কক্সবাংলা ডটকম(৪ নভেম্বর) :: দেশের খুচরা বাজারে দেশি কলি ছাড়া পেঁয়াজ এসেছে, যার সরবরাহ সামনে আরও বাড়বে। সরকারের পক্ষ থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির তৎপরতা চলছে, বলা হচ্ছে সেটাও শিগগির আসবে। মিসর ও তুরস্কের পেঁয়াজের বড় তিনটি চালান আসছে, যা চলতি সপ্তাহেই বাজারে ঢুকবে; বিক্রি হবে বর্তমান সময়ের অর্ধেক দামে। এছাড়া মজুদ রাখা পেঁয়াজ পচার শঙ্কাও রয়েছে।
এসব কারণে লোকসানের ভয়ে পণ্যটির সরবরাহ বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা আর পাইকারি ও খুচরায় দামও কমাতে শুরু করেছেন। দুদিনের ব্যবধানে পাইকারিতে কেজিতে গড়ে ১৫ টাকা সব ধরনের পেঁয়াজের দাম কমেছে। ঢাকার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আমদানি পেঁয়াজ ১৪০ ও দেশি ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর শ্যামবাজারের আড়তদার প্রদেশ পোদ্দার বলেন, গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে, চলতি সপ্তাহে বাজারে মিসরের পেঁয়াজ আসছে। ওই পেঁয়াজের দামও অনেক কম। তাই যাদের কাছে যে পেঁয়াজ ছিল সেগুলো বিক্রি করে দিচ্ছে। সবারই আশঙ্কা, এই সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজ বিক্রি করতে না পারলে পচে যাবে। এতে লোকসান হবে। এজন্য দামও কমতে শুরু করেছে।
আড়ত পর্যায়ে দাম কমার প্রভাব পড়েছে পাইকারি বাজারে। রাজধানীর কারওয়ানবাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ পাইকারিতে বিক্রি হয়েছে ১২০-১২৮ টাকা, যা গত শুক্রবার বিক্রি হয় ১৩০-১৩৫ টাকা। মিয়ানমারের পাইকারিতে বিক্রি হয় ১১৫-১২০ টাকা, যা গত শুক্রবার ছিল ১৩০-১৩২ টাকা। খুচরা বাজারেও পেঁয়াজের দাম কমেছে। গত শনিবার দেশি পেঁয়াজ ছিল ১৬০ টাকা, যা এদিন ১৫০ টাকার কমেও বিক্রি হয়।
পেঁয়াজ বাজারে সার্বিক অবস্থা কী– জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. জাফরউদ্দিন বলেন, ‘মিসর ও তুরস্কের বড় তিনটি চালান পথে রয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই এগুলো বাজারে পৌঁছবে। আর ভারতের পেঁয়াজ আমদানির বিষয়েও সরকার ও ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে যোগাযোগ চলছে। আগামী সপ্তাহে আর কোনো সংকট থাকবে না।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিসর থেকে আমদানি করা এস আলম গ্রুপের ১৫ হাজার টনের পেঁয়াজের চালানটি বাজারে ঢুকবে। এ পেঁয়াজ খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ৫০ টাকায় বিক্রি হতে পারে।
ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির জন্য বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি যোগাযোগ করেছেন। ভারতের ব্যবসায়ীরাও বাংলাদেশে পেঁয়াজ দিতে আগ্রহী। তাই যেকোনো সময়ে ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে ঢুকতে পারে। এরই মধ্যে দেশি আগাম পেঁয়াজ বাজারে এসেছে। এসব কারণে ঝুঁকি নিতে চান না ব্যবসায়ীরা।
তাদের শঙ্কা, ভারতীয় ও মিসরীয় পেঁয়াজ বাজারে এলেই বড় ধরনের লোকসান গুনতে হবে তাদের। সেজন্য আগেই মজুদ থাকা পেঁয়াজ বিক্রি করতে চান তারা। মজুদ থাকা পেঁয়াজ পচলেও লোকসানে পড়তে হবে। এজন্য ব্যবসায়ীরা আগের তুলনায় কম দামেই বাজারে বেশি পেঁয়াজ সরবরাহ করছেন।
সোহেল রানা নামে এক পাইকার বলেন, ‘এতদিন মজুদদাররা বলছে পেঁয়াজের সংকট। তাই তারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়েছে। কিন্তু এখন তারাই যোগাযোগ করে পেঁয়াজ দিতে চাইছে।’
Posted ২:৫৯ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta