মো: ফারুক,পেকুয়া(১০ সেপ্টেম্বর) :: পেকুয়ায় ওয়াকফ ষ্টেটের জমি নিয়ে দুই পক্ষে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার আইন শৃংখলা কমিটির সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সদস্যরা।
স্থানীয় থানা প্রশাসন উত্তেজনা নিরসন করতে যতেষ্ট উদ্যোগ গ্রহন করলেও প্রভাবশালীরা তা অমান্য করায় আইন শৃংখলার চরম অবনতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব বিলহাচুরা এলাকায়।
জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলাধীন ডেমুশিয়া এলাকার মৃত শওকতুল ইসলাম চৌধুরী বিলহাচুরা এলাকায় ১৫৩ কানি জমি একটি মাদ্রাসার নামে ওয়াকফ করে। তা ওয়াকফ প্রশাসন কর্তৃক পরিচালিত হয়। তার বর্তমান মতোয়াল্লি মৃত শওকতুল ইসলাম চৌধুরীর স্ত্রী হালিমা চৌধুরানী।
বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি কার্যকারক ও চাষা দিয়ে ওই জমি চাষবাদ করে আসছিলেন। কিন্তু ইতিমধ্যে বিলহাচুরা এলাকার মোস্তাক আহমদ ও তার পুত্রদ্বয় ওই ওয়াকফ ষ্টেটের জমি জবর দখল করার পায়তারা শুরু করে।
তারা জমিতে জোরপূর্বক ধান রোপন অব্যাহত রাখলে তিনি আশ্রয় নেন পেকুয়া থানা প্রশাসনের। পেকুয়া থানা প্রশাসনের ওসি তদন্ত দুই পক্ষকে নিয়ে একাধিক বৈঠক আয়োজন করলেও মোস্তাক আহমদ গং তা অমান্য করে চলছে।
এদিকে সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) পেকুয়া উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আইন শংখলা সভায় জেলা পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ওয়াকফ ষ্টেটের জমির বিষয়ে সভাপতি ও ওসি তদন্তের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওই সময় সকল সদস্যদের সামনে তিনি বলেন, হালিমা চৌধুরী ওই জমি নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন। তিনি বারবার থানায় আসা যাওয়া করছেন। কিন্তু অপর পক্ষ তা অগ্রাহ্য করে চলছে।
এবিষয়ে তাৎক্ষনিকভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মতোয়াল্লীর কার্যকারক বিলহাচুরা এলাকার জালাল উদ্দিন ও শাহাব উদ্দিন বলেন, হালিমা চৌধুরীর কার্যকারক হয়ে আমরা ১৫৩ কানি জমি দেখভাল করে আসছি।
কিন্তু ইতিমধ্যে মোস্তাক আহমদ ও তার পুত্র মমতাজুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম, জাহেদুল ইসলাম, মাহমুদুল করিম, রেজাউল করিমসহ আফতাব উদ্দিন, মুজিব তাদের দলবল নিয়ে জমি জবর দখল করার পায়তারা শুরু করে। এক পর্যায়ে হালিমা চৌধুরী থানায় অভিযোগ দিলে তাদের জবর দখল চক্রান্ত ফাঁস হয়ে যায়।
এরপর জমির চাষা জাহাঙ্গীরকে ব্যাপক মারধর করে আহত করলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে ডজন মামলা চলমান রয়েছে। সব সময় অস্ত্রসহ চলাফেরা করে। যার কারণে তাদের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়না।
প্রশাসন তাদেরকে জমিতে ঝামেলা সৃষ্টি না করার জন্য বারণ করলেও অগ্রাহ্য করে চলছে। এছাড়াও বর্তমানে অস্ত্র সজ্জিত হয়ে জমিতে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে ধান রোপন করা অব্যাহত রেখেছে। আমরা এ বিষয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, আমরা আইন শৃংখলার কমিটির সভায় বিষয়টি উত্তাপন করেছি। যাতে আইন শৃংখলার অবনতি না হয় সে বিষয়ে আমরা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।
Posted ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta