কক্সবাংলা ডটকম(২৭ আগস্ট) :: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতানুসারে সন্ত্রাসবাদের স্বর্গরাজ্য পাকিস্তানের উপর আরও কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে আমেরিকা। শীর্ষ মার্কিন আধিকারিক দল শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে এরকমই বার্তা পৌঁছে দিলেন ইসলামাবাদে। পাকিস্তানের নেতা মন্ত্রীরা যদি সন্ত্রাসবাদ দমনে বিশেষ আগ্রহ না পোষণ করেন, তবে তার ফল ভয়ংকর হতে চলেছে বলে জানানো হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের কোনও সময়সীমা বেঁধে দেয়নি ট্রাম্প প্রশাসন। ট্রাম্পের আফগান নীতি সম্পর্কে এক আধিকারিক বলেন, ‘পাকিস্তানের কিছু নেতা মন্ত্রীর অব্যাহত সমর্থন রয়েছে বিশেষ কিছু সন্ত্রাসবাদী দলের পিছনে। এই কারণেই আফগানিস্তানের মাটিতে মার্কিন সেনার অবস্থান নিয়ে পাকিস্তান মাথা ঘামাচ্ছে’।
আধিকারিক দল একথাও জানায় যে, ‘প্রয়োজন হলে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে পিছপা হবে না ট্রাম্প প্রশাসন। পাকিস্তানের নেতা মন্ত্রীদের বুঝিয়ে দিতে হবে যে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি যেন তাদের দেশের মাটিতে কোনওভাবেই মাথা চারা দিয়ে না উঠতে পারে’। তবে আরও কঠোর পদক্ষেপ বলতে কি, সেই বিষয়ে বিশদে কোনও তথ্য দিতে চায়নি মার্কিন দল। কিন্তু বৈঠকের পরবর্তী পর্যায়ে সুর নরম করে বলা হয়, ‘আফগানিস্তানের শান্তি রক্ষার স্বার্থে পাকিস্তান একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার, আমরা আশা করি পাক অবশ্যই জঙ্গি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ। এই মুহূর্তে সন্ত্রাসবাদ মার্কিন স্বার্থ এবং সমগ্র দুনিয়ার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি’।
দিনকয়েক আগেই পাকিস্তানী সরকারকে নিশানায় নিয়ে ট্রাম্প বলেন, ইসলামাবাদ লাগাতার বেশ কিছু সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের পৃষ্ঠপোষকতা করে চলেছে। পাকিস্তান ক্রমশ সন্ত্রাসের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠছে। এই বক্তব্যের পরই সুর চড়িয়ে আমেরিকার বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করে দিয়েছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অতিরঞ্জিত মন্তব্যগুলি বেদনাদায়ক। সত্রাসবাদ, দারিদ্রতার শিকার পাকিস্তানের উপর এরকম মন্তব্যের মাধ্যমে আঘাতের জায়গায় আরও লবণ দেওয়ার কাজ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এর দ্বারাই পাকিস্তানের সঙ্গে আমেরিকার অধ্যায়েরও অবসান হয়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন তিনি। সমস্ত কিছুর জন্য আমেরিকাকে ‘ধন্যবাদ’ জানিয়ে তাদের বিদায় জানানোর সময় এসে হয়েছে বলে মন্তব্য করেন শহবাজ। কেবলমাত্র এর মাধ্যমেই তাদের দেশ নিজেদের বাঁচাতে পারে বলে বলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী।