মো: ফারুক,পেকুয়া(১৪ জানুয়ারী) :: কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা আ’লীগ নেতা মগনামা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ইউনুছ চৌধুরীর উপর হামলার ঘটনায় উপজেলা বিএনপির আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক মগনামা ইউপির চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিসহ ৩৭ জনের নামে মামলা রুজু হয়েছে। যার মামলা নং ০৭/১৮ইং। বাদি আহত ইউনুছ চৌধুরী ভাই সরওয়ার আলম চৌধুরী।
এ ঘটনায় পুলিশ আনসার উদ্দিন ও জহির আলম নামের ২জনকে আটক করেছে।
এজাহারে বাদি উল্লেখ করেন, বর্তমান চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম ‘ওয়াসিম’ বাহিনী নামেই একটি বাহিনী গঠন করে এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছেন। বিগত ইউপি নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আহত সাবেক চেয়ারম্যান ইউনুছ চৌধুরী।
নির্বাচন পরবর্তি আহতকে অবৈধ অস্ত্র ও ইয়াবা দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেন ওয়াসিম। সদ্য জেল থেকে বের হলে স্থানীয় এলাকাবাসীরা জেলা আ’লীগ নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে বিশাল সংবর্ধনা দেন। এতে চরম ক্ষুব্দ হন বর্তমান চেয়ারম্যান।
যার কারণে সংবর্ধনার একদিন পর তার বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড লিটনসহ ৪০ জনের একটি দল কাঁকপাড়াস্থ ইউনুছ চৌধুরীর বসতবাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর, গুলিবর্ষণ করে অপহরণ করে। ওই সময় স্ত্রী জন্নাতুল ফেরদৌস ও বাদি বাঁধা প্রদান করলে তাদেরকেও মারধর করে আহত করে।
এক পর্যায়ে সাড়ে ৫টায় তাকে গুরুতর আহত ও মূমর্ষ অবস্থায় লবণ মাঠ থেকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। বর্তমানে মূমর্ষ অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুব্রত জানান, সাবেক চেয়ারম্যান ইউনুছ চৌধুরীর উপর হামলার ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে। দোষীরা অবশ্যই চার্জভুক্ত হবে।
ওসি(তদন্ত)মনজুর কাদের মজুমদার বলেন, এ পর্যন্ত দুইজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামীদের আটকের অভিযান অব্যাহত আছে।
ইউনুছ চৌধুরীর উপর হামলা ঘটনায় নিন্দা
————————
পেকুয়ায় উপজেলা আ’লীগ নেতা মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সফল চেয়ারম্যান ইউনুছ চৌধুরীর উপর বর্বর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন উপজেলা আ’লীগ, উপজেলা যুবলীগ, ইউপি সদস্যসহ সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। বিবৃতিদাতারা হলেন, উপজেলা আ’লীগ নেতা এড. কামাল হোসেন, সালাহউদ্দিন এম.এ, সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান এম.শহিদুল্লাহ,কামাল হোসেন এমকম, জাহাঙ্গীর সাত্তার, আবু তালেব, কাজিউল ইনসান, মাশুক আহমেদ,মফিজুর রহমান, মাওলানা ছাবের আহমদ, আজম খান, আনোয়ারুল আজিম চৌধুরী বাবুল, সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম চৌধুরী বাবুল, সাবেক ইউপি সদস্য কবির আহমদ, নেজাত মাহমুদ, ডাক্তার আবদু জলিল, বেলাল উদ্দিন বিএসসি, রিদুয়ান নাজেরী, সাবেক ছাত্রলীগ সম্পাদক জুবাইদুল্লাহ লিটন, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সহসভাপতি এড.মোজাম্মেলক হক, ইউপি সদস্য বাদশা মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য শফিউল আলম, সেলিম উদ্দিন, যুগ্ন-সম্পাদক আকতার হোছাইন, জেলা সেচ্ছাসেবকলীগ সদস্য এসএম শাহাদত হোছাইন, শ্রমিকলীগ আহ্বায়ক নুরুল আবছার, সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম বাবুল, সৈনিকলীগ সভাপতি সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম হিরু, তাঁতীলীগ আহ্বায়ক জায়েদ মোর্শেদ, সদস্য সচিব মো: ইসমাঈল, যুবলীগ নেতা আজমগীর, জাফর আলম, হারুণর রশিদ, মো: আনসার, জয়নাল আবদীন (পিচ্ছি) ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি সম্পাদক যথাক্রমে শহিদুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম, হেলাল উদ্দিন, আবুল কালাম, এনামুল হক চৌধুরী, বাচ্ছু মিয়া, শেখ ফরিদ, তুষার ইমরান, রুকন উদ্দিন, মো: ইসমাঈল, আনসারুল ইসলাম টিপু, মিজবাহ উদ্দিন, ছাত্রলীগ নেতা মিরাজ, ফারুক আজাদ, রাশেদ, রোমান, সাজিব, ইউপি সদস্য বৃন্দ যথাক্রমে আজিজুল হক, আলমগীর, নেজাম উদ্দিন, মো: ওসমাণ, আবু ওমর, বাদশা মিয়া, আনিসুল করিম, আবু ছৈয়দ, এনামুল হক, আরিফুল হক, জিয়াবুল হক, হেলাল উদ্দিন, টিপু সোলতান, আনোয়ার হোছাইন, মো: ইসমাঈল, জিয়াবুল করিম, নাসির উদ্দিন মিয়া ও আবদু ছমদ প্রমুখ। বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেন, একজন জনপ্রিয় আ’লীগ নেতাকে দিনের আলোতে অপহরণ করার পর বর্বর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুরো কক্সবাজারবাসী হতবাক।
নিন্দা জানানোর পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জড়িত পেকুয়া উপজেলা বিএনপির আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক যুদ্ধাপরাধী মীর কাশেমের সহযোগি মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম ও তার পুরো বাহিনীর সন্ত্রাসীদের দ্রুত আটক করতে হবে।
অন্যতায় কঠোর অন্দোলনের হুশিয়ারী দেন তারা। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জেলা পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম সাক্ষরিত সংবাদপত্রে প্রকাশ ও প্রচারণার্থে প্রদত্ত এক যুক্ত বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।
Posted ১০:২৯ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৪ জানুয়ারি ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta