নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(৩০ নভেম্বর) :: পেকুয়ায় গ্রাম পুলিশকে হত্যার হুমকি দিল শিবিরের দুর্ধর্ষ ক্যাডার। এতে করে শংকিত ইউপির কর্মরত ওই গ্রাম পুলিশ পেকুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ পৌছায়।
পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান জানায়, গ্রাম পুলিশের এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসহ এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৩০ নভেম্বর (শুক্রবার) দুপুর ২ টার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ধনিয়াকাটা গ্রামে হুমকির এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে টইটং ইউপির কর্মরত গ্রাম পুলিশ ধনিয়াকাটা গ্রামের জালাল আহমদের ছেলে মনছুর আলম বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় এ অভিযোগ পৌছায়।
অভিযোগে একই গ্রামের শিবিরের ক্যাডার রেজাউল (৩৩) ও তার ভাই বিএনপি নেতা মোজাম্মেল হক সহ ৩ জনকে বিবাদী করে।
অভিযোগ সুত্র জানা গেছে, গত ১ মাস আগে ধনিয়াকাটা গ্রামে একজন কিশোরীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। মেয়েটিকে সিএনজিতে তুলে বখাটেরা পালাক্রমে ধর্ষণ করে। স্থানীয়রা ভিকটিমকে উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় পেকুয়া থানায় ধর্ষণ মামলা রুজু হয়।
পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ ধর্ষক ৪ জনকে আটক করে। পুলিশ ধনিয়াকাটায় পৌছলে কর্তব্যরত পুলিশকে ওই গ্রাম পুলিশ সহযোগিতা করছিলেন।
সুত্র জানায়, ধর্ষকদের পক্ষ নেয় বিএনপি নেতা মোজাম্মেল। এ সময় পেকুয়া থানার এ,এস,আই মিজবাহ ওই ব্যক্তির এহেন আচরন ও তথ্য ফাঁসের ঘটনায় তাকে শাসায়। এর সুত্র ধরে পুলিশ তাকে সতর্ক দেয়। এর জের ধরে ওই ব্যক্তি গ্রাম পুলিশকে লক্ষ্য করে গালমন্দসহ একাধিকবার হাকাবকা করে।
গত কয়েকদিন আগে মোজাম্মেলের ছোট ভাই শিবির কর্মী রেজাউল একই ঘটনার সুত্র ধরে গ্রাম পুলিশ মনছুরকে পথরোধ করে হামলার চেষ্টা চালায়। এ সময় ওই গ্রাম পুলিশ দ্রুত সটকে পড়ে। বাড়ি থেকে বের না হতে একাধিকবার হাকাবকা করে। এমনকি কয়েকবার প্রাণনাশ হুমকি দেয়। ঘটনার দিন দুপুরে গ্রাম পুলিশের পিতা বাড়ি থেকে ধনিয়াকাটা বাজারে যাচ্ছিলেন।
পথিমধ্যে রেজাউল হাকিম, মোজাম্মেলসহ ৩ জন তাকে অকথ্য ভাষায় গালি দেয়। এমনকি তার ছেলে গ্রাম পুলিশ মনছুরকে প্রকাশ্যে মেরে ফেলার ধমকি ও হুমকি দেয়। তারা এ বৃদ্ধকে লাঞ্চিতসহ হামলার চেষ্টা চালায়।
গ্রাম পুলিশ মনছুর জানায়, আমি পুলিশকে সহযোগিতা করছিলাম। সেটি তারা বরদাশত করেনি। আমাকে কয়েকবার মারধর চেষ্টা চালায়। হত্যার হুমকি দেয়। শংকিত হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
Posted ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta