নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(১২ ডিসেম্বর) :: পেকুয়ায় বিএনপির প্রার্থীর এড. হাসিনা আহমদের সমর্থকরা ছিড়ে ফেলল নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাফর আলমের পোষ্টার। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনী আমেজ ও উত্তাপ পেকুয়ায় শুরু হয়েছে। নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা পেকুয়ায় তুঙ্গে হয়েছে।
মহাজোট প্রার্থী জাফর আলমের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার পোষ্টার পেকুয়া-চকরিয়া সংসদীয় আসনে ছাটাই হয়েছে। পেকুয়ার অলি গলি সর্বত্রে নৌকার পোষ্টার শোভা পেয়েছে।
১২ ডিসেম্বর (বুধবার) দুপুর থেকে গণসংযোগ শুরু করেছেন। ওই দিন দুপুরে তার নির্বাচনী এলাকা টইটং ইউনিয়ন থেকে গণসংযোগ আরম্ভ করেন। ধনিয়াকাটা বাজার, হাজী বাজার, বনকানন ষ্টেশন, টইটং বাজারে গণসংযোগ মিলিত হন।
এ সময় সংক্ষিপ্ত সময়ে পৃথক পথসভায় বক্তব্য দেন। বনকাননে তিনি গণসংযোগসহ পথসভা করেছেন।
এ দিকে ক্ষমতাসীন দল আ’লীগ সমর্থিতরা জানায়, তার নির্বাচনী গণসংযোগ থেকে মহাজোট প্রার্থী জাফর আলমের সাটানো পোষ্টার ছিড়ে ফেলা হয়েছে। বনকানন ষ্টেশনে হাসিনা আহমদ বেলা ১২ টার দিকে নির্বাচনী পথ সমাবেশ করেছেন। তার কর্মী সমর্থকরা নৌকা মার্কার সমর্থনে সাটানো প্রায় অর্ধশতাধিক পোষ্টার বনকানন বাজার থেকে বিনষ্ট করে দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপির প্রার্থী সমর্থকরা ক্ষুদ্ধ হয়েছেন। তারা সরকারবিরোধী নানান শ্লোগান দেয়। এক পর্যায়ে ক্ষমতাসীন দল মনোনীত জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী জাফর আলমের পোষ্টার ছেড়াছেড়িতে ব্যস্ত হয়ে যান। এর সুত্র ধরে বনকানন বাজারে সড়কের উপড়ি অংশে টাঙ্গানো নৌকার পোষ্টার টানা হেচড়া করে নামিয়ে ফেলে।
এ ছাড়া বিভিন্ন দোকান ও দেয়ালে সাটানো পোষ্টার ছিড়ে ফেলে। সন্ধ্যার দিকে পোষ্টার ছেড়ার এ খবরে বনকাননে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিএনপির প্রার্থীর সমর্থক ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতন্ডাসহ উত্তেজনা দেখা দেয়।
তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দু’দল সমর্থিতদের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত হয়েছে বলে স্থানীয় সুত্র নিশ্চিত করেছে। আ’লীগ ৭ নং ওয়ার্ড নেতা নুরুল কবির, ৫ নং ওয়ার্ড নেতা এলাহাদাদ, ফরিদুল আলম, জহির মাঝি, ছৈয়দ মাঝিসহ ক্ষমতাসীন দলের আরও ২০ জনের অধিক স্থানীয় নেতা-কর্মী জানায়, তারা নির্বাচনী গণসংযোগে আমাদের দলীয় প্রতীক নৌকা মার্কার পোষ্টার ছিড়ে ফেলেছে।
উসকানিমুলক শ্লোগান দেয়। মুহুর্তের মধ্যে এ সব তারা ছিড়ে ফেলে। আমরা মনে করি নির্বাচনী সমাবেশের নামে এটি সংঘাত ও সহিংসতার কৌশল। আমরা ধৈর্য্য ধারন করেছি পরিস্থিতি আরও অনুধাবন করব। দলের হাইকমান্ডকে সেটি অবহিত করি। ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ও টইটং ইাউনিয়ন পরিসদেও চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী জানায়, বনকানন থেকে অনেকে পোষ্টার ছেড়ার সরাসরি অপবাদ মুঠোফোনে অবহিত করেন। আসলে এটি হতাশাজনক।
আসলে নির্বাচন করা ও জনগনের কাছে গিয়ে গণসংযোগ করার এ অধিকার সকল প্রার্থীর এখানে পোষ্টার ছেড়ানো নোংরামী ও ছোট মানসিকতার পরিচয়। আমরা আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের বলব ধৈর্য্য ধারন করতে। আশা করছি এ পরিস্থিতি পুনরাবৃত্তি যেন আর না ঘটে।
Posted ১:২৬ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta