নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(১০ জানুয়ারী) :: পেকুয়ায় উজানটিয়া ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি তোফাজ্জল করিমের বিরুদ্ধে এবার মামলা রুজু করালেন উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি জিয়াবুল হক জিকু।
১০ জানুয়ারী চকরিয়া সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি নালিশি অভিযোগ দায়ের করে।
আদালত সেটি আমলে নেয়। তোফাজ্জল করিমসহ ১৩ জন নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০/১৫ জনকে আসামী করে। জিয়াবুল হক জিকু উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের করিয়ারদিয়ার মৃত আনসারুল করিমের পুত্র। তিনি যুবলীগ পেকুয়া উপজেলা শাখার সহসভাপতি পদে আসীন।
এ দিকে ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে খোদ যুবলীগ সহসভাপতির মামলা দায়েরের এ ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। মামলার বাদী অভিযোগে উল্লেখ করেন তিনি চরম নিরাপত্তাহীন। সংঘাত ও প্রাণহানির মত চরম বিচলতি হয়েছেন। যে কোন মুহুর্তে তিনি কিংবা তার পরিবারের অন্য সদস্যরা প্রাণ শংকায় ভোগছেন। আসামীরা সংঘবদ্ধ তারা যে কোন মুহুর্তে বাদীর উপর হামলা সংঘটিত ঘটাতে পারে।
ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি তোফাজ্জল করিম বাদীর চরম অন্তরায়। তিনি গত কয়েক মাস ধরে বাদীকে হাকাবকাসহ নানা ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চলছেন। গত কিছুদিন আগে জিয়াবুল হক জিকু সন্ত্রাসী হামলায় আক্রান্ত হন।
আসামীরা সংঘবদ্ধ হয়ে মৎস্য ঘের থেকে আসার পথিমধ্যে জিকুকে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় রক্তাক্ত জখম হন জিকু। এ ঘটনায় আসামীদের বিরুদ্ধে পেকুয়া থানায় মামলা রুজু হয়। যার নং ০১/১৮।
জিকু জানায়, হামলার উস্কানীদাতা ও মুলহোতা তোফাজ্জল করিম। তাকে আসামী করা হয়নি আ’লীগ করেন বলে। তবে ওই সরলতায় এ ব্যক্তি আরও অধিক উৎসাহী ও বিপদগামী হয়েছেন। মামলায় অন্তর্ভূক্ত হননি এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ওই ব্যক্তি চরম আক্রোশী হন।
সম্প্রতি মামলার দায়েরের ঘটনায় তোফাজ্জলসহ আসামীরা আরও অধিক হিং¯্র হন। বাদী সম্প্রতি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে পেকুয়ায় পৌছে। তবে আসামীদের হুমকি ও হামলার ভয় অব্যাহত থাকায় গত ১৫ দিন ধরে এলাকায় যেতে সক্ষম হয়নি। আসামীরা অধিক হিং¯্র ও উত্তেজিত হয়েছেন।
মামলার খবরে তারা প্রতিশোধ পরায়ন। তারা বর্তমানে আমার চলাফেরার অন্তরায়। যে কোন মুহুর্তে আমার উপর হামলা ও প্রাণনাশ ঘটাতে পারে এ শংকায় আদালতের আশ্রয় নিয়েছি। তারা আমার স্কুল পড়–য়া সন্তানদেরও অপহরনের মত ঘটনা সংঘটিত করতে পারে।
Posted ২:৫৮ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারি ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta