নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(৩০ ডিসেম্বর) :: পেকুয়ায় অপহৃত ২ যুবককে উদ্ধার করল পুলিশ। সন্দেহভাজন হিসেবে ওই ঘটনায় ১ জনকে আটক করে। গত ২৯ ডিসেম্বর বিকেলে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা থানার আজিজনগরের জুমপাড়া এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করে। এ সময় একজনকে চকরিয়া উপজেলার বিএমচর বেতুয়া বাজার থেকে আটক করে।
অপহৃত ২ যুবকের নাম আবদুল্লাহ আল সুমন(২৫), মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ(২২)। হারুন ফাসিয়াখালী এলাকার মোস্তাক আহমদের ছেলে ও সুমন সদর ইউনিয়নের ভোলাইয়াঘোনা এলাকার নুরুল আলমের ছেলে বলে জানা গেছে। আটক মোহাম্মদ সেলিম(২৮) তিনি বারবাকিয়া মৌলভীবাজার জাফর আলমের ছেলে। এ ঘটনায় পেকুয়া থানায় ২৯ ডিসেম্বর মামলা হয়েছে।
৪ জনকে আসামী করা হয়। যার নং ১১/১৭। এ দিকে অপহৃত উদ্ধার ঘটনায় ১ জনকে আটক ও মামলা দায়েরের এ বিষয়ে পরষ্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। একটি পক্ষের দাবী অপহৃত ২ যুবককে মুক্তিপণের জন্য অপহরন করা হয়েছে। তাদেরকে পার্বত্য জেলার গহীন পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে প্রায় ২৬ ঘন্টা আটকিয়ে রাখে।
অপহরনকারীরা মুঠোফোনে মুক্তিপণ দাবী করছিলেন। ভিকটিম উদ্ধার করতে পরিবার বিকাশে টাকা পৌছায়। কৌশলে প্রশাসন এ ঘটনার ক্লু উদঘাটন করে। এতে করে সেলিম পুলিশের হাতে পড়ে। তবে সেলিমের আটক ছিল রহস্যাবৃত।
অপর একটি পক্ষের বক্তব্য এ ঘটনায় পুলিশ ক্লু উদঘাটনে ব্যর্থ। অপহরনের জন্য ভিকটিমদের নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গম পাহাড়ের গুহায়। সেলিম ছিল বিএমচরে। সেখানে তাকে সন্দেহজনক আটক করা হয়েছে। সেলিমকে আটক করা হয়েছে এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় তার এলাকার লোকজন তার আটকের খবরে হতভম্ভ হন।
তারা জানায়, সেলিম অবিচারের শিকার হয়েছে। এটি তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত। প্রহসন ও নাটকীয়ভাবে তাকে এ ধরনের জঘন্য ঘটনায় জড়ানো হয়েছে। যা কাল্পনিক ও সাজানো। আমরা এ ধরনের ঘটনা তার দ্বারা সংঘটিত হবে এমন বিশ^াস রাখতে পারি না।
মৌলভীবাজারের লোকজন জানায়, সেলিম একজন পেশাদার ব্যবসায়ী। তিনি কোন অপকর্মে জড়িত নন। হালাল রুজি রোজগার করে সংসার চালায়। তিনি প্রশংসনীয় গুনাবলী ও বিবেকবান একজন সৎ ব্যবসায়ী। দুটি ব্যবসা প্রতিষ্টানের কর্ণধার। মৌলভীবাজারে তার ডেকুরেটার্স ব্যবসা আছে।
রাজনীতিকভাবে মুক্তিযোদ্ধা ও প্রগতির চেতনায় বিশ^াসী। তিনি একজন একদিকে রাজনৈতিক সেরা কর্মী, অপরদিকে সামাজিক সংগঠনের নীতি নির্ধারক ও সংগঠক। বারবাকিয়া ইউনিয়নে মুজিব চেতনায় উদ্ভুদ্ধ তরুন প্রজন্মকে একত্রিত করে ভাই ভাই বঙ্গবন্ধু একতা সংগঠন নামে একটি সামাজিক সংগঠনের প্রবক্তা। ওই সংগঠনের বর্তমান সভাপতি।
ব্যবসায়ীরা জানায়, তিনি রাজনৈতিক কুটচালের শিকার। সে দিন ওই ঘটনায় তাকে সম্পৃক্ত করতে কিছু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ থানায় দৌড়ঝাপ করে। আমাাদের সন্দেহ তাকে ঘায়েল করতে জামায়াত বিএনপির কিছু অনুসারী এর পিছনে কাজ করে।
সেলিমের মা জাহানারা বেগম জানায়, আমি শেষ হয়ে গেছি। আমার ছেলের সাথে এটি সাজানো নাটক। আমার ছেলে নিরাপরাধ ও নির্দোষ। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করছি।
Posted ১:২৪ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta