বার্তা পরিবেশক(২৯ জুলাই) :: পেকুয়ায় বনবিভাগের অভিযানে ৪ টি গাছ জব্দ করা হয়েছে। ২৯ জুলাই রবিবার বিকেলে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ধনিয়াকাটা এলাকা থেকে বনবিভাগ এ সব গাছ জব্দ করে। চট্রগ্রাম দক্ষিন বনবিভাগের বারবাকিয়ার রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুল গফুর ভূইয়ার নেতৃত্বে বনবিট ওই অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময় টইটং ও বারবাকিয়ার সীমান্তবর্তী প্রবাহমান যাদুখালী পাহাড়ী ছড়া থেকে কর্তনকৃত এ ৪ টি গাছ জব্দ করে। তবে গাছ পাচারে জড়িত ব্যক্তির নাম নিয়ে দু’ধরনের বক্তব্য পাওয়া গেছে। কর্তনে কে জড়িত সে সম্পর্কে স্পষ্ট হওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানায়, ধনিয়াকাটায় বনবিভাগের মালিাকাধীন জায়গায় স্থানীয়রা বসতি তৈরী করে। তারা বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ভিটায় রোপন করছিলেন। বনজ ও ফলজ সহ ৪ টি গাছ বনবিভাগ জব্দ করে। মাঝারি আকারের এ ৪ টি গাছের আনুমানিক মুল্য ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা হবে।
স্থানীয়রা জানায়, ধনিয়াকাটা মাঝের পাড়ায় বিপুল রিজার্ভ ভূমি স্থানীয় সুমন নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি জবর দখলে নেয়। প্রতিবেশী বেশ কিছু পরিবারের জায়গা তার নিয়ন্ত্রনে। সুমনের প্রতিবেশী নুরুল হকের সাথে বনিবনা চলছিল।
গত ২ বছর আগে ওই ব্যক্তি নুরুল হকের নিয়ন্ত্রিত প্রায় ৮০ শতক পাহাড় ভূমি দখলে নেয়। ওই দিন সুমনের দখলকৃত অংশ থেকে গাছ গুলি কর্তনসহ পাচার হয়। সুমনের বাড়ির দক্ষিন দিকে ছড়া থেকে এ সব গাছ জব্দ করা হয়।
অপর একটি সুত্র জানায়, নুরুল হকের বসতভিটা থেকে গাছ গুলি কর্তন হয়েছে। তার এক প্রতিবন্ধী মেয়ের বিয়ে ঠিকপর্দ হয়। দরিদ্র ওই ব্যক্তি মেয়ের বিবাহ সম্পাদন করতে এ সব গাছ তার ভিটা থেকে বিক্রি করে।
নুরুল হক জানায়, সুমন এ সব চক্রান্ত করছে। সে আমাকে এখান থেকে তাড়িয়ে দিতে আমার পিছুনে লেগেছে। সে বিপুল পরিমাণ গাছ এ পাহাড় থেকে বিক্রি করে। প্রায় ৮/১০ কানি পাহাড় কেটে সাবাড় করে। টিলা কর্তন করে ছড়ায় মাটি ভর্তি করেছে। সুমন জানায়, নুরুল হক গাছ বিক্রি করেছে।
গাছ ক্রেতা নাছির উদ্দিন মদন জানায়, এ সব গাছ আমি সুমনের সাথে মুল্য নির্ধারন করে ক্রয় করেছি। এখন নুরুল হকের সাথে তার বিরোধ কি সেটি আমার জানা ছিল না। চট্রগ্রাম দক্ষিন বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুল গফুর ভূইয়া জানায়, অভিযানে গাছ জব্দ হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
Posted ১২:৪৩ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ৩০ জুলাই ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta