃক নির্দেশ হয়েছিল।

স্থানীয়দের নিয়ে এনজিও সংস্থাগুলো সমন্বিত প্রয়াসে রোহিঙ্গাদের জরুরী অবস্থা পার করে। স্থানীয় তরুণ-তরুণীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সুশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করলেও অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কারণে আমাদের জনজীবন বিপর্যস্ত, চরম ক্ষতি ও হুমকীর সম্মুখীন হই। এই কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন এনজিও সংস্থাগুলোর চাকরিতে স্থানীয় যোগ্যদের চাকরি প্রত্যাশীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য।

এই অবস্থায় গত ১ বছর ধরে এনজিও সংস্থাগুলোতে স্থানীয় চাকরি প্রত্যাশীরা আবেদন করলেও চাকরিতে স্থানীয়দের বিভিন্ন অজুহাত ও বিনা কারণে নিয়োগের মধ্যে স্থানীয়দের সুযোগ না দিয়ে, উখিয়া-টেকনাফের বাহিরের লোকদের নিয়োগ দেওয়া শুরু করেছে।

ঐ সকল এনজিও সংস্থার উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা স্থানীয়দের চাকরি সুযোগ না দিয়ে অন্যান্য অঞ্চলের তাদের স্বজন বা পরিচিতদের চাকরি দিচ্ছে এবং বর্তমান নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রেও স্থানীয়দের অগ্রাধিকার না দিয়ে গোপনে টেকনাফ উপজেলা বাহিরের লোকদের নিয়োগ দিচ্ছে।

এছাড়াও এনজিও সংস্থাগুলো পরিকল্পিতভাবে স্থানীয় চাকরি জীবীদের বিভিন্ন নতুন নিয়মনীতি দেখিয়ে সুকৌশলে ছাঁটাই করা হচ্ছে। লক্ষ্যনীয় বিষয় হল তাদের ইচ্ছেমত নিয়ম-নীতির কাছে টেকনাফের চাকরি প্রত্যাশীদের কোনঠাশা করা হচ্ছে। এনজিও সংস্থাগুলো প্রতিনিধিরা সরকারের আদেশ-নিদের্শ পরামর্শ সব উপেক্ষা করে যাচ্ছে। এমতাবস্তায় দশ দফা দাবী নিয়ে আমাদের মাঠে নামতে হয়েছে।

দাবী গুলো হচ্ছে, সরকারে নির্দেশনা অনুসারে রোহিঙ্গা এনজিও সংস্থার চাকরিতে স্থানীয়দের ৭০% কোটা দিতে হবে, স্থানীয়দের চাকরির ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা শিথিলযোগ্য করতে হবে, এনজিও সংস্থাগুলোতে চাকরির জন্য প্রতিটি অফিসে সরাসরি আবেদন গ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে, কর্মরত এনজিও সংস্থাগুলোর চাকরিতে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার না দিলে তাদের বিরুদ্ধে বিধি ব্যবস্থা নিতে হবে, স্থানীয়দের নিয়োগের কার্যক্রমের স্বচ্ছাতা ফিরিয়ে আনতে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের প্রতিনিধি নিয়ে একটি মনিটরিং সেল করতে হবে,প্রতিমাসে সকল এনজিও সংস্থা গুলোতে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীর স্থায়ী ঠিকানাসহ তালিকা প্রকাশ করতে হবে, দক্ষতা অর্জনের জন্য স্থানীয়দের উচ্চতর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে,এনজিও ও আইএনজিও সংস্থাতে প্রত্যেক বিভাগের উচ্চ পদে যোগ্যতা সম্পন্ন দুইজন স্থানীয়কে চাকরি দিতে হবে, এনজিও ব্যুরোর প্রকল্প অনুমোদন পত্রে ৭০ শতাংশ স্থানীয় কর্মী রখার নির্দেশ দেওয়া হউক এবং সমাপনী প্রতিবেদনের ৭০ শতাংশ স্থানীয় কর্মী ছিল কি না নিশ্চিত করা হউক,যে সকল এনজিও সংস্থার প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ঐ সকল এনজিও সংস্থা তাদের পরবর্তী প্রকল্পে পূর্বের প্রকল্পের স্থানীদের চাকরিতে বহাল রাখতে হবে।

২৮ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে দাবী বাস্তবায়নের সময় বেঁধে দেওয়া হয় অন্যথায় ২৮শে ফেব্রুয়ারীর পর দাবী আদায়ের জন্য কঠোর কর্মসূচী পালন করা হবে বলে হুশিয়ার উচ্চারন করেন।

146 ভিউ

Posted ১১:৩২ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com