হুমায়ূন রশিদ,টেকনাফ(৯ মে) :: টেকনাফে রান্না করার সময় গ্যাসের আগুনে বসত-বাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৩টি বসত-বাড়ি পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। এসময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে বৃদ্ধা ও শিশুসহ দুইজনের করুণ মৃত্যু ঘটেছে। এই ঘটনায় আহত ৬জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জানা যায়, ৯ মে ভোরে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কাঞ্জর পাড়ার আব্দুস শুক্কুরের রান্না ঘরে এক শিশু গ্যাস সিলিন্ডারের সুইচ অন করে। গ্যাস সিলিন্ডারের চাপ বেশী হওয়ায় পাশ^বর্তী পলিথিনে লেগে আগুনের সুত্রপাত হয়।
আগুন লাগার হৈ-ছৈ শুনে লোকজন জড়ো হওয়ার পূর্বেই গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন পাশ^বর্তী খাইরুল বশর ও বদিউজ্জামানের বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে বাতাস ও আগুনের গতি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপস্থিত লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি।
ফায়ার সার্ভিস আসার পূর্বেই বসত-বাড়ি ৩টি পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। এতে নগদ টাকা, আসবাবপত্র ও ধান-চালসহ ২২লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
এসময় বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকা আব্দসু শুক্কুরের শাশুড়ি এলেনা খাতুন (৯০) আগুনে ছাঁই হয়ে মৃত্যু বরণ করেন। এদিকে ঘুম থেকে জেগে পরিবারের সদস্যদের রক্ষা এবং আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাতে গিয়েই খাইরুল বশর, বদিউজ্জামান, ফাতেমা, বসরী, রোমা, রুনা ও সুমাইয়া অগ্নিদগ্ধ ও আহত হয়।
তাদের দ্রুত উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হলেও চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোমা (৪) মৃত্যুবরণ করে।
অগ্নিকান্ডে নিহত ও ক্ষয়ক্ষতির খবর পেয়ে টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ রবিউল হাসান, হোয়াইক্যং মডেল ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারী, উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার নুরুল আবছার, স্থানীয় মেম্বার আব্দুল গাফ্ফার ও পুলিশ ফাঁড়ির আইসিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এসময় উপজেলার নির্বাহী অফিসার অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের খোজ খবর নেন এবং ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রতি পরিবারকে ১হাজার টাকা করে অনুদান দেন।
তিনি উর্ধ্বতন মহলের সাথে আলোচনা স্বাপেক্ষে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সমুহকে পূর্ণবাসনের আশ্বাস দেন। এদিকে নিহত শিশু রোমাকে বাদে জোহর স্থানীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
Posted ১:১০ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১০ মে ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta