নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(৫ এপ্রিল) :: পেকুয়ায় পাহাড়ে অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দিল বনবিভাগ। রিজার্ভ ভূমি জবর দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছিল একটি চক্র। খবর পেয়ে বনবিভাগের বারবাকিয়া বনবিট কার্যালয় সেখানে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়।
বৃহস্পতিবার ৫ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের আবাদিঘোনা এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ওই এলাকার রহিমদাদের রান্নাঘর গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
দক্ষিন ও কক্সবাজারের উত্তর বনবিভাগ সুত্র জানায়, আবাদিঘোনায় রহিমদাদ নামের এক ব্যক্তি সরকারী রিজার্ভ জায়গা জবর দখলে নেয়। ওই স্থানে সম্প্রতি একটি পাকা বসতবাড়ি নির্মাণ কাজ করছিল। বনবিভাগ ওই স্থানে ওই দিন সকালে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। এমনকি স্থাপনা অর্ধেক নির্মিত হয়েছিল। সেটি বনবিভাগের লোকজন অভিযানে গুড়িয়ে দেয়।
এ দিকে চট্রগ্রাম দক্ষিন বনবিভাগের বারবাকিয়া রেঞ্জের আওতাধীন টইটং ও বারবাকিয়া বনবিটের মালিকানাধীন বিপুল পরিমান জায়গায় জবরদখলে গেছে। রিজার্ভ ভূমি ও সংরক্ষিত বনাঞ্চলের বিপুল জায়গায় বসতি স্থাপন কাজ অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় সুত্র জানায়, রহিমদাদ আবাদিঘোনা এলাকায় বিপুল জায়গায় নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্টা করে। প্রায় ৩ একর ফসলী জমি সহ ৬ একর বনভূমি তার কবলে গ্রাস হয়। ওই স্থানে এ ব্যক্তি বাড়িঘর নির্মান করে।
স্থানীয়রা জানায়, ওই দিন বনবিভাগ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে। বাড়ি গুড়িয়ে দেয়ার সময় বনবিভাগ তুমুল বাধাগ্রস্ত হয়। বারবাকিয়া বনবিটের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উচ্ছেদ অভিযানে যায়। এ সময় রহিমদাদ গং চরম চড়াও ও আক্রোশী হন।
এর সুত্র ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। উচ্ছেদ অভিযান বাধাগ্রস্ত করতে মহিলা লেলিয়ে দেয় জবর দখলকারী চক্র। এ সময় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বনবিভাগ স্থানীয়দের সহযোগিতা চায়।
এ সময় পাহাড়ের আশপাশের লোকজন দ্রুত ওই স্থানে ছুটে যান। তারা উত্তেজনা প্রশমিত করে। বারবাকিয়া বিট কর্মকর্তার নেতৃত্বে বনবিভাগ ওই দিন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে।
চট্রগ্রাম দক্ষিন বনবিভাগের বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেয় বলে বারবাকিয়া বনবিট কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্র নিশ্চিত করে।
জানতে চাইলে বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানায়, পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা জোরদার করা হচ্ছে। জবরদখল কারীদের ছাড় দেয়া যাবে না। সরকারী সম্পদ বেহাত থেকে অবশ্যই উদ্ধারের কাজ দ্রুত অগ্রসর মান। এ দিকে উচ্ছেদ অভিযানে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
রহিমদাদ জানায়, এ জায়গা তার ৩০ বছরের দখলে। সে দিন উচ্ছেদের নামে মাস্তান ও ভাড়াটে লোকজন তার বসতবাড়িতে হানা দেয়। তারা তান্ডবসহ ভাংচুর চালায়। মহিলাদের মারধর করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম জানায়, বনবিভাগ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ও ঘটনা সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। লোকজন সহ আমরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্টা করি।
Posted ১:৩৫ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০৬ এপ্রিল ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta