হুমায়ূন রশিদ,টেকনাফ(১৪ ডিসেম্বর) :: কক্সবাজারের টেকনাফে তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধে আবারও এক মাদক ব্যবসায়ী ও ডজন মামলার আসামী নিহত হয়েছে। আর অক্টেবর মাস থেকে এ পর্যন্ত তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধে ১৯ মাদক কারবারী নিহত হয়েছে। তবে অধরা শীর্ষ কারবারীরা এখনো অধরা থেকে যাওয়ায় মাদক তথা ইয়াবা ব্যবসা রোধ করা যাচ্ছে না। একারণে প্রতিদিন টেকনাফের কোথাও না কোথাও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর হাতে ইয়াবা ধরা পড়ছে।
জানা যায়, ১৪ ডিসেম্বর ভোররাত রাত আড়াইটারদিকে টেকনাফ মডেল থানার একদল পুলিশের হাতে আটক তালিকাভূক্ত মাদক কারবারী ও হত্যাসহ ডজন মামলার আসামী টেকনাফ সদরের ছোট হাবিব পাড়ার খলিলুর রহমানের পুত্র ইউছুপ জালাল বাহাদুর (৩২) নিয়ে স্বীকারোক্তিমতে তার আস্তানায় অভিযানে যায়।
এসময় তার সহযোগী মাদক কারবারী ও স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী চক্র পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করলে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের আহত এসআই শরীফুল ইসলাম, এএসআই ফারুকুজ্জামান, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, ইব্রাহীম, মহিউদ্দিন আহত হয়।
এসময় পুলিশও আত্বরক্ষার্থে পাল্টাগুলিবর্ষণ করে। কিছুক্ষণ পর হামলাকারীরা পিছু হঠলে ঘটনাস্থল হতে গুলিবিদ্ধ ইউছুপ জালাল বাহাদুর (৩২), ৩০ হাজার পিস ইয়াবা, ১০টি দেশীয় অস্ত্র , ১টি বিদেশী অস্ত্র ও ৪০ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
আহতদের চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার রেফার করে। কক্সবাজার নেওয়ার পথেই বাহাদুর মারা যায়।
তার মৃতদেহ পোস্ট মর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এই ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ জানান, কুখ্যাত মাদক কারবারী ও স্বশস্ত্র গ্রুপের লিডারকে নিয়ে অভিযানে গেলে তার সহযোগীরা পুলিশের উপর হামলা চালায়।
পুলিশও আত্বরক্ষার্থে গুলিবর্ষণ করলে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এসময় বিপূল পরিমাণ ইয়াবা, দেশী-বিদেশী অস্ত্র ও বুলেট উদ্ধার করা হয়।
এই ব্যাপারে তদন্ত স্বাপেক্ষে পৃথক মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
Posted ১১:১৪ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta