নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(১৯ নভেম্বর) :: পেকুয়ায় বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন পালন করছেন প্রেমিকা। মুঠোফোনে পরিচয় অত:পর ২ বছর প্রেমের সম্পর্ক ও মন দেয়া নেয়া চলে তারা দুইজনের মধ্যে।
সম্প্রতি ছলনার পথ খুঁজতে থাকে প্রেমিক। প্রেমিক ২ জনের সম্পর্ককে অস্বীকার করার কৌশল চলছিল। এমনকি প্রেমিককে উপেক্ষা করে বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজছিলেন। বিয়ের জন্য প্রস্ততি নিচ্ছিলেন প্রেমিক। বিষয়টি জানাজানি হয়।
গত ১৮ নভেম্বর প্রেমিক প্রেমিকা গোপনে বিয়ে করতে দুলাহাজার দিকে পালিয়ে যেতে সিদ্ধান্ত হয়। ওই এলাকায় প্রেমিকের ফুফির বাড়ি। সেখানে বিয়ের কথা বলে প্রেমিক সাগরুল ইসলাম খোকা প্রেমিকা সুমি আক্তারকে বাড়ি থেকে নিয়ে আসে।
এ সময় রাত ৯ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিন বটতলীয়াপাড়া শানুর বাপের বাড়ির পুকুর পাড়ে অবস্থান নেয়। খোকা গাড়ি ভাড়ার টাকা বাড়ি থেকে আনার কথা বলে চম্পট দেয়। এ সময় ২ ঘন্টা সেখানে অবস্থান করে। অত:পর ওই দিন রাত ১১ টার দিকে সুমি ছেলের বাড়িতে অবস্থান নেয়। এ সময় বিয়ের দাবীতে অনশন করতে থাকে ওই ছাত্রী।
খবর পেয়ে ইউপি সদস্য নুরুল হক সাদ্দাম, সমাজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি শামশুল আলম, সাধারন সম্পাদক নুরুল হোসাইনসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা ওই বাড়িতে ছুটে যান।
এ সময় বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। তারা দুইজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের সত্যতা পান। এ সময় মেয়ে ও ছেলের জিম্মা নেন দু’পক্ষ। মেয়ের জিম্মা নেন সমাজ কমিটি।
অপরদিকে ছেলের জিম্মা নেন ইউপি সদস্য। বিষয়টি নিয়ে রবিবার সকালে ইউপি সদস্যের বাড়িতে বৈঠক হয়েছে দু’পক্ষকে নিয়ে। বিষয়টি এখনও নিস্পত্তি হয়নি। সোমবার সকাল ১০ টার দিকে ফের বৈঠক হওয়ার দিনক্ষন রয়েছে।
সুত্র জানায়, পেকুয়া জিএমসির এস,এস,সি পরীক্ষার্থী সুমি আক্তার ও সাগরুল ইসলাম খোকার প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। খোকা পেশায় মুদির দোকানদার। তার বাড়ি দক্ষিণ বটতলীয়াপাড়ায়। ওই এলাকার আবু তাহেরের ছেলে।
অপরদিকে সুমি একই এলাকার নুরুল আবছারের মেয়ে। ২০১৮ সালে জিএমসির বাণিজ্য বিভাগ থেকে এস,এস,সি পরীক্ষা দেবে।
এ ব্যাপারে সুমি আক্তার জানায়, সাগরের সাথে গত ২ বছর ধরে সম্পর্ক করছি। স্বামী স্ত্রীর মত সম্পর্ক আমাদের। ওই দিন বিয়ের কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে আসে। আমি বিয়ের দাবীতে অনশন করছি। হয় বিয়ে না হয় আত্মহত্যা এ দুটি পথ আছে আমার।
সাগরুল ইসলাম খোকা জানায়, ওই মেয়ের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। মাঝে মধ্যে কথা হত। এখন আমাকে ফাঁসাতে অপবাদ তৈরী করছে।
বটতলীয়া পাড়া সমাজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি শামশুল আলম ও সাধারন সম্পাদক নুরুল হোসাইন জানায়, সম্পর্কের বিষয়ে সত্যতা মিলেছে। আমরা খবর পেয়ে খোকার বাড়িতে যায়। বিষয়টি নিস্পত্তির চেষ্টা চলছে।
ইউপি সদস্য নুরুল হক সাদ্দাম জানায়, ছেলে আমার জিম্মায় রয়েছে। মেয়েকে সমাজ কমিটির নিকট দেওয়া হয়েছে। দু’দফা বৈঠক হয়েছে। নিস্পত্তি হয়নি।
Posted ১১:০০ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta