কক্সবাংলা রিপোর্ট(২৯ আগস্ট) :: বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগের ক্রিমিনাল ইনভেষ্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) অনুসন্ধানে নেমেছে অবৈধ অর্থ লেনদেন ও সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে। সোমবার রাত থেকে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে তারা অনুসন্ধানের মাধ্যমে অভিযান শুরু করেছে।
অনুসন্ধানের প্রথম রাতেই টেকনাফ সীমান্তের চিহ্নিত শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী নুরুল হক ভুট্টুসহ ১১ জন গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা সবাই অবৈধ অর্থ লেনদেনে জড়িত। এরমধ্যে চারজন বিকাশের এজেন্টও রয়েছে।
অভিযানে তাদের কাছ থেকে নগদ ২০ লাখ টাকা ও ব্যবহারের ১০০টির মতো অবৈধ মোবাইল সীম ও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নোটবুক জব্দ করা হয়। ২৯ আগষ্ট মঙ্গলবার বিকালে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিআইডি’র ক্রিমিনাল ইনভেষ্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের স্পেশাল তত্ত্বাবধায়ক মোল্লা নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সম্প্রতি নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা থানায় দু’টি অবৈধ অর্থ লেনদেনের মামলা দায়ের হয়। ওই মামলার সূত্র ধরে সিআইডি’র ক্রিমিনাল ইনভেষ্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট অনুসন্ধান শুরু করে। এরই সূত্র ধরে গত সোমবার রাতেই চট্টগ্রামের চন্দনাইশ এলাকা থেকে টেকনাফ সীমান্তের ইয়াবা সহ অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ী ও দেশের শীর্ষ অবৈধ অর্থ লেনদেনকারী নুরুল হক ভুট্টুকে গ্রেফতার করা হয়।
তাকে গ্রেফতার করে রাতেই টেকনাফ নিয়ে যাওয়া হয়।ওখানে রাতেই অভিযান শুরু হয়। অভিযানে ভুট্টুর সহযোগিসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। যারমধ্যে চারজন বিকাশের এজেন্ট। এসময় তাদের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা ও ১০০ টির মতো অবৈধ মোবাইল সিম জব্দ করা হয়েছে। তাছাড়া তাদের কোটি কোটি টাকা বিকাশে লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এমনকি অনেক ব্যাংকের একাউন্টের মাধ্যমেও তারা লেনদেনের প্রমান পাওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, সারা দেশে অবৈধ অর্থ লেনদেনে কয়েকটি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। সিআইডি’র ক্রিমিনাল ইনভেষ্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট এই প্রথম অনুসন্ধানের মাধ্যমে অভিযান শুরু করেছে। অবৈধ লেনদেনে জড়িতদের সম্পদের তথ্যানুসন্ধানও শুরু করা হয়েছে টেকনাফ থেকেই।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, অবৈধ কারবারের মাধ্যমে সম্পদশালী হয়ে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনে টেকনাফের প্রায় ১০ থেকে ২৫ ব্যক্তি শীর্ষস্থানে রয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাদের গ্রেফতার করা হবে। সারাদেশে তাদের নের্টওয়াক রয়েছে। তাদের সবাইকে ধরা হবে। এমনকি পাঁচটির বেশী মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে এই অবৈধ অর্থ লেনদেনকারী নেটওয়ার্কে জড়িতদের বিরুদ্ধে।
এদিকে অভিযানের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, গত সোমবার রাত থেকে অভিযান শুরু হয়েছে।মঙ্গলবার অভিযান চলছে। গ্রেফতার ১১ জনকে টেকনাফ থানায় হস্তান্তরের মাধ্যমে বুধবার আদালতে প্রেরণ করা হবে।
এ ব্যাপারে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিন খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,সিআইডি আটকৃতদের নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।অভিযান শেষে আটকৃতদের টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হবে।
প্রসঙ্গত গ্রেফতার হওয়া সীমান্তের শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী ও শীর্ষ মুদ্রা পাচারকারী নুরুল হক ভুট্টু ও তার বাহিনী দারা গত বছর টেকনাফ সীমান্তে ইয়াবার সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া ৫জন টিভি সংবাদ কর্মীকে বেদম মারধর করেছিল। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় সংবাদকর্মী প্রহারে দ্রুত বিচার আইনে মামলা রয়েছে।এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ৭/৮টি বিভিন্ন মামলা রয়েছে।
Posted ৭:৫২ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta