আবদুল হামিদ,নাইক্ষ্যংছড়ি(২৫ ডিসেম্বর) :: নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড, করলিয়ামুরা, গ্রামের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পোষ্টার ছিড়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ভোর রাতে ইউনিয়নের করলিয়ামুরা গ্রামের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর অফিসের সামনে রাস্তা পাশে।
উক্ত ঘটনায় সোমবার সকালে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসেবে কিছু পুড়ে যাওয়া পোষ্টারের ছাই জব্দ করেন।
স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি মোক্তার আহমদ জানান, করলিয়ামুরা ৪নং ওয়ার্ডের নিবার্চনী অফিসটি রোববার উদ্ভোধন করা হয়েছে। অফিসের বাহিরে একশত ত্রিশটির মতন পোষ্টার রশি দিয়ে লাগানো হয়েছিল এবং একটি কাগজ দিয়ে বানানো নৌকা ও রাখা হয়েছিল । রাতের অন্ধকারে দুর্বৃত্তরা বাহিরে পোষ্টার গুলো ও নৌকাটি আগুন দিয়ে পুড়ে ফেলেছে।
অফিসের ভিতরে কোন ধরণের ক্ষয়ক্ষতি করে নাই। বিষয়টি আওয়ামীলীগের উর্ধতন কতৃক পক্ষকে অবহিত করেছেন। উক্ত ঘটনায় সোমবার রাতে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় তিনি নিজেই বাদী হয়ে একখানা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানান। বাকী বিস্তারিত জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে বাইশারী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বাহাদুর জানান, করলিয়ামুরা গ্রামে নৌকা প্রতীকের পোষ্টারে আগুন দিয়ে পুড়ে ফেলার ঘটনা শুনে তিনি পুলিশসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
তিনি আরো জানান, রোববার রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত উক্ত অফিসে আমাদের দলীয় লোকজন মিটিং করেছে। রাতের আধাঁরে প্রতিপক্ষরা এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে তিনি ধারণা করেছেন।
এই প্রতিবেদক সরজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে স্থানীয় শত শত লোকজন ঘটনার সুস্থ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবী তুলেন এবং নিরীহ ব্যক্তিরা যেন হয়রানী শিকার না হয় সে জন্য প্রশাসনের উর্ধতন কতৃপক্ষ ও গোয়েন্দা সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। এছাড়া ও একাধিক বিএনপি নেতৃবৃন্ধরা ঘটনার তীব্র নিন্দ জানিয়ে ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও ন্যায় বিচারের দাবী জানান। তারা আরো বলেন অহেতুক বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানী জন্য কুচক্রী মহল ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
সরজমিনে আরো জানা যায় উক্ত ঘটনায় আবাল বৃদ্ধা সকলেই এধরণের নেক্কার জনক ঘটনায় অবশ্যই দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানান। তাছাড়া অনেকে এ ঘটনায় হতবাক হয়ে বলেন স্বাধীনতা পরে অনেক নির্বাচন হয়েছে এধরণে ঘটনা তারা দেখেনি।
এ বিষয়ে বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এ.কে এম. হাবিবুল ইসলাম মুঠো ফোনে জানান বিষয়টি শোনার সাথে সাথে পুলিশ টহল দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে এবং আলামত হিসেবে ঘটনাস্থল থেকে পুড়ে যাওয়া ছাই জব্দ করে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় প্রেরণ করা হয়েছে এবং উক্ত ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলছে বলে ও তিনি জানান।
