নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(৩০ সেপ্টেম্বর) :: পেকুয়ায় ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে টাকা ও মালামাল লুট করেছে দুবৃর্ত্তরা। খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আহত পার্টস কাম ওয়ার্কসপ মালিককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে একটি সিএনজি যোগে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে পুলিশ তাকে ভর্তি করে। ঘটনার জের ধরে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের কবির আহমদ চৌধুরী বাজারের পূর্ব পাশের্^ ডা: মুজিবের ক্লিনিক সংলগ্ন চকরিয়া-মগনামা সড়কের নিকট এ ঘটনা ঘটে। আহত মোটর পার্টস ও ওয়ার্কশপ মালিকের নাম মাহমুদুল করিম(৩৯)। তিনি সদর ইউনিয়নের বাইম্যাখালী এলাকার মৃত হাজী মুহাম্মদ আলী প্রকাশ লালু সওদাগরের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ওইদিন মাহমুদুল করিম তার মালিকানাধীন বিছমিল্লাহ অটো পার্টস এন্ড আল মদিনা ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে ব্যবসা করছিলেন। এ সময় বাইম্যাখালী এলাকার জাকের হোসেনের ছেলে নুরুল আবছার, তার ভাই কবির আহমদ, ভগ্নিপতি আজমগীরসহ দুবৃর্ত্তরা মাহমুদুল করিমের ব্যবসা প্রতিষ্টানে হানা দেয়।
এ সময় তাকে অপহরণ চেষ্টা চালায় তারা। এক পর্যায়ে সিএনজিতে উঠিয়ে নিতে মাহমুদুল করিমকে টানা হেঁচড়া করে। ব্যবসায়ী নিজকে বাঁচাতে আর্তচিৎকার করে। এ সময় তারা তাকে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। এ সময় সজোরে আঘাতে তিনি ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে যান।
স্থানীয়রা দ্রুত ওই স্থানে জড়ো হন। এ সময় দুবৃর্ত্তরা দুটি আইফোন(দামী মুঠোফোন) ও নগদ তিন লক্ষ টাকাসহ মুল্যবান মালামাল নিয়ে দ্রুত সটকে পড়ে। স্থানীয়রা জানায়, নুরুল আবছার বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তিনি স্বেচ্ছাসেবক দল উপজেলার শীর্ষ পর্যায়ের নেতা। তারা কুমানসে ও চাঁদার দাবীতে এ ব্যবসায়ীকে দীর্ঘদিন ধরে হুমকি দিয়ে আসছিলেন।
এ ব্যাপারে মাহমুদুল করিম জানায়, তারা স্বশস্ত্র অবস্থায় আমাকে অপহরণ করতে আমার ব্যবসা প্রতিষ্টানে যায়। স্থানীয়রা এগিয়ে না আসলে নিশ্চিত অপহরণ করত তারা আমাকে। নগদ টাকা, মুঠোফোন, মালামালসহ দশ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে যায়। দোকানে মালামাল তছনছ করেছে। পুলিশ গিয়ে আমাকে উদ্ধার করে।
Posted ৯:৩৮ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta