মো: ফারুক পেকুয়া(৯ মে) :: পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ধনিয়াকাটা থেকে উদ্ধাকৃত গৃহবধু ইয়াসমিন আকতারের লাশের দুই পা চোঁখ ও শরীরে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে। মৃত পরবর্তি লাশটির পিতার পরিবারের পক্ষ থেকে শরীরে চেকআপ করে এ চিহ্ন দেখতে পান।
সাথে সাথে স্টিল ছবিও সংগ্রহ করে রাখে তারা। পরিকল্পিত এ হত্যাকান্ডটি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার জন্য এটিকে আড়াল করার চক্রান্ত করছে হত্যাকারীরা। এমন অভিযোগ করেছেন গৃহবধুর পিতা বজল আহমদ ও মা সায়েরা বেগম।
পিতা বজল আহমদ বলেন, আমার মেয়ের ৮বছরের সংসারে দু’টি সন্তান রয়েছে। সুঃখের সংসারের জন্য বিগত ৩বছর আগে তার স্বামীকে টাকা খরচ করে মালেশিয়া পাঠিয়েছি। এ তিন বছরের মধ্যে ১বছর সুঃখের সংসার চললেও বিগত ২বছর ধরে তাকে শ^াশুড়ী নমিলা খাতুন ও ভাশুর আলমগীরসহ আরো কয়েকজন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বকাঝকা ও মারধর করতো। তাতে প্রবাসে থাকা স্বামীর পরোক্ষ ইন্ধন ছিল।
এর আগেও কয়েকবার মারধরের কথা আমাকে জানালে সংসার ঠিকিয়ে রাখতে মেয়েকে ধয্য ধরার পরামর্শ দিয়েছি। সেই পরামর্শ যে আমার মেয়ের জীবন নিভিয়ে যাবে তা আমার ধারণাই ছিলনা। গত ৮ মে সকালে আমার মেয়েকে উপর্যপুরী মারধর করে এবং গলায় দড়ি দিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে। পরে আতœহত্যা চালিয়ে দেওয়ার জন্য গলায় ফাঁস লাগানোর কথা প্রচার করে।
মৃত পরবর্তি আমার তাদের বাড়িতে গেলে বিছানায় লাশটি পড়ে থাকতে দেখি। সাথে তার শরীর চেক করলে দু’পা ও চোঁখে আঘাত দেখতে পায়। সাথে সাথে আঘাতের ছবি সংগ্রহ করে রাখি। আমার মেয়েকে পরিকল্পিত হত্যার জন্য আমরা আইনের আশ্রয় নিব ও ওসি পেকুয়ার সহযোগিতা কামনা করছি।
লাশ উদ্ধারে যাওয়া পেকুয়া থানার এসআই বিপুল চন্দ্র রায় আঘাতের বিষয় নিয়ে বলেন, পায়ে আঘাতের চিহ্ন প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গেছে। মনে হচ্ছে এটি গলায় ফাঁস দেওয়ার সময় নিজেই আঘাত পেয়েছে। আঘাতের বিষয়টি বিস্তারিত জানার জন্য ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
এ বিষয়ে আমরা তদন্তকাজ চালিয়ে যাচ্ছি। হত্যার বিষয়ে সুস্পষ্ট প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Posted ১২:৫৪ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১০ মে ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta