নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(৬ নভেম্বর) :: পেকুয়ায় এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সুরতহাল রিপোর্টসহ ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করে লাশটি।
৫ নভেম্বর (সোমবার) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বলিরপাড়া আশ্রায়ন প্রকল্পের বসতি থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে। নিহত গৃহবধূর নাম সাবেকুন্নাহার পুতু (২৫)। তিনি ওই এলাকার শাহজাহানের স্ত্রী। তবে লাশ উদ্ধার নিয়ে ধোয়াশা তৈরী হয়েছে। পরষ্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সুত্র জানায়, ওই দিন সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূর মরদেহ তার বসতবাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। বাড়ির ছালার আড়ায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে অবস্থায় লাশটি ঝুলন্ত ছিল। তবে বাড়িটি নীচু হওয়ায় ওই নারীর ঝুলন্ত মরদেহ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
আশ্রায়ন প্রকল্পের প্রতিবেশীরা জানায়, সাবেকুন্নাহার ও স্বামী শাহজাহানের মধ্যে বনিবনা চলছিল। স্বামী তাকে সন্দেহ করছিলেন। ঘটনার একদিন আগে রাতে শাহজাহান তার স্ত্রীকে ব্যাপক মারধর করে।
এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে এসে এ গৃহবধূকে শারীরিক নির্যাতন থেকে উদ্ধার করছিলেন। শাহজাহান পেশায় বাবুর্র্র্র্র্চি।
অপর একটি সুত্র জানায়, শাশুড়ী ও স্বামীসহ শাশুর বাড়ির লোকজন প্রায় সময় সাবেকুন্নাহারকে মানসিক নির্যাতনসহ মারধর করত।
সাবেকুন্নাহারের পিতা মোজাহের আহমদ, ভাই কফিল উদ্দিন ও ছৈরভাঙ্গার লোকজন জানায়, পরকীয়ায় কাল হয়েছে সাবেকুন্নাহারের জীবন। এ নারীকে শ্বাসরুদ্ধ করে স্বামী হত্যা করে। এ ঘটনাকে ধামাচাপা ও ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে লাশটি ঝুলিয়ে রাখে। মুলত মেরে ফেলা হয়েছে।
এ দিকে ছাবেকুন্নাহারের এ হত্যাকান্ডকে ধামাচাপা দিতে দৌড়ঝাপ চলছিল বলে দায়িত্বশীল সুত্রে জানায়। স্বামী ও স্ত্রীপক্ষ সমঝোতায় পৌছতে সন্ধ্যার দিকে বৈঠকে মিলিত হয়েছে। মোটা অংকের টাকায় এ ঘটনা মিমাংসিত হচ্ছে। তবে লাশ উদ্ধার পর থেকে স্বামী, ২ দেবর, শাশুড় ও শাশুড়ী পলাতক রয়েছে।
ছৈড়ভাঙ্গা ষ্টেশনে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে বৈঠক চলছিল। তারা টাকায় বিষয়টি নিস্পত্তি করতে মুলত এ বৈঠকের আয়োজন করে।
পেকুয়া থানার ওসি জাকির হোসেন ভূইয়া জানায়, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
Posted ১:৫৫ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০৭ নভেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta