রবিবার ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

রবিবার ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

টেকনাফ করিডোর দিয়ে ১০ হাজার ৬২১টি পশু আমদানী : চড়া দামে বেকায়দায় নিম্ম ও মধ্যবিত্ত পরিবার!

সোমবার, ২০ আগস্ট ২০১৮
349 ভিউ
টেকনাফ করিডোর দিয়ে ১০ হাজার ৬২১টি পশু আমদানী : চড়া দামে বেকায়দায় নিম্ম ও মধ্যবিত্ত পরিবার!

হুমায়ূন রশিদ,টেকনাফ(১৯ আগষ্ট) :: মুসলমানের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ক্যাটল করিডোর দিয়ে চলতি মাসে ১০হাজার ৬শ ২১টি গরু-মহিষ এসেছে। মিয়ানমার থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ গরু ও মহিষ আসলেও স্থানীয় বাজার সমুহে পশুর দাম কমে না আসায় দরিদ্র এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ কোরবানী নিয়ে বেকায়দায় বা টেনশনে রয়েছে।

জানা যায়, ২০০৩ সালে ২৫ শে মে স্থাপিত হওয়া টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ ক্যাটল করিডোরে দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে মিয়ানমার হতে পশু আমদানী কিছুটা ব্যাহত হয়। কোরবানীর হাটে পশু সংকটের আশংকা দেখা দেয়। কিন্তু ঈদের দিন ঘতই ঘনিয়ে আসছে পশু ব্যবসায় ক্ষতি হতে রেহায় পেতে ওপারের ব্যবসায়ীরাও মওজুদকৃত পশু নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠে। শেষ পর্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে হলেও এসব পশুর চালান নিয়ে হাজির হয় করিডোরে। চলতি মাসের শুরু হতে ১৯ আগষ্ট পর্যন্ত মিয়ানমার হতে ১০ হাজার ৬শ ২১টি গরু-মহিষ এসেছে।

গরু মহিষ উপজেলার স্থানীয় বাজার সমুহের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। এদিকে গত বছর মিয়ানমার হতে সংঘাতের শিকার হয়ে আসা বিরাট রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য কোরবানীর গরু কিনতে বেশ কিছু সংস্থার মানুষ স্থানীয় বাজার সমুহে সক্রিয় থাকায় পশু ব্যবসায়ীরা দাম কমাচ্ছে না। এরফলে পশুর দাম কমছেনা। এরই বিরূপ প্রভাব পড়ছে স্থানীয় দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষজন।

এই বিষয়ে এই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মতামত তুলে ধরা হল। হ্নীলার মুক্তিযোদ্ধা সোলতান আহমদ বলেন, স্থানীয় মানুষের পাশাপাশি বিরাট রোহিঙ্গাদের চাপ আর পশুর সংখ্যা পর্যাপ্ত না হওয়ায় পশুর বাজার কিছুটা উর্ধ্বমুখী। এতে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবার সমুহ হিসেব মিলাতে হিমশিম খাচ্ছে। বাহার ছড়ার রহমত উল্লাহ বলেন, বাজারে গরু-মহিষের দাম বেশী হলেও নিমিষেই হাওয়া হয়ে যাচ্ছে। এই কারণে দরিদ্র-মধ্যবিত্ত পরিবারের কোরবানী বাজেট নিয়ে টেনশন বেড়ে গেছে।

সাবরাংয়ের ইসমাঈল বলেন, করিডোর দিয়ে পর্যাপ্ত পশু আসায় স্থানীয় বাজারে গরু-মহিষের দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। টেকনাফ সদরের মৌলভী জোবাইর বলেন, টেকনাফের স্থানীয় বাজার সমুহে রোহিঙ্গারাই পছন্দের গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের মত গরীব মানুষেরা বাজেট ঘাটতি হওয়ায় শেয়ার করেও গরু কিনতে হিমশিম খাচ্ছি।

হোয়াইক্যংয়ের শব্বির আহমদ বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য বড় ও মাঝারী আকারের গরু কেনা অব্যাহত থাকায় স্থানীয় দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মানুষ গরু কিনতে গিয়েই চড়া দামের সম্মুখীন হচ্ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কবির আহমদ বলেন, ক্যাম্পে অবস্থানরত টাকাওয়ালারা অনেকে নিজ উদ্যোগে কোরবানীর জন্য ভালমানের গরু-মহিষ কিনেছেন। অসহায়-দরিদ্ররা ক্যাম্পে সেবায় নিয়োজিত লোকজন কোরবানীর মাংস দিবে এই আশায় অপেক্ষায় রয়েছে।

সূত্র মতে, গত ১৭ আগষ্ট ১১টি ট্রলারে ১ হাজার ১শ ২৯ টি, ১৮ আগষ্ট ১৩টি ট্রলারে ২ হাজার ১শ ৭০ টি এবং ১৯ আগষ্ট ১শ ৫শ ৯৯টি গরু-মহিষ এসছে। এসব পশুর মধ্যে গরুর সংখ্যাই বেশী। গত ৩দিনে রাজস্ব আয় হয়েছে ২৪ লক্ষ ৪৯ হাজার। যা বলতে গেলে এই করিডোরে পশু আমদানীর ক্ষেত্রে রাজস্ব আয়ে একটি রেকর্ড।

এদিকে চলতি মাসে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত এই করিডরে গত ১২ দিনে মিয়ানমার হতে পশু আমদানি হয়েছে ৫ হাজার ৭শ ২৩টি। তাতে গরু ছিল ৫ হাজার ৪শ ৯১টি এবং মহিষ ছিল ২শ ৩২টি। এরই মধ্যে দূর্যোগ আবহাওয়ার কারণে পশু আমদানী ব্যাহত হলেও গত ১৭ আগষ্ট হতে নতুন করে পশু আমদানী শুরু হয়।

টেকনাফ শুল্ক স্টেশন সুত্র জানায়,মিয়ানমার হতে পশু আমদানীর মাধ্যমে এই করিডোর রাজস্ব আয়ে ভূমিকা রাখছে। পশু আমদানি অব্যাহত থাকলে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করা সম্ভব হবে বলে মত আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ করিডোর পশু আমদানিকারক সমিতির সভাপতি আব্দুল্লাহ মনির জানান, দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল থাকায় গত কয়েক দিনধরে পশু বোঝাই কোন ট্রলার করিডোরে আসতে পারেনি। তবে বৈরি আবহাওয়া কেটে যাওয়ায় আশাতীত পশু আসছে।

এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে কোরবানির আগ পর্যন্ত ওপার হতে রেকর্ড পরিমাণ গবাদি পশু আমদানি করা সম্ভব হবে। এতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ বিভিন্ন পশুর হাটে কোরবানির পশুর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এদিকে সোনালী ব্যাংকের শাখা দূরে হওয়ায় ব্যবসায়ীদের যাতায়াত ভোগান্তি ও সময়ের অপচয় হচ্ছে। অর্থ, সময় ও যাতায়াত ভোগান্তি কমাতে করিডোরের পাশে অস্থায়ী একটি সোনালী ব্যাংক ও শুল্ক স্টেশনের বুথ স্থাপনের জন্য সরকারের উর্ধ্বতন মহলের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন করিডোর ব্যবসায়ীরা।

349 ভিউ

Posted ১২:৪৮ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২০ আগস্ট ২০১৮

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com