নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(১৭ নভেম্বর) :: পেকুয়ায় বিয়ের দাবীতে অনশনে গেল প্রেমিকা। প্রেমিক প্রবাসী যুবক। মুঠোফোনে পরিচয়। অত:পর চুপিসরে মন দেয়া নেয়া হচ্ছিল। প্রেমিক প্রবাস থেকে বাড়িতে আসে।
এ সময় বিয়ের প্রলোভনে প্রেমিকাকে নিয়ে সাফারি পার্কে যায়। সেখানে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে হোটেলে রাত্রিযাপন করে। প্রেমিকা বিবাহের জন্য চাপ প্রয়োগ করছিলেন।
তবে প্রেমিক প্রতিশ্রুতির কালক্ষেপন করছিলেন। সর্বশেষ ওই প্রবাসী যুবক এ মেয়েকে নিয়ে চালচাতুরী করছিলেন। প্রেমিক বিষয়টি আঁচ করতে পেরেছেন। এ সময় প্রেমিক বিয়ের দাবীতে রাতে অবস্থান নেয় প্রেমিকের বাড়িতে।
১৭ নভেম্বর (শনিবার) রাত ৯ টার দিকে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের আন্নরআলী মাতবরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রেমিকের নাম ডেজি আক্তার (১৯)। সে ওই ইউনিয়নের বুধামাঝিরঘোনা গ্রামের নাছির উদ্দিনের মেয়ে। পেকুয়া থানা পুলিশ ওই স্থান পরিদর্শন করেছেন।
তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত ১০ টার দিকে পেকুয়া থানা পুলিশ, বারবাকিয়া ইউপির গ্রাম পুলিশ প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে।
পেকুয়া থানার ওসি জাকির হোসেন ভূইয়া জানায়, এ ধরনের একটি সংবাদ পেয়েছি। জেনেছি প্রেমিকা প্রেমিকের বাড়িতে কীটনাশক নিয়ে বিয়ের দাবীতে অনশন করছিলেন। আমি তাৎক্ষনিক পুলিশ ফোর্স পাঠিয়েছি।
স্থানীয় সুত্র জানায়, ডেজি আক্তার ও আন্নরআলী মাতবরপাড়ার আমির হোসেনের ছেলে ওমান প্রবাসী নুরুল আবছারের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়েছে। নুরুল আবছার প্রবাসে থাকে। প্রায় সময় মুঠোফোনে প্রেমিকা ডেজির সাথে যোগাযোগ রাখতেন।
তাকে দামী মুঠোফোনসহ বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রী পৌছায়। মেয়েটি সরল বিশ্বাসী। এ সুবাধে ওই যুবকের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে সিদ্ধান্ত নেয়। সম্প্রতি ওই যুবক দেশে আসে।
এ সময় প্রেমিকের সাথে যোগাযোগ ছিল। গত ১ সপ্তাহ আগে প্রেমিকাকে নিয়ে ভ্রমনে যায়। এ সময় এ যুগল স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে রাত্রিযাপন করে। প্রায় ২ দফা তারা কক্সবাজার শহরসহ বিভিন্ন স্থানে রাত্রিযাপন করে।
বিয়ের প্রতিশ্রুতি ভগ্ন করছিলেন। এ সময় মেয়েটি ওই দিন রাতে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের পিতার বাড়িতে অবস্থান নেয় কীটনাশক নিয়ে।
মেয়ের পিতা নাছির উদ্দিন জানায়, আমার মেয়ে প্রতারিত হয়েছে। এ যুবক এ মেয়েকে সম্ভ্রমহানি করেছে। আমাদের অজান্তে সেখানে গিয়ে অবস্থান নেয়।
ইউপি সদস্য শাহাব উদ্দিন জানায়, গ্রাম পুলিশসহ আমি সেখানে গিয়েছি। মেয়ের সাথে ওই যুবক প্রতারনা করে। দু’পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করে ফায়সালার চিন্তাভাবনা চলছে।
চেয়ারম্যান এ,এইচ,এম বদিউল আলম জানায়, আমি গ্রাম পুলিশ পৌছায়। বলেছি মেয়েকে নিরাপদ হেফাজতে রাখতে। দ্রুত সময়ে এর চুড়ান্ত নিস্পত্তির প্রচেষ্টা চলছে। ছেলের বাবাকে বলেছি তালবাহানা চলবে না। মেয়ের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি চলবে না।
Posted ১০:৪৭ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta