নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(২৮ জানুয়ারী) :: পেকুয়ায় সাবমেরিন নৌ-ঘাঁটির অধিগ্রহনকৃত জমিতে সাময়িক উৎপাদন অব্যাহত রাখতে লবণ চাষীরা সমাবেশ করেছে মগনামায়।
২৮ জানুয়ারী রবিবার সকাল ৯ টার দিকে কুতুবদিয়া চ্যানেল সংশ্লিষ্ট মগনামা ইউনিয়নের জালিয়াপাড়া বেড়িবাঁধে এ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়। উপকুলীয় লবণ চাষী সমবায় সমিতি এ সমাবেশ আয়োজন করে। এ সময় শত শত লবণ উৎপাদনকারী ও প্রান্তিক চাষী সমাবেশে উপস্থিত হন।
উপকুলীয় লবণ চাষী সমবায় সমিতির সভাপতি অবিভক্ত মগনামার সাবেক চেয়ারম্যান ও ক্ষমতাসীন দল আ’লীগের এ ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ খাইরুল এনাম এর নেতৃত্ব দেয়।
সকালে সর্বস্তরের লবণ চাষী মগনামার পশ্চিমের বেড়িবাঁধে জড়ো হয়। তারা ব্যানার নিয়ে চ্যাপ্টাখালী নাশি থেকে জালিয়াপাড়া হয়ে ঢলন্যাপাড়ার উত্তর অংশ পর্যন্ত বেড়িবাঁধ প্রদক্ষিন করে।
এ সময় নৌবাহিনীর সাব ষ্টেশন এর স্থানীয় চৌকি সংলগ্ন স্থানে সমাবেত হয়ে মানববন্ধনসহ অনুরোধ সমাবেশে মিলিত হন। এ সময় বক্তব্য রাখেন সাবেক চেয়ারম্যান খাইরুল এনাম। লবণ চাষীদের সাময়িক লবণ উৎপাদন নিশ্চিত করতে সমাবেশে আহবান জানানো হয়।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আ’লীগ নেতা রাহমত উল্লাহ, রুহুল আমিন, জালাল উদ্দিন বাবুল, আবু ছিদ্দিক বাদশা, মামুন আজাদ প্রমুখ। লবণ চাষীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন মোহাম্মদ সেলিম, আবু তৈয়ব, জকরিয়া, ইউসুফ, মিয়া, আলমগীর, বাদশা, আবদু শুক্কুর, হাজী মোহাম্মদ আবু তালেব, আবদুল নবী, আজিজুল হক প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, সাবমেরিন নৌঘাটির জন্য সরকার জমি অধিগ্রহন করে। এ জমি আমরা সরকারকে হস্তান্তর করেছি। গত ২ বছর ধরে এ সব জমিতে লবণ চাষ হচ্ছে। এখনও উন্নয়ন কাজ আরম্ভ করা হয়নি। প্রায় ১ হাজার কানি জমিতে চাষীরা লবণ উৎপাদন কাজে নিয়োজিত। চলতি লবণ মৌসুমে চাষীরা নৌবাহিনীর জমিতে লবণ চাষ শুরু করে। মৌসুমের শুরুতে এ জমিতে লবণ উৎপাদন হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা ও সংশয় দেখা দিয়েছিল।
অনেকটা অনিশ্চয়তার মাঝেও চাষীরা জীবিকার জন্য লবণ উৎপাদনে কোমর বেঁধে জমিতে নেমে যায়। নৌবাহিনীও কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেনি। বর্তমানে লবণ উৎপাদনে ২ মাস অতিবাহিত হয়েছে। তবে নৌবাহিনী থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাদের জমি ছেড়ে দিতে। এ খবর চাষীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় প্রায় ১ হাজার চাষী হতভম্ব হন। তারা চরমভাবে হতাশ ও ব্যথিত হন। জমিতে সবেমাত্র লবণ হচ্ছে। এ মুহুর্তে জমি থেকে বিতাড়িত হলে পথে বসা ছাড়া আর কোন উপক্রম নেই। চাষীরা ৬ মাসের জন্য মুলধন ব্যয় করেছে মাঠে। পলিথিন পানিও সেচ কর্মজীবিসহ তারা ব্যাপক মুলধন ব্যয় করেছে।
চাষীরা জানায়, আর ৩ মাস বাকী থাকবে লবণ উৎপাদন সময়। আমরা আহবান ও বিনয়ের সাথে অনুরোধ করব এ সময় টুকু সাময়িক লবণ উৎপাদনের জন্য তাদেরকে এ অধিকারটুকু দেওয়া হয়। প্রয়োজনে ইজারা ও খাজানা ধার্য্য করা হলে তারা দিতে বাধ্য হবে।
এসময় সাবেক চেয়ারম্যান খাইরুল এনাম জানায়, কৃষক বাচাও দেশ বাচাও, এ হল আমার সরকার প্রধানের প্রতিশ্রুতি। তিনি খেটে খাওয়া মানুষের দু:খ দুর্দশায় এ বাঙ্গালীর আর্থ সামাজিক মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্টার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা বিনয়ের সাথে অনুরোধী সমাবেশ করেছি। খেটে খাওয়া চাষীদের পেটের ভাত ও রিজিকের জন্য অন্তত ৩ মাস যাতে করে মাঠ করতে পারে।
Posted ১:২৬ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৯ জানুয়ারি ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta