নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(১৭ ডিসেম্বর) :: পেকুয়ায় ১৭ কানি লবণ চাষের জমি নিয়ে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কোদাইল্লাদিয়া পরস্যাঘোনা এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। লবণ উৎপাদনে মাঠ প্রস্তুতির সময় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।
আধিপত্য নিতে এক পক্ষ ভাড়াটে লোকজন জড়ো করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার সকালে কোদাইল্লাদিয়া এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। পেকুয়া থানা পুলিশ ওই স্থান পরিদর্শন করেছেন।
দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এ সময় সকালে মগনামা ইউনিয়নের সিকদারপাড়া এলাকার আবদুল গণি চৌধুরীর পুত্র আবু হেনা মোস্তফা কামালের পক্ষের লোকজন এলাকায় লাঠি সোটা নিয়ে অবস্থান নেয়। এ সময় ভীতি ছড়িয়ে পড়ে।
রক্তপাত ও যে কোন ধরনের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পুলিশ দ্রুত ওই স্থানে যান। স্থানীয়রা জানায়, পুলিশ উপস্থিতি দেখতে পেয়ে আবু হেনার অনুগত ভাড়াটে লোকজন দ্রুত সটকে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ৬.৮০ একর জমি নিয়ে শিলখালীর মিয়াজানপাড়ার মৃত মৌলভী এমদাদুল হকের ছেলে জাহেদুল করিম ও মগনামা জমিদারবাড়ীর আবদুল গণি চৌধুরী গংদের বিরোধ চলছিল। কোদাইল্লাদিয়ায় ৭৬৪ খতিয়ানের মালিক শেখ আবদুল আজিজ চৌধুরীর ওয়ারিশগন।
তারা ১২ টি পৃথক কবলামুলে এ সব জমি জাহেদকে বিক্রি করেন। জমি নিয়ে অচলাবস্থা তৈরী হয়েছে। খরিদমালিক জেলা যুগ্ম জজ আদালতে এমআর মামলা করেন। আদালত জমিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেন।
এ দিকে আদালতের আদেশ অমান্য করে আবদুল গণি চৌধুরী গং জমিতে অনুপ্রবেশ চেষ্টা করে। পুলিশ আদালতের পক্ষে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে নির্দেশনা দেন। শুক্রবার সকালে লাঠিসোটা নিয়ে জমি দখলের চেষ্টা চালায়।
এ সময় আবদুল গণি চৌধুরী গংদের পক্ষে কোদাইল্লাদিয়ার হাবিবুর রহমান,শফিউল আলম প্রকাশ শফিসহ ২০/৩০ জনের উত্তেজিত লোকজন মাঠে জড়ো হয়। এ সময় জাহেদের চাষা আজিজুল হক, সালাহ উদ্দিন, নুর মোহাম্মদ, মফিজ উদ্দিন ও আমিন বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা চাষাদের মারধর করে।
এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। জাহেদুল করিম জানায়, তারা তথ্য গোপন করে একটি সৃজিত খতিয়ান করছিল। আমরা মামলা করে সেটি স্থগিত করেছি। আবদুল গণি চৌধুরী ওই খতিয়ানে জমি পাবেন ৬ কানি। কিন্তু বিক্রি করেছেন এর দ্বিগুন। এখন জমি পাবে বলে আমাকে হয়রানি করছে। তার এক কিঞ্চিত জায়গাও নেই সেখানে। এখন পুলিশ ও আদালতের বিপরীত অবস্থান নিয়েছে তারা।
