বিশেষ প্রতিবেদক(৩১ আগস্ট) :: পেকুয়ায় অস্ত্রধারীরা গুলি ছুড়াল সাংবাদিক নাজিম উদ্দিনের বাড়িতে। ২০/২৫ জনের একদল অস্ত্রধারী পেকুয়ায় কর্মরত সাংবাদিক নাজিম উদ্দিনের বাড়িতে রাতে হানা দেয়। এ সময় তারা ওই বাড়ির চতুরপাশের্^ অবস্থান নেয়। সবাই ছিল মুখোশপরা অস্ত্রধারী।
আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় তৈরী অস্ত্র স্বস্ত্র নিয়ে তারা রাত ১১ টার দিকে নাজিম উদ্দিনের বসতবাড়ি ঘিরে ফেলে। এ সময় সাংবাদিক নাজিম উদ্দিনের মা মমতাজ বেগম এদের গতিবিধি সন্দেহ জনক অবস্থায় দেখতে পান।
মুঠোফোনে বিষয়টি তার ছেলে গণমাধ্যম কর্মী নাজিম উদ্দিনকে অবহিত করে। এ সময় ওই সংবাদ কর্মী এ সম্পর্কিত বিষয় পেকুয়ার প্রশাসন ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ তার নিকটতম ব্যক্তিবর্গকে অবহিত করেন। মুহুর্তের মধ্যে এলাকার লোকজন ডাকাত ডাকাত শোর চিৎকার করে এলাকায় প্রকম্পিত করে।
এ সময় মসজিদের মাইকে এলাকায় অস্ত্রধারী ডাকাত প্রবেশ করছে এ সংবাদ প্রচার করে। শত শত মানুষ বাড়িঘর থেকে বের হয়ে জড়ো হয়। এ সময় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা নাজিমের বসতবাড়ির পূর্ব পাশ দিয়ে দ্রুত সটকে পড়ে। লোকজনের জড়তা ঠেকাতে তারা রাতে অন্তত ৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
৩০ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে সদর ইউনিয়নের বিলহাসুরা টেকপাড়া গ্রামে গুলি বর্ষনের এ ঘটনা ঘটে। পেকুয়া থানার এস,আই আশিকুর রহমান সহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে হতাহত ও অপ্রীতিকর বড় ধরনের ঘটনা সংঘটিত হয়নি। সাংবাদিক নাজিম উদ্দিন বাড়িতে ছিলেন না। তিনি ছিলেন তার বোনের বাড়িতে। পিতা আশরাফ মিয়া পৈত্রিক বাড়িতে ভাই বোনদের নিয়ে বৈঠক করছিলেন। বাড়িতে একাই ছিলেন ওই সংবাদ কর্মীর মা। খবর পেয়ে লোকজন তার বাড়িতে জড়ো হয়।
স্থানীয় সুত্র জানায়, ওই দিন রাত ১১ টার দিকে ২০/২৫ জনের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা নাজিম উদ্দিনের বাড়িতে অবস্থান করে। এ বাড়িটি নির্জন ও দুর্গম এলাকায়। তারা বাড়ির চতুরপাশের্^ অবস্থান করছিলেন। সবাই মুখোশ পরিহিত। নাজিম উদ্দিনের মা তাদের দেখতে পান।
সুত্র জানায়, সম্প্রতি পেকুয়ায় আইন শৃংখলার অবনতি ঘটেছে। একটি প্রভাবশালী চক্র উচ্ছৃংখল যুবকদের নিয়ে বলয় তৈরী করে।
তারা সাধারন মানুষকে জিম্মী করে চাঁদা আদায়, আটকিয়ে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর আদায়, জোরপূর্বক ব্যাংক থেকে চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন, চেতনানাশক ইনজেকশন পুশ করে জমি রেজিস্ট্রিসহ নানা ধরনের অপরাধ কর্মকান্ড সংঘটিত করে আসছিল। নিপীড়ন ও নির্যাতনের মাত্রা বেড়েছে সাধারন মানুষের উপর।
জুলুম, অবিচার ও মানবাধিকারের চরম লংঘন করে ওই চক্র মানুষের জান মাল বিপর্যস্ত করছে। তারা পেকুয়ায় ভয়ংকর ও মুক্তিমান। এ সবের বিরুদ্ধে ভূক্তভোগীরা মুখ খোলতে শুরু করছে। গণমাধ্যম কর্মীরা এ সব অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে।
গত কয়েক দিন ধরে এ চক্রের বিরুদ্ধে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু সচিত্র প্রতিবেদন ভাইরাল হয়েছে। পেকুয়ার মানুষ এ চক্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে। সাংবাদিক নাজিম উদ্দিন সহ কিছু সংবাদ কর্মী সাহসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।
নাজিম উদ্দিন জানায়, সম্প্রতি জাহাঙ্গীর মেম্বারের পরিবারের অপরাধ কর্মকান্ডগুলি আমি সহ সংবাদকর্মীরা প্রকাশ করছি। সংবাদ পত্র আলোর দর্পন। অন্যায় ও অবিচার গুলি দেশ ও জাতিকে তুলে ধরা আমাদের কাজ। আমাদের চোখ কান খোলা।
দৃস্টি আমাদের প্রখর। তবে যারা অন্যায় করে তারা হুমকি ও ধমকি দেয়। যুবলীগ সভাপতির ভ্রাতৃদ্বয় অন্যায় করছে। এ সব লিখতে হবে। আমি এ সবের ভয় পায় না। আমি নিশ্চিত ওই দিন এ পরিবার আমার বাড়িতে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের পাঠায়। তারা আমাকে প্রানে হত্যার উদ্দেশ্যে সেটি পরিকল্পনা মাফিক ছিল।
আমি প্রশাসনকে মুহুর্তের মধ্যে জানাই। জনগন আমার পাশে ছিল। আমি উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক। তারা আমাকে এ্যাটাক করতে পারে। আমি কিন্তু সত্যের জন্য পিছপা হব না।
Posted ১:১১ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta