কক্সবংলা ডটকম(২৯ এপ্রিল) :: তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গত রবিবার থেকে শ্রেণিকক্ষে ক্লাস নেয়া শুরু হয়েছে। তীব্র তাপপ্রবাহে যশোরের আমদাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আহসান হাবিব মারা গেছেন।
এদিকে, প্রচণ্ড গরমে রাজধানীসহ ফরিদপুর ও নোয়াখালীর বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষার্থীদের অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ পরিস্থিতিতে অনলাইনে ক্লাস নেয়ার দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা। যদিও চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে স্কুল খুলে দেয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা।
তারা বলছেন, শিশুদের কথা বিবেচনা করে সরকার আরো অন্তত এক সপ্তাহ পর স্কুল খুলতে পারত। এরকম পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে, তীব্র গরমের মধ্যে স্কুল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত কতটা যৌক্তিক হয়েছে। এদিকে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার একদিন না যেতেই চলমান তাপদাহের কারণে ৫ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোমবার বন্ধ থাকবে থাকবে বলে গত রবিবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় মন্ত্রণালয়। তবে যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আছে সেই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ চাইলে খোলা রাখতে পারবে। আজ পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। চলতি মাসে টানা ২৩ দিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত আছে। ১৯৪৮ সালের পর ৭৬ বছরের মধ্যে এক বছরে তাপপ্রবাহের দিনের রেকর্ড ভেঙেছে শুক্রবার। এমন পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ ছাড়া কোথাও খুব দ্রুত বৃষ্টির কোনো আভাস দিতে পারেনি আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই অবস্থা চলতে পারে আরো অন্তত এক সপ্তাহ। দেশে চতুর্থ দফায় হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে রবিবার থেকে খোলা হয়েছে দেশের সব স্কুল-কলেজসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আরেকটু অপেক্ষা করা উচিত ছিল। এখনই এই সিদ্ধান্তে আসা ঠিক হয়নি।
শিশু হাসপাতালের সাবেক পরিচালক শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সফি আহমেদ বলেন, এই তাপমাত্রার মধ্যে শিশুদের কোনোভাবেই ঘর থেকে বের হওয়া উচিত নয়। তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে শিশুরা বাইরে গেলে নানা ধরনের রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হতে পারে। ফলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখাই ভালো। বৃষ্টি হওয়ার পর তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। তখন স্কুল খুললে ভালো হতো। এখন যেহেতু স্কুল খোলা হচ্ছে, তাই বাচ্চাদের পোশাক, স্কুলের পরিবেশসহ আনুষঙ্গিক সব বিষয়ে খোঁজ রাখতে হবে। চলমান তাপদাহের মধ্যে স্কুল খোলায় শিক্ষার্থীদের কোনো ক্ষতি হলে দায় সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।
সংগঠনটির সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু বলেন, প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ যেখানে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না; সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে শিশুদের ঝুঁকিতে ফেলে দেয়া হয়েছে। নতুন করে হিট অ্যালার্ট জারি করায় আরো এক সপ্তাহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আমরাও আরো এক সপ্তাহ স্কুল-কলেজ বন্ধ রেখে অনলাইনে ক্লাস করানোর দাবি করেছি। কিন্তু সরকার তা শোনেনি। এখন শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে, এর দায় কে নেবে?
তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ বন্ধের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, কোথাও বেশি গরম আছে মানেই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে হবে- এর কোনো মানে নেই। কোনো জেলায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির ওপরে গেলে সংশ্লিষ্ট এলাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হবে।
তবে এই মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই সরকারের।
এর আগে রবিবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলের গেটে দেখা যায়, অভিভাবকরা তাদের সন্তান পৌঁছে দিচ্ছেন, সঙ্গে দিয়ে দিচ্ছেন পানি ও জুস। একই সঙ্গে গরমে সুস্থ থাকতে দিয়েছেন নানা উপদেশ। আবার তাপপ্রবাহে ক্লাসের বাইরে বের না হতে, মাঠে খেলাধুলা না করতে এমনকি বন্ধুদের সঙ্গে দৌড়াদৌড়ি না করার জন্যও সতর্ক করেছেন তারা।
অনেক অভিভাবক এই তীব্র গরমের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পক্ষে ছিলেন না। তাদের শঙ্কা, বাচ্চারা স্কুলে গিয়ে গরমের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। আর শিক্ষকরা বলছেন, গরমে শিশুদের অস্থিরতা ধরা পড়ছে ক্লাস রুমে।
ঢাকার মিরপুরের শহীদবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাসিনা খাতুন বলেন, শিশুরা অস্থির হয়ে যাচ্ছে, কখন তারা বাসায় যাবে। বারবার পানি খেতে চাচ্ছে। সময়সূচি এগিয়ে এনে রবিবার সকাল ৮টা থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হয়েছে। বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোতেও আগের মতো শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
শহীদবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী শুভশ্রী দাস জানায়, স্কুলে আসতে আসতে রোদে ঘেমে যেতে হয়েছে তাকে। তার ক্লাস শুরু হয়েছে পৌনে ১০ টায়। তার ভাষ্য, অনেক রোদ ছিল। আমার বাসা ই-ব্লকে। আসতে গিয়ে ঘেমে গেছি। কিন্তু স্কুল বন্ধ থাকলেও বাসায় ভালো লাগে না।
সন্তানকে ক্লাসে পাঠিয়ে স্কুলের সামনেই অপেক্ষা করছিলেন দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আরিফ হোসেনের মা ফরিদা ইয়াসমীন। তিনি বললেন, গরমে ক্লাস শুরু হওয়ায় তিনি উদ্বিগ্ন। আগে ক্লাসে দিয়ে চলে যেতাম। আবার নিতে আসতাম। আজ অপেক্ষা করছি। গরম তো অনেক। কি জানি কি হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এমন সময় শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরতে হয়েছে, যখন দেশের অন্তত ৬৫ শতাংশ এলাকাজুড়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শনিবার দেশের ৪২ জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার তথ্য দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রবিবার তাপপ্রবাহ আরো বেশি জায়গায় বিস্তার লাভ করতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম। ৩১ মার্চ থেকে দেশে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। সব মিলিয়ে গত ২৮ দিন ধরে টানা তাপপ্রবাহ চলছে, যা অতীতে কখনো দেখা যায়নি।
এ পরিস্থিতিতে ঈদের ছুটির পর আর স্কুল খোলেনি সরকার। অসহনীয় গরমের কারণে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত স্কুল-কলেজে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। এই গরমে শিশুদের ‘অতি উচ্চ ঝুঁকির’ বিষয়টি স্মরণ করিয়ে তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে বলেছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফও। তবে সাত দিন ক্লাস বন্ধ রাখার পর ছুটি আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সে কারণে রবিবার থেকেই ক্লাসে ফিরতে হলো শিশুদের।
নতুন সূচিতে ক্লাসের সময় এগিয়ে আনার পাশাপাশি ব্যাপ্তিও কমানো হয়েছে। এক শিফটের স্কুলে ক্লাস চলছে সকাল ৮ থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। দুই শিফটে পরিচালিত স্কুলের প্রথম শিফট সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট পৌণে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। তবে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে গরমে স্কুলের সময় পরিবর্তন করা হয়নি।
পল্লবীর লিটল ফ্লাওয়ার প্রিপারেটরি স্কুলের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক হাবিবুর রহমান বললেন, কয়েকদিন ক্লাস বন্ধ থাকলে তো শিক্ষার্থীরা খুব বেশি পিছিয়ে পড়বে না। কিন্তু অসুস্থ হলে পিছিয়ে পড়বে। তবে লম্বা সময় তো ছুটি দিয়ে রাখাও গ্রহণযোগ্য হবে না। সে কারণে ছুটি নিয়ে কিছু বলতে চাই না। তবে এখন শনিবারের ছুটি কোন যুক্তিতে বাতিল করল? এ সিদ্ধান্ত কী গরম গেলে নেয়া যেত না? দনিয়া এ একে স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাউনিতে সন্তানের ক্লাস শেষ হওয়ার অপেক্ষায় থাকা অভিভাবক আকলিমা বেগম বলেন, এই গরমের মধ্যে স্কুল খোলাটা ঠিক হয়নি। কারণ, পড়াশোনার চেয়ে জীবন আগে।
হয়তো সপ্তাহখানেক পর বা ১০ দিন পর তাপমাত্রা কমে যেত, আবহাওয়া অফিস কি সবসময় ঠিক কথা বলে। একটু অপেক্ষা করলে কি আর এমন হতো। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে সকাল ৭টায় ক্লাস শুরু হয়ে ৯টা ৪০ মিনিটে ছুটি হয়েছে। ছুটি শেষে এই প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী উম্মে কুলসুম বমি করে এবং কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এতে তাকে স্কুলে নিয়ে আসা মা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। শুধু উম্মে কুলসুম নয়; এ স্কুলের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে স্কুলে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তারা ক্লাস না করেই বাসায় ফিরে গেছে। যাতায়াতের সময়ই তারা ক্লান্ত হয়ে পড়ছে বলে জানান অভিভাবকরা। ক্লাস করতেও অধিকাংশ শিক্ষার্থী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
অভিভাবকদের দাবি, গরমের এই তীব্রতার মধ্যে স্কুল বন্ধ কিংবা অনলাইনে ক্লাস নিলে ভালো হয়। আইডিয়াল স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী অনামিকার বাবা মহসিন বলেন, এই গরমে বড়রা টিকতে পারে না। সেখানে বাচ্চারা কীভাবে ক্লাস করে, ভাবতে কষ্ট লাগে।
শামসুন্নাহার নামের আরেকজন অভিভাবক বলেন, শনিবারের ছুটিটা বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। একই কর্তৃপক্ষ দুই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রাথমিকের স্কুল শনিবার বন্ধ থাকবে; আর আমাদের মাধ্যমিক স্কুলগুলো শনিবার খুলে দিয়েছে।
তিনি বলেন, এখন যে কারিকুলামটা দিয়েছে এটা কিন্তু আমরা বুঝতে পারি না। আমাদের বাইরের দেশের উদাহরণ দেয়া হয়, ভালো কথা। তাহলে ওরা আগে বাইরের দেশের মতো অবকাঠামো তৈরি করত। তারপর নতুন কারিকুলাম নিয়ে আসতো। তাহলে পুরো দায়িত্বটা স্কুল নিত। আমরা সকালে এসে বাচ্চাকে দিয়ে যেতাম এবং বিকালে এসে নিয়ে যেতাম। আমাদের এই মাঝামাঝি সময় এখানে বসে থাকতে হতো না।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র পাল বলেন, আজই প্রথম স্কুল খুলেছে, ক্লাস হচ্ছে। আমাদের শাখায় সব ক্লাসে উপস্থিতি স্বাভাবিক। অতিরিক্ত গরমে শিশুরা হাঁপিয়ে উঠছে এটা সত্য। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা আমাদের স্কুলে নেই। চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আবু তালহার মা কোহিনুর বেগম বলেন, এই রোদ, গরমে বড়দেরই ঘর থেকে বের হওয়া কঠিন। সেখানে এত ছোট ছোট বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানো দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে পড়েছে। শিশুদের স্কুলে পাঠিয়ে এমন অনেক অভিভাবক উদ্বেগ জানিয়েছেন।
তারা বলছেন, এই গরমের মধ্যে স্কুলে পাঠদান বন্ধ করে অনলাইনে ক্লাস নিলে ভালো হয়। শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে দেশের অন্য জেলা উপজেলা থেকেও। প্রচণ্ড গরমে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ও হাতিয়া উপজেলার দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৪ জন শিক্ষার্থী এবং একজন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নিজ-নিজ বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে যশোরে আহসান হাবিব নামের এক সহকারী শিক্ষকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মৃত হাবিব গতকাল রবিবার সকাল ৯টার দিকে গরমে অসুস্থ হয়ে পড়লে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহসান হাবীব যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের ছিলমপুর গ্রামের ইউছুপ আলী মোল্লার ছেলে। তিনি সদর উপজেলার আমদাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন বলে জানা গেছে। ফরিদপুরের সালথায় একটি স্কুলে ১৩ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
Posted ১২:৩৯ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta