মো: ফারুক,পেকুয়া(১৭ জুলাই) :: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নে উন্নয়নে ভরে যাচ্ছে। বিভিন্ন সরকারী ভাতার পাশাপাশি রাস্তাঘাটের অনেক উন্নয়ন হয়েছে এবং হচ্ছে। পেকুয়ায়ও ধারাবাহিকভাবে উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু এ সমস্ত উন্নয়নের ভাগিদার হতে পারছেনা আ’লীগ দলীয় নেতাকর্মীদের। নেতাকর্মীদের এমন পোড়া কপাল ভাগ্যে ত্রাণ পর্যন্তও পাচ্ছে না। এমনকি দলীয় নেতাকর্মীদের পুলিশি হয়রানি করতেও ওসি দ্বিধা করছেনা। এসব কারণ সঠিক সময়ে আ’লীগ এর জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত না করা।
উপজেলাকে যুবদল নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু বিএনপি সভাপতি সদর চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ ও মগনামা চেয়ারম্যান ওয়াসিম গ্রাস করে রেখেছে। ইউএনও ও ওসি তাদের কথা ছাড়া নড়াছড়া পর্যন্ত করেনা।
বিএনপির অত্যাচার এতো বেশি হচ্ছে মগনামার আ’লীগসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে আ’লীগ নেতাকর্মীরা হয়রানি ও গুলিবিদ্ধের শিকার হচ্ছে। আর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ নির্বাচনের আগে কোন কমিটি ভাংগা গড়া ও নেতাকর্মীদের বহিস্কার করা যাবেনা।
সোমবার (১৭ জুলাই) দলীয় কার্যালয়ে আগামী ১৫ আগষ্ট জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী পালন ও সাংগঠনিক কর্মপরিধির কর্মপরিকল্পানর অংশ হিসাবে এ বর্ধিত সভায় উপরোক্ত কথাগুলো বলেন উপজেলা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমসহ দলীয় নেতারা।
সংগঠনের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) শাহনেওয়াজ চৌধুরী বিটুর সভাপতিত্বে আলোচনা পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম এর পরিচালনা সভায় বক্তরা আরো বলেন, দলের লোকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সামনে জাতীয় নির্বাচন। গতবারে চকরিয়া উপজেলা আ’লীগ সভাপতি জাফর আলম এমপি নমিনেশন হয়েছিলেন। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জোট প্রার্থীকে এ আসন ছেড়ে দেওয়ায় সে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেয়। অথচ জোট প্রার্থীর এমপি মো: ইলিয়াস উন্নয়ন বরাদ্ধ লুটে খাচ্ছেন।
জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা বরাদ্ধ ভাগ ভাটোয়ারা করে নিচ্ছে। এর থেকে উত্তোরণের জন্য আগামী বারে চকরিয়া-পেকুয়ায় নৌকাকে বিজয়ী করতে পেকুয়া দলীয় নেতাকর্মীদের একযোগে কাজ করতে হবে। দলীয় ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সকল সহযোগি সংগঠনকে তৃণমূলে কাজ করতে হবে। প্রত্যেকটি ইউনিয়নে মহিলা কমিটিকে আরো বেশি কাজ করতে হবে। এ সময় আগামী ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর শাহাদত বার্ষিকী ব্যাপক লোকসমাগমের মাধ্যমে পালনের সিদ্ধান্ত হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আ’লীগ নেতা ফরিদুল আলম, নুর মুহাম্মদ, চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম, চেয়ারম্যান ছৈয়দনুর, খাইরুল এনাম, তোফাজ্জল করিম, কামাল হোসেন, ডাক্তার জাকের হোসেন, জাকিরুল ইসলাম, ওসমাণ গণি, নেজাম উদ্দিন, জিয়াবুল করিম জিকু, মহিলা নেত্রী মর্জিনা বেগম ও ছাত্রলীগ নেতা শওকত। উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড আ’লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
Posted ১০:১৭ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৭ জুলাই ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta