হুমায়ুন রশীদ,টেকনাফ(৩০ সেপ্টেম্বর) :: টেকনাফে আটক ব্যক্তিকে নিয়ে পুলিশী অভিযানে স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সাথে পুলিশের গোলাগুলির ঘটনায় এক ইয়াবা গডফাদার নিহত হয়েছে। এসময় পুলিশের ৪ সদস্য আহত হলেও ঘটনাস্থল হতে অস্ত্র, বুলেট ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, ৩০ সেপ্টেম্বর ভোররাত ৩টারদিকে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ রনজিত কুমার বড়–য়ার নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ দল আটক ব্যক্তিকে নিয়ে অভিযানে গেলে অপর ইয়াবা গডফাদার ও স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী রশিদ মিস্ত্রীর নেতৃত্বে ইয়াবা চোরাকারবারীদের স্বশস্ত্র একটি গ্রুপ পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। পুলিশও আতœরক্ষার্থে গুলিবর্ষণ করলে কিছুক্ষণ পর স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ পালিয়ে যায়।
পরিস্থিতি শান্ত হলে পাশর্^বর্তী বটগাছের পাশে একটি রক্তাক্ত মৃতদেহ, ৩টি দেশীয় অস্ত্র, ৫ রাউন্ড বুলেট ও ৭ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
পরে পাশ^বর্তী লোকজন এনে যাচাই-বাচাই করলে উক্ত মৃতদেহ পশ্চিম সিকদার পাড়ার আজিজুল হক মিস্ত্রীর পুত্র মোঃ ইমরান প্রকাশ পুতিয়া মিস্ত্রী (৩৫) বলে সনাক্ত করে।
এসময় স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপের হামলায় টেকনাফ মডেল থানার এসআই নাজিম উদ্দিন, এসএসই মুরাদ, দেলোয়ার, কনস্টেবল ইমন আহত হয়। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২৯ সেপ্টেম্বর ভোররাতে টেকনাফ মডেল থানার একদল পুলিশ ইয়াবা লেন-দেনের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়ায় অভিযানে গিয়ে এক ব্যক্তিকে আটক করে। থানায় জিজ্ঞাসাাদে আটক ব্যক্তি লেদা রোহিঙ্গা বস্তির শহীদের পুত্র জাহেদ বলে জানায়।
পরে স্থানীয় লোকজনের মারফতে সনাক্ত করা হলে ধৃত ব্যক্তি অর্ধডজন মাদক মামলার পলাতক আসামী ও তালিকাভূক্ত ইয়াবা চোরাকারবারী বলে সনাক্ত হয়। এরপর তার স্বীকারোক্তি মতে ঐ এলাকায় অভিযানে গেলে তার স্বশস্ত্র বাহিনী গুলিবর্ষন করে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তাতেই এই মাদক কারবারীর মৃত্যু হয়।
এই ব্যাপারে পৃথক মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে টেকনাফ মডেল থানার
অফিসার্স ইনচার্জ রনজিত কুমার বড়–য়া নিশ্চিত করেন।
Posted ১০:৩৭ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta