এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া(৩০ নভেম্বর) :: পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের বাইন্যা ঘোনা এলাকায় একটি চিংড়ি ঘেরে হামলা, লুটপাট ও চিংড়ি ঘেরের মালিকের পরিবারের উপর হামলার ঘটনায় আদালতে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ভূক্তভোগী চিংড়ি চাষী।
মামলার আসামীরা হলেন, উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের বাইন্যা ঘোনা গ্রামের মরহুম ছালেহ আহমদের পুত্র ও একাধিক মামলার আসামী আবুল কালাম, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মাতবর পাড়া গ্রামের মরহুম আনু মিয়ার পুত্র ছরওয়ার উদ্দিন, বারবাকিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম বুধা মাঝির ঘোনা গ্রামের জুবাইদুল হক ও তার পুত্র কামাল হোছাইনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫ জনকে আসামী করা হয়।
গত ২২ নভেম্বর চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে উল্লেখিত আসামীদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছেন মগনামা বাইন্যা ঘোনা গ্রামের হাজী নুরুল আবছারের পুত্র বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নুরুল আজিম। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পেকুয়া থানার ওসিকে (তদন্ত) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে বাদী নুরুল আজিম উল্লেখ করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে বাইন্যা ঘোনা গ্রামের আবুল কালামের নেতৃত্বে একদল লোক তার চিংড়ি ঘের দখলের হুমকি দিয়ে ২০ লক্ষ চাঁদা দাবী করে আসছিল।
তাদের দাবীকৃত চাঁদা না দেওয়ায় গত ১৭ নভেম্বর রাত আনুমানিক ১২ টার দিকে আবুল কালামের নেতৃত্বে মামলার অপারপর আসামীরা তার বাড়ীর পাশের চিংড়ি প্রজেক্টে দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এসে চিংড়ি ঘেরের ধারিয়া, নেট জাল ও ঘেরা-বেড়া কেটে ফেলে এবং তার বসতভিটায় অনধিকার প্রবেশ করে পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এসময় তাদের দাবীকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানায় নুরুল আজিম।
এসময় অভিযুক্ত আবুল কালামের নেতৃত্বে মামলার অন্য আসামীরা নুরুল আজিম ও তার বৃদ্ধ পিতার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। পরে আসামীরা নুরুল আজিমের চিংড়ি প্রজেক্টে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ৮ লক্ষ টাকার চিংড়ি মাছ এবং ৬০ হাজার টাকার বাটা মাছের ক্ষতি সাধন করে। ঘটনার সময় নুরুল আজিমকে মৃতƒুর ভয় দেখিয়ে ১ নং আসামী আবুল কালাম ৩টি একশত টাকা মূল্যমানের ননজুড়িসিয়াল স্টাম্পে জোর পূর্বক স্বাক্ষরও নিয়েছেন।
মামলার বাদী নুরুল আজিম অভিযোগ করেছেন, তার বসতবাড়ি সংলগ্ন তার একটি চিংড়ি ঘের রয়েছে। সেই ঘেরটি দখলের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আবুল কালামের নেতৃত্বে একদল লোক অপতৎপরতা চালাচ্ছে। ঘটনার দিন রাতে তার চিংড়ি ঘেরে হামলা চালানো হয়েছে। বর্তমানে ২০ লক্ষ টাকা চাঁদার দাবীতে আবুল কালাম তাকে প্রতিনিয়তই হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। চাঁদা না দিলে তাকে প্রাণনাশেরও হুমকি দিচ্ছে। আসামীদের এ ধরনের হুমকিতে তিনি তার জীবনের চরম নিরপত্তাহীনতায় ভূগছে।
জানতে চাইলে পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) মনজুরুল কাদের মজুমদার বলেন, আদালত থেকে মামলার কপিটি এখনো হাতে আসেনি। তবে পেলে অবশ্যই মামলাটি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা আাদালতে দাখিল করা হবে।
Posted ১২:৩০ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta