কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়িতে পাহাড়ের মাটি চাপা পড়ার ৬ ঘন্টা পর অলৌকিকভাবে জীবিত উদ্ধার হয়েছেন নুরুল হাকিম। আর মাটি চাপা পড়ার একঘন্টা পর উদ্ধার হন আরও এক শ্রমিক নুর মোহাম্মদ। উদ্ধার হ্ওয়া দুজনেই ঘুমধুম ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড বরইতলির মনজয় পাড়া গ্রামের বাসিন্ধা।
সোমবার বেলা ১২টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজু মনজয়পাড়া এলাকায় উদ্ধার অভিযানে দমকল বাহিনীর একটি ইউনিট ও স্থানীয়দের চেষ্টায় আহত অবস্থায় উদ্ধার হয় নুরুল হাকিম ও নুর মোহাম্মদ নামে দুই শ্রমিক।
প্রত্যাক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় বাসিন্দা সোপায়েন বড়–য়ার মৎস্য প্রজেক্টে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে পানি চলাচলের জন্য গত কয়েকদিন ধরে কাজ করছিল ৭-৮জন শ্রমিক।
প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার সকালেও তারা শ্রমিকের কাজ শুরু করে। এক পর্যায়ে পানি যাওয়ার সুড়ঙ্গের উপর অংশ থেকে মাটি ভেঙ্গে পড়লে ঘটনাস্থলেই ৫জন শ্রমিক নিখোঁজ হন।
পরে এক ঘন্টা পর নূর মোহাম্মদ নামে এক শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়।এরপর অন্যান্য শ্রমিকদের বেঁচে থাকার আশা ছেড়ে দেন স্থানীয়রা। কিন্তু ভাগ্যক্রমে ঘটনার সাড়ে ছয় ঘন্টা পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে নুরুল হাকিমকেও জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।হাকিম বর্তমানে উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তবে তার আগে মাটি চাপা পড়া আহত নুর মোহাম্মদ জানান,আমিও হাকিমের মত মাটির নিচে এক ঘন্টা আটতে ছিলাম।কিভাবে যে প্রাণে বাচলাম তা একমাত্র আল্লাহই জানে। তবে আমার এটুকু মনে আছে পাগাড় ধ্বসে পড়ার সময় কেই একজন আমাকে তার শরীর দিয়ে রক্ষা করেছিল। এরপর আমার আর কিছুই মনে নেই।
তিনি আরও বলেন,হাকিমকে যে আমরা জীবিত ফিরে পাব বিশ্বাস হয়নি।কবে আল্লাহ চাইলে সব কিছু সম্ভব। তিনি আমাদের স্বজনদের আর্তনাদ কবুল করেছেন।তাই আজ আমি এবং হাকিম জীবিত ফিরে পেয়েছি।
উল্লেখ্য সোমবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড বরইতলির মনজয় পাড়া গ্রামে এ পাহাড় ধ্বসের ঘটনা ঘটে।নিহতরা হলেন- মোহাম্মদ আবু,সোনামেহের, জসিম উদ্দিন নিহত হন।তারা সবাই ঘুমধুম ইউনিয়নের বরইতলি এলাকার বাসিন্দা।
Posted ৭:২০ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২২ মে ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta